০৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫
চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কেন কিনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার? কেন হিরো আলম বেশি জনপ্রিয় আরাফাত ও অন্যদের ছাড়িয়ে পতেঙ্গা থেকে দেশজুড়ে মব হিংসা: এক বছরে সহিংসতার নতুন ভয়াবহ রূপ উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিট’ প্রসঙ্গ কেন সামনে আনলেন এনসিপি নেতারা? দেশে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে – কিভাবে গরুর মাংস খাবেন ও কিনবেন বাংলাদেশের ডেঙ্গু সংক্রমন ও মৃত্যু নিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ, শান্তিরক্ষা মিশনের এক-চতুর্থাংশ ছাঁটাই করছে জাতিসংঘ পরিবারকে বিদায় জানিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু প্রবাসী ভারতীয় প্রকৌশলীর বাংলাদেশের বৃহত্তম চিরসবুজ বন কাসালং—জীববৈচিত্র্যের দুর্গ এখন টিকে থাকার সংগ্রামে ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধঃ শেষ পর্যন্ত কে জিতবে?

দেশে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে – কিভাবে গরুর মাংস খাবেন ও কিনবেন

অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়লে গরুর মাংস কেনা বা রান্না করার ক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতাও বিপদের কারণ হতে পারে। অসুস্থ, মরণাপন্ন বা হঠাৎ-মৃত পশুর মাংস কখনোই কেনা বা খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষা–উত্তীর্ণ উৎস থেকে মাংস সংগ্রহ, আলাদা সরঞ্জাম ব্যবহার, এবং সম্পূর্ণ সিদ্ধ রান্না—এই তিন ধাপেই নিহিত নিরাপত্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানথ্রাক্সে সংক্রমিত পশুর মাংস রান্না করলেও তা নিরাপদ নয়; তাই উৎস বাছাইই হলো সর্বোচ্চ সুরক্ষা।

 

অ্যানথ্রাক্স কীভাবে  তৈরি করে

অ্যানথ্রাক্স Bacillus anthracis নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ অবস্থায় সংক্রমিত পশুর মাংস খেলে পেটের অ্যানথ্রাক্স হতে পারে। প্রথমে এটি সাধারণ খাদ্যবিষক্রিয়ার মতো মনে হলেও দ্রুত তা প্রাণঘাতী আকার নিতে পারে। তাই সন্দেহজনক উৎস বা অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা জরুরি।

কোথা থেকে মাংস কিনবেন: নিরাপদ উৎস চেনার নিয়ম

লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্লটারহাউস বা কসাইখানা থেকেই মাংস কিনুন। অসুস্থ বা হঠাৎ মারা যাওয়া পশুর মাংস বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

 

স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের নির্দেশনা অনুসরণ করুন—ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, টিকাকরণ বা জবাই–মনিটরিং সম্পর্কিত ঘোষণা নিয়মিত নজরে রাখুন।

 

চোখে ও নাকে পরীক্ষা করুন: অস্বাভাবিক রং, দুর্গন্ধ, অতিরিক্ত রস বা অস্বাভাবিক নরম-কঠিন ভাব দেখলে সেই মাংস কেনা থেকে বিরত থাকুন।

 

মনে রাখবেন: অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত বা মৃত পশুর মাংস কখনোই মানবভোজ্য নয়। “রান্না করলে নিরাপদ”—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

 

অসুস্থ বা মৃত পশু দেখলে করণীয়

অ্যানথ্রাক্সে অনেক সময় পশু হঠাৎ মারা যায়। কোনোভাবেই দেহ কেটে বা খুলে দেখবেন না—এতে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বাতাস ও পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এমন কিছু দেখলে দ্রুত স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস বা প্রশাসনকে জানান। প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারাই বৈজ্ঞানিকভাবে দাফন বা ইনসিনারেশন সম্পন্ন করবেন।

 

পরিবহন ও সংরক্ষণ: বাজার থেকে বাড়ি পর্যন্ত সতর্কতা

আলাদা প্যাকেট: কাঁচা মাংস সবসময় ডাবল ব্যাগে রাখুন; অন্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে মেশাবেন না।

ঠান্ডা শৃঙ্খল বজায় রাখুন: ৫°C–এর নিচে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন; দীর্ঘক্ষণ বাইরে রাখবেন না।

 

আলাদা বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন: ব্যবহারের পর গরম পানি ও সাবানে ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

 

হাতের সুরক্ষা: হাতে কাটা বা ক্ষত থাকলে গ্লাভস পরুন; কাজ শেষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

 

রান্নার সময় করণীয় ও বর্জনীয়

করবেন:

 

মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করুন; কিমা, বারবিকিউ, স্টেক ইত্যাদি খাবার সম্পূর্ণ রান্না না হওয়া পর্যন্ত খাবেন না।

 

দীর্ঘসময় ফুটিয়ে রান্না করলে ঝুঁকি কমে, তবে মূল নিরাপত্তা নির্ভর করে উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর।

 

করবেন না:

 

অসুস্থ পশুর মাংস কোনোভাবেই রান্না বা খাওয়া যাবে না।

 

কাঁচা মাংসের রস যেন কখনো স্যালাড, ফল বা রান্না–হয়ে–যাওয়া খাবারের সংস্পর্শে না আসে—এতে ‘ক্রস–কন্টামিনেশন’ হয়।

 

ঝুঁকিতে কারা

কসাই, চর্মশিল্পের শ্রমিক, প্রক্রিয়াজাত কারখানার কর্মী এবং ঘরে কাঁচা মাংস কাটাছেঁড়া করা ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। সুরক্ষার জন্য দস্তানা, এপ্রন ও বুট ব্যবহার করতে হবে। কাজ শেষে হাত ও সরঞ্জাম সাবধানে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

লক্ষণ দেখা দিলে করণীয়

ত্বকের অ্যানথ্রাক্স: ব্যথাহীন ফুসকুড়ি বা কালো দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

পেটের অ্যানথ্রাক্স: কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়ার পর জ্বর, পেটব্যথা, রক্তবমি বা রক্তমিশ্রিত ডায়রিয়া হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান। চিকিৎসক ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ শুরু করবেন না।

 

কমিউনিটি পর্যায়ে দায়িত্ব

সচেতনতা ও আইনপ্রয়োগ: অসুস্থ বা মৃত পশু জবাই বা মাংস বিক্রি বন্ধে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এমন ঘটনা দেখলে দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে হবে।

টিকাদান ও নজরদারি: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পশুর টিকাকরণ এবং রোগের দ্রুত রিপোর্টিং নিশ্চিত করতে হবে।

গ্রামীণ বাস্তবতা: আর্থিক ক্ষতি পোষাতে অনেক সময় গ্রামে মরণাপন্ন পশু জবাই করে বিক্রি করা হয়—এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ। এ চর্চা বন্ধে প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন।

 

সংক্ষিপ্ত চেকলিস্ট: নিরাপদভাবে মাংস কেনা ও খাওয়ার নিয়ম

কিনবেন:

 

কেবল লাইসেন্সপ্রাপ্ত কসাই বা স্লটারহাউস থেকে।

 

সন্দেহজনক, অসুস্থ বা মৃত পশুর মাংস নয়।

 

রান্না করবেন:

 

আলাদা বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন।

 

কাঁচা মাংসের রস অন্য খাবার থেকে দূরে রাখুন।

 

সম্পূর্ণ সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবেন না।

 

খাবেন:

 

পরিবেশনের আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিন।

 

কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

 

 

অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাবের সময় গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপত্তা নির্ভর করে তিনটি মূল ধাপের ওপর—উৎসের সততা, পরিচ্ছন্নতা, এবং সম্পূর্ণ সিদ্ধ রান্না। ব্যক্তিগত সতর্কতার পাশাপাশি কমিউনিটি–স্তরে অসুস্থ পশু জবাই রোধ ও টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে পারলেই এই সংক্রমণ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

 

 

#অ্যানথ্রাক্স #গরুরমাংস #খাদ্যনিরাপত্তা #জনস্বাস্থ্য #রান্নারনিয়ম #বাংলাদেশ #প্রাণিসম্পদ #সচেতনতা #স্বাস্থ্যসুরক্ষা

জনপ্রিয় সংবাদ

চীন থেকে ২০টি জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান কেন কিনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার?

দেশে অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে – কিভাবে গরুর মাংস খাবেন ও কিনবেন

১১:১৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়লে গরুর মাংস কেনা বা রান্না করার ক্ষেত্রে সামান্য অসাবধানতাও বিপদের কারণ হতে পারে। অসুস্থ, মরণাপন্ন বা হঠাৎ-মৃত পশুর মাংস কখনোই কেনা বা খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যপরীক্ষা–উত্তীর্ণ উৎস থেকে মাংস সংগ্রহ, আলাদা সরঞ্জাম ব্যবহার, এবং সম্পূর্ণ সিদ্ধ রান্না—এই তিন ধাপেই নিহিত নিরাপত্তা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানথ্রাক্সে সংক্রমিত পশুর মাংস রান্না করলেও তা নিরাপদ নয়; তাই উৎস বাছাইই হলো সর্বোচ্চ সুরক্ষা।

 

অ্যানথ্রাক্স কীভাবে  তৈরি করে

অ্যানথ্রাক্স Bacillus anthracis নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়। কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ অবস্থায় সংক্রমিত পশুর মাংস খেলে পেটের অ্যানথ্রাক্স হতে পারে। প্রথমে এটি সাধারণ খাদ্যবিষক্রিয়ার মতো মনে হলেও দ্রুত তা প্রাণঘাতী আকার নিতে পারে। তাই সন্দেহজনক উৎস বা অপর্যাপ্তভাবে রান্না করা মাংস থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা জরুরি।

কোথা থেকে মাংস কিনবেন: নিরাপদ উৎস চেনার নিয়ম

লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্লটারহাউস বা কসাইখানা থেকেই মাংস কিনুন। অসুস্থ বা হঠাৎ মারা যাওয়া পশুর মাংস বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

 

স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের নির্দেশনা অনুসরণ করুন—ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, টিকাকরণ বা জবাই–মনিটরিং সম্পর্কিত ঘোষণা নিয়মিত নজরে রাখুন।

 

চোখে ও নাকে পরীক্ষা করুন: অস্বাভাবিক রং, দুর্গন্ধ, অতিরিক্ত রস বা অস্বাভাবিক নরম-কঠিন ভাব দেখলে সেই মাংস কেনা থেকে বিরত থাকুন।

 

মনে রাখবেন: অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত বা মৃত পশুর মাংস কখনোই মানবভোজ্য নয়। “রান্না করলে নিরাপদ”—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

 

অসুস্থ বা মৃত পশু দেখলে করণীয়

অ্যানথ্রাক্সে অনেক সময় পশু হঠাৎ মারা যায়। কোনোভাবেই দেহ কেটে বা খুলে দেখবেন না—এতে ব্যাকটেরিয়ার স্পোর বাতাস ও পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। এমন কিছু দেখলে দ্রুত স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস বা প্রশাসনকে জানান। প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারাই বৈজ্ঞানিকভাবে দাফন বা ইনসিনারেশন সম্পন্ন করবেন।

 

পরিবহন ও সংরক্ষণ: বাজার থেকে বাড়ি পর্যন্ত সতর্কতা

আলাদা প্যাকেট: কাঁচা মাংস সবসময় ডাবল ব্যাগে রাখুন; অন্য খাদ্যপণ্যের সঙ্গে মেশাবেন না।

ঠান্ডা শৃঙ্খল বজায় রাখুন: ৫°C–এর নিচে তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন; দীর্ঘক্ষণ বাইরে রাখবেন না।

 

আলাদা বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন: ব্যবহারের পর গরম পানি ও সাবানে ধুয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।

 

হাতের সুরক্ষা: হাতে কাটা বা ক্ষত থাকলে গ্লাভস পরুন; কাজ শেষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

 

রান্নার সময় করণীয় ও বর্জনীয়

করবেন:

 

মাংস ভালোভাবে সিদ্ধ করুন; কিমা, বারবিকিউ, স্টেক ইত্যাদি খাবার সম্পূর্ণ রান্না না হওয়া পর্যন্ত খাবেন না।

 

দীর্ঘসময় ফুটিয়ে রান্না করলে ঝুঁকি কমে, তবে মূল নিরাপত্তা নির্ভর করে উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর।

 

করবেন না:

 

অসুস্থ পশুর মাংস কোনোভাবেই রান্না বা খাওয়া যাবে না।

 

কাঁচা মাংসের রস যেন কখনো স্যালাড, ফল বা রান্না–হয়ে–যাওয়া খাবারের সংস্পর্শে না আসে—এতে ‘ক্রস–কন্টামিনেশন’ হয়।

 

ঝুঁকিতে কারা

কসাই, চর্মশিল্পের শ্রমিক, প্রক্রিয়াজাত কারখানার কর্মী এবং ঘরে কাঁচা মাংস কাটাছেঁড়া করা ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। সুরক্ষার জন্য দস্তানা, এপ্রন ও বুট ব্যবহার করতে হবে। কাজ শেষে হাত ও সরঞ্জাম সাবধানে ধুয়ে ফেলতে হবে।

 

লক্ষণ দেখা দিলে করণীয়

ত্বকের অ্যানথ্রাক্স: ব্যথাহীন ফুসকুড়ি বা কালো দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

পেটের অ্যানথ্রাক্স: কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাংস খাওয়ার পর জ্বর, পেটব্যথা, রক্তবমি বা রক্তমিশ্রিত ডায়রিয়া হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান। চিকিৎসক ছাড়া নিজে থেকে ওষুধ শুরু করবেন না।

 

কমিউনিটি পর্যায়ে দায়িত্ব

সচেতনতা ও আইনপ্রয়োগ: অসুস্থ বা মৃত পশু জবাই বা মাংস বিক্রি বন্ধে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এমন ঘটনা দেখলে দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে হবে।

টিকাদান ও নজরদারি: ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পশুর টিকাকরণ এবং রোগের দ্রুত রিপোর্টিং নিশ্চিত করতে হবে।

গ্রামীণ বাস্তবতা: আর্থিক ক্ষতি পোষাতে অনেক সময় গ্রামে মরণাপন্ন পশু জবাই করে বিক্রি করা হয়—এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ। এ চর্চা বন্ধে প্রশাসনিক ও সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন।

 

সংক্ষিপ্ত চেকলিস্ট: নিরাপদভাবে মাংস কেনা ও খাওয়ার নিয়ম

কিনবেন:

 

কেবল লাইসেন্সপ্রাপ্ত কসাই বা স্লটারহাউস থেকে।

 

সন্দেহজনক, অসুস্থ বা মৃত পশুর মাংস নয়।

 

রান্না করবেন:

 

আলাদা বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করুন।

 

কাঁচা মাংসের রস অন্য খাবার থেকে দূরে রাখুন।

 

সম্পূর্ণ সিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবেন না।

 

খাবেন:

 

পরিবেশনের আগে ও পরে হাত ধুয়ে নিন।

 

কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

 

 

অ্যানথ্রাক্সের প্রাদুর্ভাবের সময় গরুর মাংস খাওয়ার নিরাপত্তা নির্ভর করে তিনটি মূল ধাপের ওপর—উৎসের সততা, পরিচ্ছন্নতা, এবং সম্পূর্ণ সিদ্ধ রান্না। ব্যক্তিগত সতর্কতার পাশাপাশি কমিউনিটি–স্তরে অসুস্থ পশু জবাই রোধ ও টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করতে পারলেই এই সংক্রমণ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

 

 

#অ্যানথ্রাক্স #গরুরমাংস #খাদ্যনিরাপত্তা #জনস্বাস্থ্য #রান্নারনিয়ম #বাংলাদেশ #প্রাণিসম্পদ #সচেতনতা #স্বাস্থ্যসুরক্ষা