০৩:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
আফ্রিকার স্বৈরশাসকরা: প্রাচীন যুগের অবশিষ্টাংশ নন, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি আদর্শ মার্কিন সার্জন জেনারেল পদে কেসি মিনস: কেনেডির ‘মেক আমেরিকা হেলদি অ্যাগেইন’ উদ্যোগে নতুন গতি ইঁদুরে ভরা শহর থেকে মুক্তির লড়াই — নিউইয়র্কের ডেটা-ভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কেমন কাজ করছে ক্যাটসআই × 5 গাম: ‘ফাইনাল ড্রপ’-এ পপ কালচারের কামব্যাক কামড় আজ পার্থ থেকে ডব্লিউডব্লিউই ক্রাউন জুয়েল—দেখবেন কীভাবে গঙ্গামতি নির্ধারিত বন: কুয়াকাটার সবুজ ঢেউ ও হারিয়ে যাওয়া প্রাণের আর্তনাদ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৪) দিল্লিতে এ মৌসুমের প্রথম শীতল রাত নেমেছে- ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ‘জনগণের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত’: প্রচলিত ভোটব্যবস্থা শক্তিশালী করার আহ্বানে বিএনপি নেতারা বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০২৫

আমেরিকায়  ট্রাম্পের‘ প্রতিশোধের ভোট: জনমত জরিপে বিভাজনের চিত্র

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকান রাজনীতিতে নতুন এক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—“প্রতিশোধমূলক শাসননীতি।” ২০২৩ সালে, কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “যারা প্রতারিত হয়েছেন, আমি তাদের প্রতিশোধ।” ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সেই প্রতিশোধের বাস্তবায়নই চলছে একের পর এক সিদ্ধান্তে।

প্রশাসনের প্রতিশোধ অভিযান

ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, দেশজুড়ে, প্রভাবশালী আইন সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল কাটছাঁট করেছে।

দুই সপ্তাহ আগে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে অভিযুক্ত করা হয় সেনেট কমিটিতে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোমি ছিলেন সেই ব্যক্তি যাকে ট্রাম্প ২০১৭ সালে বরখাস্ত করেছিলেন রাশিয়ার নির্বাচনী হস্তক্ষেপ তদন্তের সময়।

ট্রাম্প নিজেই সামাজিক মাধ্যমে কোমিকে আক্রমণ করে লিখেছেন, “এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক মানুষদের একজন।” এমনকি যেসব এফবিআই কর্মকর্তা কোমির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে রাজি হননি, তারাও শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Some inconvenient truths about the national election • Maine Morning Star

ভোটাররা কী ভাবছেন

‘দ্য ইকোনমিস্ট’ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান ভোটারদের বড় অংশ ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক এজেন্ডার পক্ষে, অথচ স্বতন্ত্র বা নির্দল ভোটারদের বড় অংশ তা ঘৃণা করছে।

ইউগভ ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক ২৫টি পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করে। এর মধ্যে মাত্র একটি পদক্ষেপ—যারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা—রিপাবলিকানদের মধ্যে বেশি বিরোধিতা পেয়েছে।

তবুও প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান এই সংবিধানবিরোধী ও অযৌক্তিক প্রস্তাবকেও সমর্থন করেছেন।

বিভক্ত সমর্থন

রিপাবলিকানদের আরেক অংশ প্রায় সমানভাবে বিভক্ত দুটি প্রস্তাবে:

১. যেসব শহরের মেয়র ট্রাম্পের বিরোধিতা করেন, তাদের তহবিল বন্ধ করা।

২. সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত যাদুঘর থেকে ট্রাম্পের অপছন্দের প্রদর্শনী সরিয়ে দেওয়া।

অন্যদিকে বাকি ২২টি পদক্ষেপে রিপাবলিকানদের সমর্থন ছিল ব্যাপক। যেমন—

  • • ট্রাম্পের বিরোধিতাকারী শহরগুলোতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর প্রস্তাবে ৬৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন,
  • • রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তদন্তে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার উদ্যোগে ৪৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।

স্বাধীন ভোটারদের বিরোধিতা

স্বতন্ত্র বা নির্দল ভোটারদের ক্ষেত্রে ফলাফল একেবারেই উল্টো। সব ২৫টি প্রস্তাবই তাদের কাছে অজনপ্রিয়।

সবচেয়ে কম বিরোধিতা পাওয়া পদক্ষেপটি ছিল—সাবেক কর্মকর্তাদের সিক্রেট সার্ভিস সুরক্ষা প্রত্যাহার করা; কিন্তু তাতেও ৫২ শতাংশ ভোটার আপত্তি জানিয়েছেন।

আর সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা এসেছে সেই প্রস্তাবেই, যেখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের দেশ থেকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে—এতে ৬৯ শতাংশ ভোটার নেতিবাচক মত দিয়েছেন।

Trump leads opponents in popularity, Biden approval hits new low: US poll

যারা ২০২০ সালে বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু ২০২৪ সালে ট্রাম্পকে ভোট দেন, তারাও ইউগভের সব প্রশ্নেই ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক নীতির বিপক্ষে মত দিয়েছেন, যদিও এই শ্রেণির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

কারা ট্রাম্পের প্রতিশোধ রাজনীতিতে অস্বস্তি বোধ করছেন

জরিপ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ট্রাম্পের নীতিতে অস্বস্তি বোধকারীরা সাধারণত নারী, বয়স্ক, উচ্চশিক্ষিত ও নিয়মিত চার্চে যাতায়াতকারী মানুষ।যারা দৈনন্দিন রাজনীতিতে কম মনোযোগ দেন, তারাও এই প্রতিশোধমূলক নীতিকে অপছন্দ করেন।

অন্যদিকে সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা হলেন—গ্রামীণ এলাকার পুরুষ, যারা সর্বোচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষিত এবং রাজনীতিতে প্রবল আগ্রহী। তাদের কাছে ট্রাম্পের প্রতিশোধ কোনো বাড়াবাড়ি নয়, বরং “বিলম্বিত ন্যায়বিচার।”

দ্বিধায় থাকা রিপাবলিকান ভোটার

ইউগভ জরিপে দেখা যায়, প্রতিশোধ এজেন্ডার বিভিন্ন দিক নিয়ে রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় তিন গুণ বেশি “নিশ্চিত নন” বলে উত্তর দিয়েছেন।

America's Foreign Policy Future: Public Opinion and the 2024 Election | Chicago Council on Global Affairs

এই দ্বিধা তাদের সামাজিক পরিবেশের চাপে মতামত প্রকাশে অনীহার ইঙ্গিত দেয়।

অনেক রিপাবলিকান হয়তো ট্রাম্পের প্রতিশোধনীতি নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন, কিন্তু প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে চান না।

আবার কেউ কেউ অন্তরে প্রতিশোধ চান, কিন্তু জানেন এই দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়—যদিও জরিপটি গোপন হলেও।

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট

সবশেষে জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের সামগ্রিক জনপ্রিয়তা +৭৭ পয়েন্টে রয়েছে।

অর্থাৎ, তারা সবাই তার প্রতিশোধনীতিকে ভালো না-ও বাসতে পারেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে ভালোবাসা এখনও অটুট।

এই জরিপ দেখায় যে আমেরিকায় প্রতিশোধ এখন শুধু রাজনৈতিক প্রতীক নয়, বরং ভোটের মনস্তত্ত্বে রূপ নিয়েছে।

ট্রাম্পের সমর্থকদের জন্য এটি ন্যায়ের এক বিকল্প রূপ, আর বিরোধীদের কাছে গণতন্ত্রের জন্য এক নতুন হুমকি।

 

#ট্রাম্প #আমেরিকা #রাজনীতি #প্রতিশোধ_রাজনীতি #জনমত #ইউগভ #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

আফ্রিকার স্বৈরশাসকরা: প্রাচীন যুগের অবশিষ্টাংশ নন, বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি আদর্শ

আমেরিকায়  ট্রাম্পের‘ প্রতিশোধের ভোট: জনমত জরিপে বিভাজনের চিত্র

০৪:৪২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকান রাজনীতিতে নতুন এক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে—“প্রতিশোধমূলক শাসননীতি।” ২০২৩ সালে, কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, “যারা প্রতারিত হয়েছেন, আমি তাদের প্রতিশোধ।” ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সেই প্রতিশোধের বাস্তবায়নই চলছে একের পর এক সিদ্ধান্তে।

প্রশাসনের প্রতিশোধ অভিযান

ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই সাবেক বাইডেন প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, দেশজুড়ে, প্রভাবশালী আইন সংস্থাগুলোর ওপর চাপ বাড়িয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তহবিল কাটছাঁট করেছে।

দুই সপ্তাহ আগে সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে অভিযুক্ত করা হয় সেনেট কমিটিতে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোমি ছিলেন সেই ব্যক্তি যাকে ট্রাম্প ২০১৭ সালে বরখাস্ত করেছিলেন রাশিয়ার নির্বাচনী হস্তক্ষেপ তদন্তের সময়।

ট্রাম্প নিজেই সামাজিক মাধ্যমে কোমিকে আক্রমণ করে লিখেছেন, “এই দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক মানুষদের একজন।” এমনকি যেসব এফবিআই কর্মকর্তা কোমির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে রাজি হননি, তারাও শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

Some inconvenient truths about the national election • Maine Morning Star

ভোটাররা কী ভাবছেন

‘দ্য ইকোনমিস্ট’ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভের এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, রিপাবলিকান ভোটারদের বড় অংশ ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক এজেন্ডার পক্ষে, অথচ স্বতন্ত্র বা নির্দল ভোটারদের বড় অংশ তা ঘৃণা করছে।

ইউগভ ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক ২৫টি পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করে। এর মধ্যে মাত্র একটি পদক্ষেপ—যারা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা—রিপাবলিকানদের মধ্যে বেশি বিরোধিতা পেয়েছে।

তবুও প্রায় এক-তৃতীয়াংশ রিপাবলিকান এই সংবিধানবিরোধী ও অযৌক্তিক প্রস্তাবকেও সমর্থন করেছেন।

বিভক্ত সমর্থন

রিপাবলিকানদের আরেক অংশ প্রায় সমানভাবে বিভক্ত দুটি প্রস্তাবে:

১. যেসব শহরের মেয়র ট্রাম্পের বিরোধিতা করেন, তাদের তহবিল বন্ধ করা।

২. সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত যাদুঘর থেকে ট্রাম্পের অপছন্দের প্রদর্শনী সরিয়ে দেওয়া।

অন্যদিকে বাকি ২২টি পদক্ষেপে রিপাবলিকানদের সমর্থন ছিল ব্যাপক। যেমন—

  • • ট্রাম্পের বিরোধিতাকারী শহরগুলোতে ন্যাশনাল গার্ড পাঠানোর প্রস্তাবে ৬৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন,
  • • রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তদন্তে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করার উদ্যোগে ৪৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন।

স্বাধীন ভোটারদের বিরোধিতা

স্বতন্ত্র বা নির্দল ভোটারদের ক্ষেত্রে ফলাফল একেবারেই উল্টো। সব ২৫টি প্রস্তাবই তাদের কাছে অজনপ্রিয়।

সবচেয়ে কম বিরোধিতা পাওয়া পদক্ষেপটি ছিল—সাবেক কর্মকর্তাদের সিক্রেট সার্ভিস সুরক্ষা প্রত্যাহার করা; কিন্তু তাতেও ৫২ শতাংশ ভোটার আপত্তি জানিয়েছেন।

আর সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা এসেছে সেই প্রস্তাবেই, যেখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের দেশ থেকে বহিষ্কারের কথা বলা হয়েছে—এতে ৬৯ শতাংশ ভোটার নেতিবাচক মত দিয়েছেন।

Trump leads opponents in popularity, Biden approval hits new low: US poll

যারা ২০২০ সালে বাইডেনকে ভোট দিয়েছিলেন কিন্তু ২০২৪ সালে ট্রাম্পকে ভোট দেন, তারাও ইউগভের সব প্রশ্নেই ট্রাম্পের প্রতিশোধমূলক নীতির বিপক্ষে মত দিয়েছেন, যদিও এই শ্রেণির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম।

কারা ট্রাম্পের প্রতিশোধ রাজনীতিতে অস্বস্তি বোধ করছেন

জরিপ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ট্রাম্পের নীতিতে অস্বস্তি বোধকারীরা সাধারণত নারী, বয়স্ক, উচ্চশিক্ষিত ও নিয়মিত চার্চে যাতায়াতকারী মানুষ।যারা দৈনন্দিন রাজনীতিতে কম মনোযোগ দেন, তারাও এই প্রতিশোধমূলক নীতিকে অপছন্দ করেন।

অন্যদিকে সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত সমর্থকরা হলেন—গ্রামীণ এলাকার পুরুষ, যারা সর্বোচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষিত এবং রাজনীতিতে প্রবল আগ্রহী। তাদের কাছে ট্রাম্পের প্রতিশোধ কোনো বাড়াবাড়ি নয়, বরং “বিলম্বিত ন্যায়বিচার।”

দ্বিধায় থাকা রিপাবলিকান ভোটার

ইউগভ জরিপে দেখা যায়, প্রতিশোধ এজেন্ডার বিভিন্ন দিক নিয়ে রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় তিন গুণ বেশি “নিশ্চিত নন” বলে উত্তর দিয়েছেন।

America's Foreign Policy Future: Public Opinion and the 2024 Election | Chicago Council on Global Affairs

এই দ্বিধা তাদের সামাজিক পরিবেশের চাপে মতামত প্রকাশে অনীহার ইঙ্গিত দেয়।

অনেক রিপাবলিকান হয়তো ট্রাম্পের প্রতিশোধনীতি নিয়ে অস্বস্তি বোধ করছেন, কিন্তু প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে চান না।

আবার কেউ কেউ অন্তরে প্রতিশোধ চান, কিন্তু জানেন এই দৃষ্টিভঙ্গি সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়—যদিও জরিপটি গোপন হলেও।

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখনও অটুট

সবশেষে জরিপে দেখা যায়, রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্পের সামগ্রিক জনপ্রিয়তা +৭৭ পয়েন্টে রয়েছে।

অর্থাৎ, তারা সবাই তার প্রতিশোধনীতিকে ভালো না-ও বাসতে পারেন, কিন্তু প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে ভালোবাসা এখনও অটুট।

এই জরিপ দেখায় যে আমেরিকায় প্রতিশোধ এখন শুধু রাজনৈতিক প্রতীক নয়, বরং ভোটের মনস্তত্ত্বে রূপ নিয়েছে।

ট্রাম্পের সমর্থকদের জন্য এটি ন্যায়ের এক বিকল্প রূপ, আর বিরোধীদের কাছে গণতন্ত্রের জন্য এক নতুন হুমকি।

 

#ট্রাম্প #আমেরিকা #রাজনীতি #প্রতিশোধ_রাজনীতি #জনমত #ইউগভ #সারাক্ষণরিপোর্ট