বন্দর প্রবেশাধিকার থেকে ভিসা—কঠোর চাপের ইঙ্গিত
বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় ৮০% বহনকারী নৌপরিবহন খাত থেকে প্রায় ৩% গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়। এই খাতের কার্বন কমাতে আইএমওর (IMO) নতুন কাঠামোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা বিধিনিষেধ, নিষেধাজ্ঞা ও জাহাজের বন্দর প্রবেশাধিকার সীমিত করার হুমকি দিয়েছে। ওয়াশিংটনের বক্তব্য—প্রস্তাবিত মেকানিজম দেশীয় অনুমোদন ছাড়াই কার্যত বৈশ্বিক ট্যাক্স আরোপ করতে পারে এবং জ্বালানি সরবরাহশৃঙ্খলে বাড়তি চাপ দেবে। সমর্থকদের যুক্তি—সমন্বিত আন্তর্জাতিক নিয়ম না হলে দেশভিত্তিক খণ্ডিত বিধান জাহাজমালিকদের বিনিয়োগ অনিশ্চিত করবে, তাই একক কাঠামোই বাস্তবসম্মত পথ।
কী পরিবর্তন আসতে পারে
প্রস্তাবনায় রূপায়ণভিত্তিক কার্বন মূল্যায়ন, জ্বালানির মানদণ্ড, এবং রাজস্বের অংশ গবেষণা ও উন্নয়ন বা উন্নয়নশীল দেশের ট্রানজিশনে ব্যয়ের কথা আছে। কনটেইনার লাইনগুলো দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চয়তা চায়; ট্যাংকার মালিকেরা বাড়তি খরচের আশঙ্কা তুলছে। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থান আইএমওতে ঐকমত্য বিলম্বিত করতে পারে। ফলে মিথানল/অ্যামোনিয়া-রেডি নতুন জাহাজ, শোর পাওয়ার রেট্রোফিট বা রুট অপ্টিমাইজেশনের সিদ্ধান্ত পিছোতে পারে। তবু ডিকার্বনাইজেশনের গতিধারা থামবে না—বড় বন্দর সবুজ বাঙ্কারিং শুরু করছে, ইঞ্জিন নির্মাতারা বিকল্প জ্বালানি পরীক্ষা করছে, আর অর্থায়নেও জলবায়ু ঝুঁকির দাম বসছে। পর্যায়ভিত্তিক সমাধান—শুরুতে হালকা ফি, রাজস্বের অংশ গবেষণা/সহায়তায় ব্যয়, পরে কড়াকড়ি—এমন সমঝোতা হলে গতি ফিরতে পারে। না হলে ব্লক-ভিত্তিক বিভাজনও অসম্ভব নয়।