০৭:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের অসম্পূর্ণ সাধারণ নির্বাচন: জানা দরকার পাঁচটি বিষয় জেলগেট থেকে ফের গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর আওয়ামী লীগ নেতা বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় রাষ্ট্রপতির দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বড় উল্লম্ফন: বাংলাদেশ ব্যাংক আগামীতে ক্ষমতায় এলে মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবো: তারেক রহমান বিশ্বজুড়ে স্ট্রিমিং চাহিদায় কোরিয়ান নাটকের রপ্তানি ঊর্ধ্বমুখী শহরে বাড়ছে শিয়ালের উপস্থিতি, নগর পরিবেশে বন্যপ্রাণীর অভিযোজন সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় উপকূলীয় শহরের নগর পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন এশিয়ায় উন্নত চিপ উৎপাদন বাড়ায় বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে পরিবর্তন গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার

টিকটক বিক্রি? নীতির চেয়ে ‘ক্ষমতা বণ্টন’—নতুন প্রশ্ন

আইন, নির্বাহী আদেশ ও কারা লাভবান হতে পারে

টিকটকের মার্কিন অংশ বিক্রির চাপ এখন কেবল ডাটার নিরাপত্তা নয়; সমালোচকদের মতে এটি মিত্রপোষণ ও মিডিয়া শক্তির পুনর্বণ্টনের হাতিয়ারও হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালের আইনের পর দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নির্বাহী আদেশে সময়রেখা বেঁধে দেওয়া হয়। বহু তথ্য গোপন থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচিত বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী সুবিধাজনক শর্ত, নজরদারির শৈথিল্য বা প্রভাবশালী অবস্থান পেতে পারে। এর বিরোধিতা হবে আদালতে—জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তির সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অ্যান্টিট্রাস্ট প্রশ্নের সংঘাত অনিবার্য।

সমাধানের রূপরেখা ও বাস্তব জটিলতা

মালিকানা বদলালেও রিকমেন্ডেশন সিস্টেম, কনটেন্ট মডারেশন ও ডাটা প্রবাহে কঠোর নিয়ম থাকতেই হবে। কোডবেস আলাদা করা, ক্লাউড অবকাঠামো বদলানো ও রেগুলেটরি আস্থা গড়তে দীর্ঘ ট্রানজিশন দরকার হতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা ও ব্যবহারকারীর জন্য অনিশ্চয়তা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি—কিছু ফিচার ও আয়করণ থমকে যেতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটি নিষেধাজ্ঞার অভিঘাত কমাতে পারে, কিন্তু বাজার ক্ষমতার মানচিত্র বদলাতে সক্ষম। শেষত, কার্যকর সমাধানকে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিযোগিতা ও মতপ্রকাশ—এই তিন লক্ষ্যকে একসঙ্গে সামলাতে হবে, যাতে প্রযুক্তিনীতি ব্যক্তিপ্রীতিতে পরিণত না হয়। নজরদারির নকশাই ঠিক করবে, সমাধান টেকসই হবে কি না।

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের অসম্পূর্ণ সাধারণ নির্বাচন: জানা দরকার পাঁচটি বিষয়

টিকটক বিক্রি? নীতির চেয়ে ‘ক্ষমতা বণ্টন’—নতুন প্রশ্ন

০৬:২০:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আইন, নির্বাহী আদেশ ও কারা লাভবান হতে পারে

টিকটকের মার্কিন অংশ বিক্রির চাপ এখন কেবল ডাটার নিরাপত্তা নয়; সমালোচকদের মতে এটি মিত্রপোষণ ও মিডিয়া শক্তির পুনর্বণ্টনের হাতিয়ারও হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালের আইনের পর দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নির্বাহী আদেশে সময়রেখা বেঁধে দেওয়া হয়। বহু তথ্য গোপন থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচিত বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী সুবিধাজনক শর্ত, নজরদারির শৈথিল্য বা প্রভাবশালী অবস্থান পেতে পারে। এর বিরোধিতা হবে আদালতে—জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তির সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অ্যান্টিট্রাস্ট প্রশ্নের সংঘাত অনিবার্য।

সমাধানের রূপরেখা ও বাস্তব জটিলতা

মালিকানা বদলালেও রিকমেন্ডেশন সিস্টেম, কনটেন্ট মডারেশন ও ডাটা প্রবাহে কঠোর নিয়ম থাকতেই হবে। কোডবেস আলাদা করা, ক্লাউড অবকাঠামো বদলানো ও রেগুলেটরি আস্থা গড়তে দীর্ঘ ট্রানজিশন দরকার হতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা ও ব্যবহারকারীর জন্য অনিশ্চয়তা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি—কিছু ফিচার ও আয়করণ থমকে যেতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটি নিষেধাজ্ঞার অভিঘাত কমাতে পারে, কিন্তু বাজার ক্ষমতার মানচিত্র বদলাতে সক্ষম। শেষত, কার্যকর সমাধানকে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিযোগিতা ও মতপ্রকাশ—এই তিন লক্ষ্যকে একসঙ্গে সামলাতে হবে, যাতে প্রযুক্তিনীতি ব্যক্তিপ্রীতিতে পরিণত না হয়। নজরদারির নকশাই ঠিক করবে, সমাধান টেকসই হবে কি না।