আইন, নির্বাহী আদেশ ও কারা লাভবান হতে পারে
টিকটকের মার্কিন অংশ বিক্রির চাপ এখন কেবল ডাটার নিরাপত্তা নয়; সমালোচকদের মতে এটি মিত্রপোষণ ও মিডিয়া শক্তির পুনর্বণ্টনের হাতিয়ারও হয়ে উঠছে। ২০২৪ সালের আইনের পর দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নির্বাহী আদেশে সময়রেখা বেঁধে দেওয়া হয়। বহু তথ্য গোপন থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচিত বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী সুবিধাজনক শর্ত, নজরদারির শৈথিল্য বা প্রভাবশালী অবস্থান পেতে পারে। এর বিরোধিতা হবে আদালতে—জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তির সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অ্যান্টিট্রাস্ট প্রশ্নের সংঘাত অনিবার্য।
সমাধানের রূপরেখা ও বাস্তব জটিলতা
মালিকানা বদলালেও রিকমেন্ডেশন সিস্টেম, কনটেন্ট মডারেশন ও ডাটা প্রবাহে কঠোর নিয়ম থাকতেই হবে। কোডবেস আলাদা করা, ক্লাউড অবকাঠামো বদলানো ও রেগুলেটরি আস্থা গড়তে দীর্ঘ ট্রানজিশন দরকার হতে পারে। বিজ্ঞাপনদাতা ও ব্যবহারকারীর জন্য অনিশ্চয়তা হচ্ছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি—কিছু ফিচার ও আয়করণ থমকে যেতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য এটি নিষেধাজ্ঞার অভিঘাত কমাতে পারে, কিন্তু বাজার ক্ষমতার মানচিত্র বদলাতে সক্ষম। শেষত, কার্যকর সমাধানকে জাতীয় নিরাপত্তা, প্রতিযোগিতা ও মতপ্রকাশ—এই তিন লক্ষ্যকে একসঙ্গে সামলাতে হবে, যাতে প্রযুক্তিনীতি ব্যক্তিপ্রীতিতে পরিণত না হয়। নজরদারির নকশাই ঠিক করবে, সমাধান টেকসই হবে কি না।