০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার বক্স অফিসে অসম পুনরুদ্ধারের মধ্যে পরিচিত ফ্র্যাঞ্চাইজির ওপর ভর করছে হলিউড মধ্য এশিয়ায় বিরল স্নো লেপার্ড শাবকের দেখা, সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় আশার আলো পরিষ্কার জ্বালানির প্রবৃদ্ধিতে বৈশ্বিক নিঃসরণ স্থিতিশীল, তবে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বিশ্বজুড়ে এআই ব্যবহারের গতি বাড়ায় নতুন নিরাপত্তা স্তর ঘোষণা ওপেনএআইয়ের শীতের শুরুতে যুদ্ধের চাপ বাড়াচ্ছে ইউক্রেন, দীর্ঘ সংঘাতের ইঙ্গিত মস্কোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নতুন কড়াকড়ি, চাপের মুখে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির চাপ বাড়ছে,মানবিক সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ চীনের ওপর নির্ভরতা কমাতে ভিয়েতনামের বিরল খনিজে ১৯ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ এলএস ইকো এনার্জির নতুন মুম্বাই বিমানবন্দর চালু, উড়োজাহাজ খাতে আদানির এক লাখ কোটি টাকার বাজি

ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর: গাজাবাসীর ঘরে ফেরার ঢল, সোমবারের মধ্যে জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতির পর শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তরাঞ্চলের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। কেউ হাঁটায়, কেউ গাড়ি বা গরুর গাড়িতে চড়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে নিজের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই সমঝোতা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে।


যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ঘরে ফেরার ঢল

শনিবার সকালে গাজার উপকূল ধরে উত্তরমুখী ফিলিস্তিনিদের এক দীর্ঘ সারি দেখা যায়। দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে তারা ফিরছেন নিজেদের পরিত্যক্ত ঘরে। অনেকে হাঁটছেন, অনেকে গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে করে ফিরছেন।
একজন নারী, নাবিলা বাসাল, চোখে অশ্রু নিয়ে বলেন, “এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আল্লাহর শুকরিয়া। যুদ্ধ থেমেছে, কষ্ট শেষ হয়েছে।”


মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি সেনা পুনর্বিন্যাস

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজার বড় শহরগুলো থেকে পিছু হটে গেছে। এই যুদ্ধেই প্রাণ হারিয়েছে লক্ষাধিক মানুষ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা উপত্যকা।
চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার দুপুরের মধ্যে হামাস অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে।


ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা স্থায়ী শান্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে একত্র হচ্ছেন।
ট্রাম্পের এই সফরে ইসরায়েল এবং মিশর উভয় দেশই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি তাঁর ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।


ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসা জীবনের খোঁজে

যুদ্ধবিরতির পর গাজাবাসীদের অনেকেই ফিরে গিয়ে দেখেছেন, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, মাটির সঙ্গে মিশে গেছে জীবনের সব সঞ্চয়।
গাজা নগরীর বাসিন্দা আহমেদ আল-জাবারি বলেন, “চল্লিশ বছর আগে যে ঘরটা গড়েছিলাম, এক মুহূর্তে সব শেষ। খুশি যে রক্তপাত থেমেছে, কিন্তু এখন কোথায় যাব? তাবুতে কি বিশ বছর বাঁচব?”


তেলআবিবে উল্লাস, জিম্মিদের জন্য অপেক্ষা

শনিবার রাতে ইসরায়েলের তেলআবিবে হাজারো মানুষ ‘হোস্টেজেস স্কয়ার’-এ জড়ো হয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা প্রতিবাদ ও বেদনার পর এ দিনটি আনন্দের ছিল।
মঞ্চে ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ—যিনি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
উইটকফ বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখতাম এই রাতের জন্য। এটি এক দীর্ঘ যাত্রার পরের বিজয়।”


জিম্মিদের মুক্তির কাউন্টডাউন

ইসরায়েলি সেনাদের পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হওয়ার পর শুক্রবার থেকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই হামাসকে অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মি মুক্তি দিতে হবে।
হাগাই আংগ্রেস্ট নামের এক ইসরায়েলি পিতা বলেন, “আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমাদের ছেলে মাতানের ফেরার খবরের জন্য।”
চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে, যাদের অনেকেই যুদ্ধের সময় আটক হয়েছিল।


ত্রাণ সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ

শনিবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, রবিবার থেকেই তারা শিশুদের জন্য উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার, মাসিক স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও তাবু পাঠানোর কাজ শুরু করবে।
প্রতিদিন শত শত ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে, যাতে থাকবে খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জাম।


মার্কিন সামরিক তদারকি ও গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা

ইসরায়েলের সামরিক প্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার, উইটকফ ও কুশনার গাজায় যান। কুপার জানান, “এটি গাজা পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের অংশ।” তবে মার্কিন সেনারা গাজায় অবস্থান করবে না।


স্থায়ী শান্তি কি সম্ভব?

যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের এই চুক্তি দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—এটি কি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নেবে?
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার সব ধাপ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম—গাজা কে পরিচালনা করবে এবং হামাসের ভবিষ্যৎ কী হবে, যেহেতু তারা এখনো অস্ত্র সমর্পণের বিরোধিতা করছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “সবাই এখন ক্লান্ত যুদ্ধের কারণে। আমি আশাবাদী, এই যুদ্ধবিরতি টিকবে।”
তিনি আরও জানান, তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফরে তিনি ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ‘কনেসেট’-এ ভাষণ দেবেন, যা ২০০৮ সালের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম ঘটনা হবে।


দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা সমানভাবে আনন্দে ভাসছেন। দুই বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন—যাদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ নাগরিক।
যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাসের আকস্মিক হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।


#গাজা #ইসরায়েলহামাসযুদ্ধবিরতি #ট্রাম্প #শার্মআলশেখ #ফিলিস্তিন #জিম্মিমুক্তি #শান্তিচুক্তি #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অচলাবস্থা, কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার

ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর: গাজাবাসীর ঘরে ফেরার ঢল, সোমবারের মধ্যে জিম্মি মুক্তির সম্ভাবনা

১২:০৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কার্যকর যুদ্ধবিরতির পর শনিবার হাজার হাজার ফিলিস্তিনি উত্তরাঞ্চলের দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। কেউ হাঁটায়, কেউ গাড়ি বা গরুর গাড়িতে চড়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে নিজের বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই সমঝোতা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিয়েছে।


যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ঘরে ফেরার ঢল

শনিবার সকালে গাজার উপকূল ধরে উত্তরমুখী ফিলিস্তিনিদের এক দীর্ঘ সারি দেখা যায়। দুই বছরের ভয়াবহ যুদ্ধ শেষে তারা ফিরছেন নিজেদের পরিত্যক্ত ঘরে। অনেকে হাঁটছেন, অনেকে গাড়ি বা ঠেলাগাড়িতে করে ফিরছেন।
একজন নারী, নাবিলা বাসাল, চোখে অশ্রু নিয়ে বলেন, “এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আল্লাহর শুকরিয়া। যুদ্ধ থেমেছে, কষ্ট শেষ হয়েছে।”


মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলি সেনা পুনর্বিন্যাস

এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজার বড় শহরগুলো থেকে পিছু হটে গেছে। এই যুদ্ধেই প্রাণ হারিয়েছে লক্ষাধিক মানুষ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গোটা উপত্যকা।
চুক্তি অনুযায়ী, সোমবার দুপুরের মধ্যে হামাস অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেবে।


ট্রাম্পের শান্তি সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা স্থায়ী শান্তির রূপরেখা চূড়ান্ত করতে একত্র হচ্ছেন।
ট্রাম্পের এই সফরে ইসরায়েল এবং মিশর উভয় দেশই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এটি তাঁর ঘোষিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার অংশ, যার লক্ষ্য হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।


ধ্বংসস্তূপে ফিরে আসা জীবনের খোঁজে

যুদ্ধবিরতির পর গাজাবাসীদের অনেকেই ফিরে গিয়ে দেখেছেন, তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে, মাটির সঙ্গে মিশে গেছে জীবনের সব সঞ্চয়।
গাজা নগরীর বাসিন্দা আহমেদ আল-জাবারি বলেন, “চল্লিশ বছর আগে যে ঘরটা গড়েছিলাম, এক মুহূর্তে সব শেষ। খুশি যে রক্তপাত থেমেছে, কিন্তু এখন কোথায় যাব? তাবুতে কি বিশ বছর বাঁচব?”


তেলআবিবে উল্লাস, জিম্মিদের জন্য অপেক্ষা

শনিবার রাতে ইসরায়েলের তেলআবিবে হাজারো মানুষ ‘হোস্টেজেস স্কয়ার’-এ জড়ো হয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন। দুই বছর ধরে চলা প্রতিবাদ ও বেদনার পর এ দিনটি আনন্দের ছিল।
মঞ্চে ছিলেন ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ—যিনি যুদ্ধবিরতি আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
উইটকফ বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখতাম এই রাতের জন্য। এটি এক দীর্ঘ যাত্রার পরের বিজয়।”


জিম্মিদের মুক্তির কাউন্টডাউন

ইসরায়েলি সেনাদের পুনর্বিন্যাস সম্পন্ন হওয়ার পর শুক্রবার থেকে ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শুরু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই হামাসকে অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মি মুক্তি দিতে হবে।
হাগাই আংগ্রেস্ট নামের এক ইসরায়েলি পিতা বলেন, “আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি আমাদের ছেলে মাতানের ফেরার খবরের জন্য।”
চুক্তি অনুযায়ী, জিম্মিদের মুক্তির পর ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে ছেড়ে দেবে, যাদের অনেকেই যুদ্ধের সময় আটক হয়েছিল।


ত্রাণ সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘ

শনিবার ইউনিসেফ জানিয়েছে, রবিবার থেকেই তারা শিশুদের জন্য উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন খাবার, মাসিক স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও তাবু পাঠানোর কাজ শুরু করবে।
প্রতিদিন শত শত ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে, যাতে থাকবে খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সরঞ্জাম।


মার্কিন সামরিক তদারকি ও গাজার পুনর্গঠন পরিকল্পনা

ইসরায়েলের সামরিক প্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার, উইটকফ ও কুশনার গাজায় যান। কুপার জানান, “এটি গাজা পুনর্গঠন ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠনের অংশ।” তবে মার্কিন সেনারা গাজায় অবস্থান করবে না।


স্থায়ী শান্তি কি সম্ভব?

যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের এই চুক্তি দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসানের সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—এটি কি স্থায়ী শান্তিতে রূপ নেবে?
ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার সব ধাপ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে অন্যতম—গাজা কে পরিচালনা করবে এবং হামাসের ভবিষ্যৎ কী হবে, যেহেতু তারা এখনো অস্ত্র সমর্পণের বিরোধিতা করছে।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “সবাই এখন ক্লান্ত যুদ্ধের কারণে। আমি আশাবাদী, এই যুদ্ধবিরতি টিকবে।”
তিনি আরও জানান, তাঁর মধ্যপ্রাচ্য সফরে তিনি ইসরায়েলি পার্লামেন্ট ‘কনেসেট’-এ ভাষণ দেবেন, যা ২০০৮ সালের পর কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম ঘটনা হবে।


দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি ও ভবিষ্যতের প্রত্যাশা

এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা সমানভাবে আনন্দে ভাসছেন। দুই বছরে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন—যাদের অধিকাংশই ছিলেন সাধারণ নাগরিক।
যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, যখন হামাসের আকস্মিক হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।


#গাজা #ইসরায়েলহামাসযুদ্ধবিরতি #ট্রাম্প #শার্মআলশেখ #ফিলিস্তিন #জিম্মিমুক্তি #শান্তিচুক্তি #সারাক্ষণরিপোর্ট