০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
টিম্বার র‍্যাটলস্নেক: উত্তর আমেরিকার বনে এক ঝনঝনানো সতর্কতার প্রতীক কুশিয়ারা নদীতে নিখোঁজ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার, অবৈধ বালু উত্তোলনে প্রশ্ন প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩০৬) মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ, হিজলায় যৌথ অভিযানে ২৭ আটক দক্ষ ব্যবস্থাপকরা জানেন কোথায় কাকে বসাতে হয় — কর্মীদের সঠিক ভূমিকা নির্ধারণই সাফল্যের মূল রহস্য কয়রায় ৮ কেজি হরিণের মাংসসহ নারী আটক—সুন্দরবন ঘিরে চোরাশিকার রুট খতিয়ে দেখছে পুলিশ জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ বছর পর—চীন কীভাবে নতুনভাবে গড়ে তুলছে নিজের ‘বিজয়ের ইতিহাস’ মধ্যযুগে ব্রিটেনে রুটি বিক্রিতে কঠোর শাস্তি—‘আসাইজ’ আইন কীভাবে রক্ষা করেছিল ক্রেতার অধিকার ইংল্যান্ডের অভিজাত ভোজসভায় ছুরি-চামচ ছিল সামাজিক মর্যাদার প্রতীক রাজেশপুর শালবন: কুমিল্লার সবুজ হৃদয়ে প্রকৃতির নিঃশব্দ সিম্ফনি

চীন–উত্তর কোরিয়ার ‘কৌশলগত সহযোগিতা’—উত্তর–পূর্ব এশিয়ায় বার্তা কী

বেইজিং–পিয়ংয়ং ইঙ্গিত, প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা উদ্ধৃত করে চীন জানিয়েছে—পিয়ংয়ংয়ের সঙ্গে ‘কৌশলগত সহযোগিতা’ আরও গভীর করা হবে। কিম জং উনের সাম্প্রতিক বেইজিং সফরের পর এবং নিষেধাজ্ঞা–মিসাইল পরীক্ষা–জোট–রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে এই সিগন্যাল এলো। চীনের লক্ষ্য সীমান্ত–স্থিতিশীলতা ও বড় শক্তির প্রতিযোগিতায় প্রভাব; পিয়ংয়ংয়ের লক্ষ্য রাজনৈতিক আশ্রয় ও অর্থনৈতিক লাইফলাইন জোরদার। ঘোষণায় নতুন সহায়তা খতিয়ান নেই, তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমন্বয়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

সময়ের বার্তা জোরাল। যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া, মিসাইল প্রতিরক্ষা উন্নয়ন এবং ইউক্রেন–যুদ্ধের জেরে অস্ত্র–সরবরাহের নতুন চক্র তৈরি হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার কঠিন জ্বালানি চালিত (সলিড–ফুয়েল) মিসাইল, ক্রুজ সিস্টেম ও নজরদারি সক্ষমতা তার লক্ষ্যভান্ডার বাড়িয়েছে—আটকানো ও সংকট–পরিচালনা জটিল হয়েছে। সীমান্ত–স্থিতিশীলতা চায় বেইজিং; অতিরিক্ত চাপ দিয়ে অস্থিরতা বা শরণার্থী স্রোত ডাকার ঝুঁকি নেয় না। কিন্তু দূরপাল্লার উসকানি বাড়লে অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি শক্ত হয়—এটিও চীন অপছন্দ করে। তাই একদিকে অনুপ্রবেশ–রোধের ভাষা, অন্যদিকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কূটনীতি—দুই দিকেই তাদের পদচারণা।

এখন সম্ভাবনা ‘নিষেধমুক্ত’ সহযোগিতায়—অনুমোদিত পণ্যে বাণিজ্য, সীমিত পর্যটন, বেসামরিক টেক–বিনিময়। নজরে আছে সামুদ্রিক সমন্বয়, সাইবার আচরণবিধি ও কিছু ইস্যুতে যৌথ বয়ান। আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম; কৌশলগত অস্পষ্টতাই দরকষাকষির শক্তি। সিউল–টোকিওর জন্য বার্তাটি স্পষ্ট—ওয়াশিংটনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় সমন্বয়, সমন্বিত মিসাইল সতর্কতা ও সাগরতল নজরদারি। সমালোচনায় থাকবে—প্রতিক্রমী হামলার নীতি নিয়ে বিতর্ক, আর সমালোচনাযোগ্য খনিজ–সেমিকন্ডাক্টর–জ্বালানি সরবরাহচেইনের সহনশীলতা।

কূটনীতিতে চলবে কোরিওগ্রাফি। পিয়ংয়ং উষ্ণ ভাষার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা চালিয়ে গুরুত্ব দেখাতে পারে; বেইজিং সংযমের কথা বলবে, ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’কে দায়ী করবে। শীতের আগে মানবিক সহায়তা, খাদ্য–সার–ছাড়ের পথও খোঁজা হতে পারে। তবু বাস্তবতা অটুট—উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভান্ডার বড় ও অধিক টিকে থাকার মতো; নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন অসম; হটলাইন দুর্বল। তাই ভুল–পাঠ বা সমুদ্রে সংঘাত দ্রুত জট পাকাতে পারে। উত্তম পথ—পরিচালিত প্রতিযোগিতা: স্পষ্ট লালরেখা, পূর্বানুমেয় সংকেত, সীমিত ও প্রত্যাহারযোগ্য আস্থার পদক্ষেপ—যাতে উত্তেজনা কমে, কিন্তু ভান করা সমাধানে না যায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

টিম্বার র‍্যাটলস্নেক: উত্তর আমেরিকার বনে এক ঝনঝনানো সতর্কতার প্রতীক

চীন–উত্তর কোরিয়ার ‘কৌশলগত সহযোগিতা’—উত্তর–পূর্ব এশিয়ায় বার্তা কী

০৫:২৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

বেইজিং–পিয়ংয়ং ইঙ্গিত, প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা উদ্ধৃত করে চীন জানিয়েছে—পিয়ংয়ংয়ের সঙ্গে ‘কৌশলগত সহযোগিতা’ আরও গভীর করা হবে। কিম জং উনের সাম্প্রতিক বেইজিং সফরের পর এবং নিষেধাজ্ঞা–মিসাইল পরীক্ষা–জোট–রাজনীতির টানাপোড়েনের মধ্যে এই সিগন্যাল এলো। চীনের লক্ষ্য সীমান্ত–স্থিতিশীলতা ও বড় শক্তির প্রতিযোগিতায় প্রভাব; পিয়ংয়ংয়ের লক্ষ্য রাজনৈতিক আশ্রয় ও অর্থনৈতিক লাইফলাইন জোরদার। ঘোষণায় নতুন সহায়তা খতিয়ান নেই, তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যু ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমন্বয়ের ইঙ্গিত স্পষ্ট।

সময়ের বার্তা জোরাল। যুক্তরাষ্ট্র–দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া, মিসাইল প্রতিরক্ষা উন্নয়ন এবং ইউক্রেন–যুদ্ধের জেরে অস্ত্র–সরবরাহের নতুন চক্র তৈরি হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার কঠিন জ্বালানি চালিত (সলিড–ফুয়েল) মিসাইল, ক্রুজ সিস্টেম ও নজরদারি সক্ষমতা তার লক্ষ্যভান্ডার বাড়িয়েছে—আটকানো ও সংকট–পরিচালনা জটিল হয়েছে। সীমান্ত–স্থিতিশীলতা চায় বেইজিং; অতিরিক্ত চাপ দিয়ে অস্থিরতা বা শরণার্থী স্রোত ডাকার ঝুঁকি নেয় না। কিন্তু দূরপাল্লার উসকানি বাড়লে অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি শক্ত হয়—এটিও চীন অপছন্দ করে। তাই একদিকে অনুপ্রবেশ–রোধের ভাষা, অন্যদিকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঠেকানোর কূটনীতি—দুই দিকেই তাদের পদচারণা।

এখন সম্ভাবনা ‘নিষেধমুক্ত’ সহযোগিতায়—অনুমোদিত পণ্যে বাণিজ্য, সীমিত পর্যটন, বেসামরিক টেক–বিনিময়। নজরে আছে সামুদ্রিক সমন্বয়, সাইবার আচরণবিধি ও কিছু ইস্যুতে যৌথ বয়ান। আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম; কৌশলগত অস্পষ্টতাই দরকষাকষির শক্তি। সিউল–টোকিওর জন্য বার্তাটি স্পষ্ট—ওয়াশিংটনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় সমন্বয়, সমন্বিত মিসাইল সতর্কতা ও সাগরতল নজরদারি। সমালোচনায় থাকবে—প্রতিক্রমী হামলার নীতি নিয়ে বিতর্ক, আর সমালোচনাযোগ্য খনিজ–সেমিকন্ডাক্টর–জ্বালানি সরবরাহচেইনের সহনশীলতা।

কূটনীতিতে চলবে কোরিওগ্রাফি। পিয়ংয়ং উষ্ণ ভাষার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষা চালিয়ে গুরুত্ব দেখাতে পারে; বেইজিং সংযমের কথা বলবে, ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’কে দায়ী করবে। শীতের আগে মানবিক সহায়তা, খাদ্য–সার–ছাড়ের পথও খোঁজা হতে পারে। তবু বাস্তবতা অটুট—উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রভান্ডার বড় ও অধিক টিকে থাকার মতো; নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন অসম; হটলাইন দুর্বল। তাই ভুল–পাঠ বা সমুদ্রে সংঘাত দ্রুত জট পাকাতে পারে। উত্তম পথ—পরিচালিত প্রতিযোগিতা: স্পষ্ট লালরেখা, পূর্বানুমেয় সংকেত, সীমিত ও প্রত্যাহারযোগ্য আস্থার পদক্ষেপ—যাতে উত্তেজনা কমে, কিন্তু ভান করা সমাধানে না যায়।