এইচ-১বি হলো ওয়ার্ক ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে মার্কিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, গবেষণার মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশী নাগরিকদের এ ভিসা স্পন্সর করে মার্কিন কোম্পানিগুলো। প্রাথমিকভাবে এর মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা যায়। এ সময়ের মধ্যে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা।
এইচ-১বি হলো ওয়ার্ক ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে মার্কিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারেন। তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, গবেষণার মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে বিদেশী নাগরিকদের এ ভিসা স্পন্সর করে মার্কিন কোম্পানিগুলো। প্রাথমিকভাবে এর মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা যায়। এ সময়ের মধ্যে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেটের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরি খুঁজছেন বাংলাদেশী তরুণ তাহমিদ জামান (ছদ্মনাম)। বর্তমানে তিনি ওপিটিতে রয়েছেন। ভিসার ওপর নতুন করে ১ লাখ ডলার আরোপ নিজের কর্মসংস্থান নিয়ে আরো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ গ্র্যাজুয়েট।
তাহমিদ জামান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্তমানে আমি ওপিটি পিরিয়ডে আছি। চাকরি খুঁজছি, বিভিন্ন কোম্পানিতে। সাক্ষাৎকারও দিয়েছি। কিন্তু চাকরি পাচ্ছি না। সম্প্রতি একটি কোম্পানিতে পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়েছে, সেখানে তিনজন আমেরিকান ও দুজন বিদেশী। কিন্তু ট্রাম্পের ফি ঘোষণার আগে ওই প্রতিষ্ঠানে বিদেশী কর্মী নিয়োগের হার ছিল বেশি।’
অপশনাল প্র্যাকটিক্যাল ট্রেনিং বা ওপিটি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে এফ-১ ভিসায় পড়াশোনা শেষে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য কাজের সুযোগ। এ সময়ের পর যদি কোনো গ্র্যাজুয়েটকে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কোম্পানি রাখতে চায়, তাহলে দেশটির সরকারের কাছে এইচ-১বি ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত বেশ কয়েকজন অভিবাসী কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা উচ্চশিক্ষার জন্য যান তারা মূলত এফ-১ ভিসা (পড়াশোনার জন্য নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা) নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন। এরপর পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থান মিললে তাদের ভিসা ক্যাটাগরি এইচ-১বি-তে (যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কাজের ভিসা) রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে এইচ-১বি ভিসায় ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করায় উচ্চতর পড়াশোনা থেকে কর্মসংস্থান মিলবে কিনা তা নিয়ে বড় আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কাজ না মিললে বিপুল ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে ফিরে আসতে হতে পারে অধিকাংশ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে। অন্য দেশে যাওয়ার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ।
দক্ষ কর্মী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর অভিবাসীদের ১ লাখ ডলার ফি দেয়ার নির্বাহী আদেশ জারি করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাতে সই করেন। ভিসার ওপর বড় ধরনের এ ফি আরোপে বাংলাদেশীরা বড় আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন অভিবাসন-সংক্রান্ত আইন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে বাংলাদেশী শিক্ষকরা।
তাদের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসায় বাংলাদেশ থেকে কম নাগরিক গেলেও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী ও গ্র্যাজুয়েট প্রবেশ করছেন। তাদের অনেকে পড়াশোনা শেষে সেখানেই থেকে যেতে বিভিন্ন ধরনের কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেন। এখন এইচ-১বি ভিসার ওপর বড় ধরনের ফি আরোপ তাতে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কেননা এ ধরনের ভিসায় মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদেশী কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যয়ের বিষয়টি নিশ্চয়ই বিবেচনা করবে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে অভিবাসী কর্মী গ্রহণেও অনিচ্ছা প্রকাশ করার বড় শঙ্কা রয়েছে। অনেকেই চাকরি হারাবেন, আবার অনেককে দেশে ফেরত আসতে হবে। কেউ কেউ হয়তো বিকল্প পথ খুঁজে নেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন কর্মরত আছেন বাংলাদেশী এক শিক্ষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমি বছরে ৯০ হাজার ডলারে চাকরি করি। এখন পর্যন্ত গ্রিন কার্ড পাইনি, এইচ-১বি ভিসা পাইনি। আমার ভিসার জন্য যেহেতু বেতনের বাইরে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে, তাই আশঙ্কা করছি হয়তো দেশে ফিরে যেতে হবে। এত টাকা দিয়ে আমাকে রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয়ই পুনর্বিবেচনা করবে না।’
দেশ থেকে প্রতি বছর উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার জন্য বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। যাদের অনেকে আবার স্থায়ীভাবে থাকার জন্য দ্বিতীয় দফায় একই ডিগ্রি গ্রহণ করছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ঠিক কী পরিমাণ বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ২০২৪ সালের ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশনাল এক্সচেঞ্জ’-এর তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী প্রবেশ করেছেন ১৭ হাজার ৯৯ জন, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ বেশি। এ বৃদ্ধি বাংলাদেশকে এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী পাঠানো দেশের তালিকায় ১৩তম স্থান থেকে অষ্টম স্থানে নিয়ে এসেছে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৮০২ জন। গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এ সংখ্যা ২৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন চলতি বছর মে মাসে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সাময়িকভাবে স্থগিত করে, যার প্রভাব দেখা যায় দেশটিতে যাওয়া বিদেশী শিক্ষার্থীদের ওপরও। মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের জুলাইয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থী গিয়েছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৯৯৩ জন। চলতি বছরের একই মাসে তা কমে ৭৬ হাজার ৫১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এফ-১ স্টুডেন্ট ভিসায় বসবাসরত এবং ওপিটি পিরিয়ডে চাকরি করছেন এমন ছয় বাংলাদেশীর সঙ্গে কথা হয় বণিক বার্তার এ প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাদের প্রত্যেকে জানান, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব বাংলাদেশী পড়াশোনা করতে যান, তাদের মূলত স্থায়ী বসবাসের জন্য একটা মৌলিক প্রচেষ্টা থাকে দেশটিতে কর্মসংস্থান খুঁজে নেয়ার। কিন্তু ভিসা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন আদেশ তীব্রভাবে অস্বস্তিতে ফেলেছে চাকরিপ্রার্থীদের। তারা জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাত ছাড়া বাংলাদেশীরা যেসব খাতে চাকরি করেন, সেখানে বছরে গড় বেতন ১ লাখ ডলারের নিচে। ফলে এক বছরের সমপরিমাণ ভিসায় নতুন ফি দিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানই চাইবে না কর্মী নিয়োগ করতে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি খাতে অন্য যেকোনো কাজের তুলনায় বেতন তিন থেকে চার গুণ বেশি। যেসব কর্মী অনেক বেশি দক্ষ এবং যাদের বেতন বেশি তাদের বিষয়ে হয়তো কোম্পানি বিবেচনা করবে বলে মনে করেন তারা।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসাধারীদের একটি বড় অংশ ভারতীয় ও চীনা নাগরিক। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা পরিসংখ্যান অনুসারে বর্তমান এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশ ভারতীয় নাগরিক, চীনা নাগরিক ১২ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে ফিলিপাইন, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, তাইওয়ান এবং পাকিস্তান, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়ান নাগিরকরা। এর বাইরে ১০ শতাংশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিক। তাই এইচ-১বি ভিসায় নতুন ফি আরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন ভারতীয় ও চীনা নাগরিকরা।
বাংলাদেশী অভিনেতা এবং মার্কিন ভিসা কনসালট্যান্ট আদনান ফারুক হিল্লোল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমেরিকায় উচ্চ-দক্ষ বিদেশী কর্মীদের জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলার ভিসা ফি নির্ধারণের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারত ও চীন। পরিসংখ্যান এবং রেশিও বিবেচনা করলে এ দুই দেশের নাগরিকরাই এ ভিসায় বেশি কনভার্ট হন। সে হিসাবে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কারণ নেই। তবে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না সেটিও বলছি না।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের নীতি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক নীতির বিরুদ্ধে কোর্টে আপিল হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল হতে পারে বলে শুনেছি।’
প্রতি বছর উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশী পেশাজীবীদের আকৃষ্ট করতে এইচ-১বি ওয়ার্ক ভিসা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল, চিকিৎসা, গবেষণার মতো বিশেষায়িত ক্ষেত্রে যোগ্য কর্মী নিয়োগে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিদেশী নাগরিকদের এ ভিসা স্পন্সর করে। দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থীদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা থেকে দক্ষ কর্মসংস্থানে রূপান্তরের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য আইনি পথ ছিল এইচ-১বি ভিসা। মার্কিন অভিবাসন নীতির হঠাৎ এ পরিবর্তনে সেখানকার বাংলাদেশী গ্র্যাজুয়েট ও পিএইচডিধারীরাও বলছেন যে ভিসা ফি বৃদ্ধির ফলে তাদের দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ও উদ্বেগ তৈরি করেছে। যারা দেশটিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করছিলেন তারাও নানা শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার’-এর প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. শিব্বির আহমদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মূলত এটি ট্রাম্পের একটি পলিসি যে তারা স্থানীয়দের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়াচ্ছে। কোম্পানিগুলো যখন বাইরের দেশ থেকে কর্মী নেয় তখন এইচ-১বি ভিসার স্পন্সর করে। ভারতীয়রা সাধারণত আইটি সেক্টরে এ ধরনের ভিসা বেশি পান। আর বাংলাদেশ থেকে যারা আসেন, তারা এফ-১ ভিসায় অর্থাৎ স্টুডেন্ট ভিসায় প্রবেশ করেন। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসা থেকে ওপিটি পিরিয়ডে চাকরিতে জয়েন করেন বাংলাদেশীরা। তিন বছর ওপিটিতে থাকার পর এইচ-১বি ভিসায় রূপান্তর হয়। এইচ-১বি ভিসায় রূপান্তরের অর্থ হলো পরবর্তী ছয় বছরের জন্য ওই ব্যক্তির ভিসার মেয়াদ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রে। এর মধ্যে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনও করতে পারবেন তিনি।’
জানা গেছে, এইচ-১বি ভিসায় ১ লাখ ডলার ফি ধার্য করার পর কোম্পানিগুলো আগের মতো বিদেশী কর্মী নিতে অস্বীকৃতি জানাবে। যারা স্টুডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, তারা হয়তো তিন বছর ওপিটি ভিসায় কাজ করতে পারবেন সর্বোচ্চ। তবে বিকল্প থাকবে বাংলাদেশ থেকে যারা পিএইচডি, সায়েন্টিফিক ও একাডেমিক ক্যাটাগরিতে আসেন। তারা হয়তো গ্রিনকার্ড আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সমস্যাটা হবে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরই।
বণিক বার্তা