১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
বাণিজ্য-উদ্বেগে তেলদাম নিম্নমুখী—সরবরাহ এখনো স্বচ্ছন্দ রকেট’ ভঙ্গির ড্রোনে এক সেন্ট ডেলিভারি—এয়ারবাউন্ডের তহবিল ৮.৬৫ মিলিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৭) হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ল ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত আখ নয়, শস্যই এখন ভারতের ইথানল বিপ্লবের চালিকাশক্তি ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ৬ ব্যাংক থেকে আরও ৩৮ মিলিয়ন ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৫ দিন ধরে ওসি শূন্য বেনাপোল পোর্ট থানা—অপরাধ ও চোরাচালানে বাড়ছে তিন দফা দাবিতে উচ্চ আদালতের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে শিক্ষকরা ভারতের তেলঙ্গানার প্রাক্তন সাংসদ কে. কবিতা বললেন, ‘সত্য বলার কারণেই আজ আমি একা আসিয়ান শীর্ষে থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে

মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড—গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ৯ জনের মৃত্যু

ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে থাকা গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, কেমিক্যাল বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণহানি ঘটে।


ঘটনাস্থল ও সময়

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, সকাল আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।


উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা

সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তল্লাশি ও অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত আছে।


সম্ভাব্য কারণ ও ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, কেমিক্যাল বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে চূড়ান্ত কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এলাকা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ; সাধারণ নাগরিকদের ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০০ গজ দূরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।


হতাহতদের পরিচয় ও চিকিৎসা

আহত তিনজন—মামুন (৩৫), সোহেল (৩২) ও সুরুজ (৩০)—কে অচেতন অবস্থায় দুপুর প্রায় ২টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাতে জানা গেছে, মামুন এআর ফ্যাশনের কাটিং মাস্টার হিসেবে এবং সোহেল ফিনিশিং সেকশনে কাজ করেন; সুরুজ একটি অর্ডারের পণ্যের গুণগত মান পরিদর্শনে সেখানে গিয়েছিলেন।


বর্তমান পরিস্থিতি

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ শীতলীকরণ এবং ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকা পড়েছে কি না—তা নিশ্চিত করতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকার চারদিকে নিরাপত্তা বলয় বজায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।


পরবর্তী পদক্ষেপ

তদন্ত কমিটি ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ, কেমিক্যাল সংরক্ষণের নিরাপত্তা মানদণ্ড মানা হয়েছিল কি না, এবং ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি ছিল কি না—এসব বিষয় যাচাই করবে। প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

#মিরপুরঅগ্নিকাণ্ড #গার্মেন্টসদুর্ঘটনা #কেমিক্যালগুদাম #ফায়ারসার্ভিস #বার্নইনস্টিটিউট #ঢাকাসংবাদ #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বাণিজ্য-উদ্বেগে তেলদাম নিম্নমুখী—সরবরাহ এখনো স্বচ্ছন্দ

মিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড—গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ৯ জনের মৃত্যু

০৬:৫০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি ভবনে থাকা গার্মেন্টস কারখানা ও কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, কেমিক্যাল বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে প্রাণহানি ঘটে।


ঘটনাস্থল ও সময়

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, সকাল আনুমানিক ১১টা ৪০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ভবনের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে, চারপাশ ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।


উদ্ধার ও নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা

সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত ৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং তল্লাশি ও অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত আছে।


সম্ভাব্য কারণ ও ঝুঁকি

ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, কেমিক্যাল বিস্ফোরণের পর বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে চূড়ান্ত কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এলাকা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ; সাধারণ নাগরিকদের ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০০ গজ দূরে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।


হতাহতদের পরিচয় ও চিকিৎসা

আহত তিনজন—মামুন (৩৫), সোহেল (৩২) ও সুরুজ (৩০)—কে অচেতন অবস্থায় দুপুর প্রায় ২টা ৪৫ মিনিটে উদ্ধার করে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিবারের বরাতে জানা গেছে, মামুন এআর ফ্যাশনের কাটিং মাস্টার হিসেবে এবং সোহেল ফিনিশিং সেকশনে কাজ করেন; সুরুজ একটি অর্ডারের পণ্যের গুণগত মান পরিদর্শনে সেখানে গিয়েছিলেন।


বর্তমান পরিস্থিতি

ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণ, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ শীতলীকরণ এবং ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকা পড়েছে কি না—তা নিশ্চিত করতে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকার চারদিকে নিরাপত্তা বলয় বজায় রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।


পরবর্তী পদক্ষেপ

তদন্ত কমিটি ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ, কেমিক্যাল সংরক্ষণের নিরাপত্তা মানদণ্ড মানা হয়েছিল কি না, এবং ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো ত্রুটি ছিল কি না—এসব বিষয় যাচাই করবে। প্রাথমিক তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

#মিরপুরঅগ্নিকাণ্ড #গার্মেন্টসদুর্ঘটনা #কেমিক্যালগুদাম #ফায়ারসার্ভিস #বার্নইনস্টিটিউট #ঢাকাসংবাদ #সারাক্ষণরিপোর্ট