কয়লা–গ্যাস বাড়লে, বাতাস–সৌর চাপে
ডিএনভির নতুন পূর্বাভাস বলছে, ফেডারেল প্রণোদনা কমে গেলে ও জীবাশ্ম জ্বালানির আয়ু বাড়ালে ২০৫০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ খাতে অতিরিক্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমন হতে পারে। হিসাব অনুযায়ী কয়লা উৎপাদন আগের ধারণার তুলনায় প্রায় ৪৬% বেশি এবং গ্যাস প্রায় ৫% বেশি থাকবে; ফলে বায়ু বিদ্যুৎ ২৪% পর্যন্ত কমে যেতে পারে, সৌরেও সামান্য চাপ পড়বে।
চাহিদা বৃদ্ধির বাস্তবতা ও নীতি–ঝুঁকি
ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান ও তাপপ্রবাহের চাহিদায় গ্রিডে নতুন ক্ষমতার প্রয়োজন বাড়ছে। কিন্তু নীতি জীবাশ্মের দিকে ঝুঁকলে নির্গমন লেজ দীর্ঘ হবে এবং ট্রান্সমিশন বিনিয়োগের জায়গা সঙ্কুচিত হবে। ইতিমধ্যেই ইন্টারকানেকশন কিউয়ে হাজার হাজার মেগাওয়াট আটকে আছে; প্রণোদনা–অনিশ্চয়তা সেই জট আরও বাড়াতে পারে। কার্বন ক্যাপচার প্রকল্পে গতি অসম, আর মধ্য–পশ্চিমের বাতাস ও মরুভূমির সৌর বিদ্যুৎ বড় শহরে পৌঁছাতে ট্রান্সমিশন আপগ্রেড যথেষ্ট নয়।
তবুও, বাজার–অর্থনীতি কাজ করছে। বহু রাজ্যে ইউটিলিটি–স্কেল সৌর ও ব্যাটারি এখনো সবচেয়ে সস্তা নতুন ক্ষমতা, তাই খরচ কমাতে ইচ্ছুক ইউটিলিটিগুলোর পক্ষে এগুলো উপেক্ষা করা কঠিন। তবে নির্ভরযোগ্য ট্যাক্স ক্রেডিট ও দ্রুত পারমিট না থাকলে স্থাপনের গতি কমে যায়। এর ফলে গ্রিডের আকার বাড়লেও, আগের পরিকল্পনার তুলনায় “ময়লা” নির্গমন বেশি থাকবে—এমনটাই সতর্কতা।
ভোক্তাদের জন্য মিশ্র বার্তা। গ্যাসের দাম কম থাকলে ও সৌর–ব্যাটারি হাইব্রিড বাড়লে বিল স্থিতিশীল হতে পারে, কিন্তু জ্বালানি–মূল্য অস্থিরতার ঝুঁকি থাকবে। জলবায়ু লক্ষ্যে প্রভাব আরও স্পষ্ট: অতিরিক্ত নির্গমন রাজ্যভিত্তিক ক্লিন এনার্জি ম্যান্ডেট ও প্যারিস–সম্মত পথকে কঠিন করে তোলে। ডিএনভির চিত্রনাট্য মনে করিয়ে দেয়—নীতির বোতাম ঘোরালেই প্রক্ষেপণ পাল্টে যায়, আর হারানো সময় পুনরুদ্ধার করা সবচেয়ে কঠিন কাজ।