১১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
৩,৯৯৯ ডলারে অর্ডার খুলল এনভিডিয়ার ‘পার্সোনাল এআই সুপারকম্পিউটার’” দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৩৮) অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ পেত”— জিএম কাদের একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৫৮ জন বেতন ও ভাতার দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ, শিক্ষক-কর্মচারীদের শাহবাগ অবরোধ অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে গরুর জরুরী কোয়ারেন্টাইনের সিদ্ধান্ত এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে রংপুরে অ্যানথ্রাক্স: গঙ্গাচরায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ দীপিকা পাড়ুকোনের গ্লোবাল প্লেবুক: হিন্দি ছবির সুপারস্টার কীভাবে বানালেন সীমাহীন ক্যারিয়ার শিক্ষক আন্দোলনে অস্থিরতা শিক্ষায়, সমাধানে কী করছে সরকার?

এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে

বুধবার ঢাকার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে সূচকে বড় ধস নেমেছে। বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ ও বাজারে অব্যাহত মন্দাভাবের কারণে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৮০ পয়েন্ট কমে অক্টোবরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।


সূচকে বড় পতন, অব্যাহত মন্দাভাব

বুধবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় ধস নেমেছে। টানা পতনের ধারাবাহিকতায় সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫,১১৬ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক ছিল ৫,১৯৭ পয়েন্টে। অক্টোবরের শুরুতে এই সূচক ছিল ৫,৪১৫ পয়েন্টে—মাত্র ১৫ দিনে সূচক হারিয়েছে মোট ২৯৯ পয়েন্ট।


শরিয়াহ-ভিত্তিক ও ব্লু-চিপ সূচকেও পতন

শরিয়াহ-ভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ২০ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) ২৮ পয়েন্ট কমেছে। আগের দিনের তুলনায় যথাক্রমে ১.৮২% ও ১.৪৩% পতন ঘটে।


সর্বত্র দরপতন, মাত্র ৩৩ কোম্পানি এগিয়েছে

দিনব্যাপী লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যায়। মোট ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৩৩টির দাম বেড়েছে, ৩২৮টির কমেছে এবং ৩৫টি অপরিবর্তিত ছিল। এ, বি ও জেড—সব শ্রেণির শেয়ারেই দরপতন হয়েছে।
বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যেও বড় দরপতন দেখা যায়, যেখানে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও মাত্র ২২টির শেয়ারমূল্য বেড়েছে, অথচ ১৭৮টির দাম কমেছে।


ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে গেছে

ব্লক মার্কেটে ১৬টি কোম্পানির মোট ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সর্বোচ্চ, ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন করেছে।

টানা ৯ সপ্তাহ বাড়ার পর ধস নামল শেয়ারবাজারে

টার্নওভার অক্টোবরের সর্বনিম্ন স্তরে

ডিএসইতে মোট লেনদেন (টার্নওভার) নেমে এসেছে ৪৮৭ কোটি টাকায়, যা আগের দিনের ৬০৬ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অক্টোবর মাসে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন টার্নওভার।


লাভ-ক্ষতির তালিকা

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি হয়েছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৪.৫%। অন্যদিকে, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ১২%-এরও বেশি দরপতনের মাধ্যমে দিনের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি হিসেবে উঠে এসেছে।


চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই প্রবণতা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসইর ধারাই অনুসরণ করেছে। দিনের শেষে এর সাধারণ সূচক ১৬৮ পয়েন্ট বা ১.১৪% কমেছে। সিএসইতে মোট ১৮৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩০টির দাম বেড়েছে, ১৩৮টির কমেছে এবং ১৭টি অপরিবর্তিত ছিল।
বন্দরনগরীর এই বাজারেও টার্নওভার সামান্য কমে ১৪ কোটি টাকায় দাঁড়ায়; যা আগের দিনের ১৫ কোটি টাকার তুলনায় কিছুটা নিম্নমুখী।


সিএসইতে শীর্ষে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ফান্ড

চট্টগ্রাম বাজারে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী শেয়ার হিসেবে শীর্ষে উঠে আসে, যার মূল্য বেড়েছে ৯%-এরও বেশি। অন্যদিকে, এখানেও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ছিল সর্বাধিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে, যার দাম কমেছে ১৩%-এরও বেশি।

টানা দরপতন ও নিম্ন টার্নওভার বিনিয়োগকারীদের আস্থা নড়বড়ে করে তুলেছে। অক্টোবরের প্রথমার্ধেই সূচকে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট হারানো বাজারের দুর্বল অবস্থা ও তরলতা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, মুনাফা নেওয়া, বিনিয়োগ অনীহা এবং আর্থিক খাতের অনিশ্চয়তাই বাজারের এই মন্দাভাবের মূল কারণ।

#ঢাকাশেয়ারবাজার #ডিএসই #সিএসই #বিনিয়োগ #লঙ্কাবাংলাফাইন্যান্স #শেয়ারদরপতন #অর্থনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

৩,৯৯৯ ডলারে অর্ডার খুলল এনভিডিয়ার ‘পার্সোনাল এআই সুপারকম্পিউটার’”

এক দিনে ৮০ পয়েন্ট পতন, ধস নামলো ঢাকার শেয়ারবাজারে

০৮:০৯:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

বুধবার ঢাকার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে সূচকে বড় ধস নেমেছে। বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ ও বাজারে অব্যাহত মন্দাভাবের কারণে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৮০ পয়েন্ট কমে অক্টোবরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।


সূচকে বড় পতন, অব্যাহত মন্দাভাব

বুধবার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বড় ধস নেমেছে। টানা পতনের ধারাবাহিকতায় সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৫,১১৬ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক ছিল ৫,১৯৭ পয়েন্টে। অক্টোবরের শুরুতে এই সূচক ছিল ৫,৪১৫ পয়েন্টে—মাত্র ১৫ দিনে সূচক হারিয়েছে মোট ২৯৯ পয়েন্ট।


শরিয়াহ-ভিত্তিক ও ব্লু-চিপ সূচকেও পতন

শরিয়াহ-ভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ২০ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ (DS30) ২৮ পয়েন্ট কমেছে। আগের দিনের তুলনায় যথাক্রমে ১.৮২% ও ১.৪৩% পতন ঘটে।


সর্বত্র দরপতন, মাত্র ৩৩ কোম্পানি এগিয়েছে

দিনব্যাপী লেনদেনে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমে যায়। মোট ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৩৩টির দাম বেড়েছে, ৩২৮টির কমেছে এবং ৩৫টি অপরিবর্তিত ছিল। এ, বি ও জেড—সব শ্রেণির শেয়ারেই দরপতন হয়েছে।
বিশেষ করে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর মধ্যেও বড় দরপতন দেখা যায়, যেখানে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও মাত্র ২২টির শেয়ারমূল্য বেড়েছে, অথচ ১৭৮টির দাম কমেছে।


ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে গেছে

ব্লক মার্কেটে ১৬টি কোম্পানির মোট ৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক সর্বোচ্চ, ১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার লেনদেন করেছে।

টানা ৯ সপ্তাহ বাড়ার পর ধস নামল শেয়ারবাজারে

টার্নওভার অক্টোবরের সর্বনিম্ন স্তরে

ডিএসইতে মোট লেনদেন (টার্নওভার) নেমে এসেছে ৪৮৭ কোটি টাকায়, যা আগের দিনের ৬০৬ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অক্টোবর মাসে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন টার্নওভার।


লাভ-ক্ষতির তালিকা

দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধি হয়েছে পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের, যার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৪.৫%। অন্যদিকে, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ১২%-এরও বেশি দরপতনের মাধ্যমে দিনের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানি হিসেবে উঠে এসেছে।


চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই প্রবণতা

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও ডিএসইর ধারাই অনুসরণ করেছে। দিনের শেষে এর সাধারণ সূচক ১৬৮ পয়েন্ট বা ১.১৪% কমেছে। সিএসইতে মোট ১৮৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩০টির দাম বেড়েছে, ১৩৮টির কমেছে এবং ১৭টি অপরিবর্তিত ছিল।
বন্দরনগরীর এই বাজারেও টার্নওভার সামান্য কমে ১৪ কোটি টাকায় দাঁড়ায়; যা আগের দিনের ১৫ কোটি টাকার তুলনায় কিছুটা নিম্নমুখী।


সিএসইতে শীর্ষে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ফান্ড

চট্টগ্রাম বাজারে এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড দিনের সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধিকারী শেয়ার হিসেবে শীর্ষে উঠে আসে, যার মূল্য বেড়েছে ৯%-এরও বেশি। অন্যদিকে, এখানেও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স পিএলসি ছিল সর্বাধিক দরপতনের তালিকার শীর্ষে, যার দাম কমেছে ১৩%-এরও বেশি।

টানা দরপতন ও নিম্ন টার্নওভার বিনিয়োগকারীদের আস্থা নড়বড়ে করে তুলেছে। অক্টোবরের প্রথমার্ধেই সূচকে প্রায় ৩০০ পয়েন্ট হারানো বাজারের দুর্বল অবস্থা ও তরলতা সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, মুনাফা নেওয়া, বিনিয়োগ অনীহা এবং আর্থিক খাতের অনিশ্চয়তাই বাজারের এই মন্দাভাবের মূল কারণ।

#ঢাকাশেয়ারবাজার #ডিএসই #সিএসই #বিনিয়োগ #লঙ্কাবাংলাফাইন্যান্স #শেয়ারদরপতন #অর্থনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট