মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। সংগঠনটি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের কোনো প্রতিষ্ঠানই রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্পের অন্তর্ভুক্ত নয়।
বিজিএমইএর উদ্বেগ ও স্পষ্টীকরণ
বিজিএমইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডকে সংগঠন এবং রপ্তানিমুখী পোশাক খাতের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে—যা বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
সংগঠনটি স্পষ্ট করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো কোনোভাবেই রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের অংশ নয়। এসব প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি বা শিল্পখাতের নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিচালিত হচ্ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত উৎস
বিজিএমইএর বিবৃতিতে বলা হয়, ফায়ার সার্ভিস ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল একটি কেমিক্যাল গুদামে। সেখানে রাসায়নিক বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিষাক্ত ধোঁয়া ও আগুন আশপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে বহু প্রাণহানি ঘটে।
সংগঠনের অবস্থান
বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনামুল হক খান শোকপ্রকাশ করে বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণহানির জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করছি।”
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাস্থলের ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিটগুলো বিজিএমইএর সদস্য নয়। এসব প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিক রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আওতায় পড়ে না এবং কোনো স্বীকৃত শিল্প সমিতির সঙ্গে যুক্তও নয়।
আনুষ্ঠানিক খাতের ভাবমূর্তি রক্ষায় গুরুত্ব
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে এবং কঠোর শ্রম ও নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করছে।
সংগঠনটির মতে, মিরপুর অগ্নিকাণ্ডকে এই খাতের সঙ্গে যুক্ত করা বিভ্রান্তিকর এবং এটি পুরো খাতের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
তারা গণমাধ্যমকে আহ্বান জানিয়েছে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন তথ্য প্রকাশ না করতে, যাতে দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানিমুখী শিল্পের সুনাম অক্ষুণ্ণ থাকে।
#বিজিএমইএ #মিরপুরঅগ্নিকাণ্ড #বাংলাদেশপোশাকশিল্প #RMG #শিল্পখাত #সারাক্ষণরিপোর্ট