০৬:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে উপ-উপাচার্যকে ঘেরাও করল ছাত্রদল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (সিইউসিএসইউ) নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেডিসি)-এর নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।


ভোট গণনা কেন্দ্র ঘেরাও

ঘটনাটি ঘটে রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের আইটি ভবনে, যেখানে ভোট গণনা চলছিল। অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রদলের একাংশ ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে উপ-উপাচার্যের উপস্থিতি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে।


অনিয়মের অভিযোগ ও পুনর্গণনার দাবি

ছাত্রদল অভিযোগ করে, সূর্যসেন হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তাদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী জামাদুল আউয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়েছে। তারা প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দেওয়া ভোট পুনর্গণনার দাবি জানান।

অভিযোগ অনুযায়ী, জামাদুল আউয়াল পেয়েছেন ১,২০৩ ভোট, আর ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থী নিয়ামত উল্লাহ ১,২০৬ ভোট পেয়ে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ছাত্রদল নেতারা এই অল্প ব্যবধানকে ‘অনিয়মের ফল’ বলে দাবি করেন।


পুলিশের হস্তক্ষেপ ও উপ-উপাচার্যের উদ্ধার

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপ-উপাচার্যকে নিরাপদে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভবনের মূল ফটকের কাছে পৌঁছালে ছাত্রদল কর্মীরা আবারও পথ রোধ করে দেন এবং তাঁর বের হওয়া বাধা দেন।

পরে দীর্ঘ আলোচনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় অধ্যাপক কামাল উদ্দিনকে ভবন থেকে নিরাপদে বের করা হয়।


উপ-উপাচার্যের বক্তব্য

অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “ফলাফল ঘোষণার পর আমি বের হতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী আমার পথ রোধ করে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানায়। আমি জানাই, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের, প্রশাসনের নয়। কিন্তু তারা বিষয়টি মানেনি এবং আমাকে প্রায় ৯০ মিনিট একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”


বুধবার অনুষ্ঠিত সিইউসিএসইউ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়, আর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হন ছাত্রদলের প্রার্থী। তবে ফল ঘোষণার পর থেকেই ভোট অনিয়মের অভিযোগে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


# চট্টগ্রাম_বিশ্ববিদ্যালয়, সিইউসিএসইউ, ছাত্রদল, ভোট_জালিয়াতি, উপ-উপাচার্য_অবরুদ্ধ, ক্যাম্পাস_রাজনীতি, নির্বাচন_অনিয়ম

জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রপথে ভ্রমণ এখন কেবল বিলাস নয়, এক অনন্য শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোট জালিয়াতির অভিযোগে উপ-উপাচার্যকে ঘেরাও করল ছাত্রদল

১২:১১:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (সিইউসিএসইউ) নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেডিসি)-এর নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন।


ভোট গণনা কেন্দ্র ঘেরাও

ঘটনাটি ঘটে রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের আইটি ভবনে, যেখানে ভোট গণনা চলছিল। অভিযোগ ওঠার পর ছাত্রদলের একাংশ ভবনের বাইরে জড়ো হয়ে উপ-উপাচার্যের উপস্থিতি দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে।


অনিয়মের অভিযোগ ও পুনর্গণনার দাবি

ছাত্রদল অভিযোগ করে, সূর্যসেন হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে তাদের ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী জামাদুল আউয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়েছে। তারা প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দেওয়া ভোট পুনর্গণনার দাবি জানান।

অভিযোগ অনুযায়ী, জামাদুল আউয়াল পেয়েছেন ১,২০৩ ভোট, আর ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্রার্থী নিয়ামত উল্লাহ ১,২০৬ ভোট পেয়ে সামান্য ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। ছাত্রদল নেতারা এই অল্প ব্যবধানকে ‘অনিয়মের ফল’ বলে দাবি করেন।


পুলিশের হস্তক্ষেপ ও উপ-উপাচার্যের উদ্ধার

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উপ-উপাচার্যকে নিরাপদে বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু ভবনের মূল ফটকের কাছে পৌঁছালে ছাত্রদল কর্মীরা আবারও পথ রোধ করে দেন এবং তাঁর বের হওয়া বাধা দেন।

পরে দীর্ঘ আলোচনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় অধ্যাপক কামাল উদ্দিনকে ভবন থেকে নিরাপদে বের করা হয়।


উপ-উপাচার্যের বক্তব্য

অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “ফলাফল ঘোষণার পর আমি বের হতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী আমার পথ রোধ করে ভোট পুনর্গণনার দাবি জানায়। আমি জানাই, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের, প্রশাসনের নয়। কিন্তু তারা বিষয়টি মানেনি এবং আমাকে প্রায় ৯০ মিনিট একটি কক্ষে আটকে রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”


বুধবার অনুষ্ঠিত সিইউসিএসইউ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেল ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়, আর সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে জয়ী হন ছাত্রদলের প্রার্থী। তবে ফল ঘোষণার পর থেকেই ভোট অনিয়মের অভিযোগে ক্যাম্পাসজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।


# চট্টগ্রাম_বিশ্ববিদ্যালয়, সিইউসিএসইউ, ছাত্রদল, ভোট_জালিয়াতি, উপ-উপাচার্য_অবরুদ্ধ, ক্যাম্পাস_রাজনীতি, নির্বাচন_অনিয়ম