চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটিও শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হতাশাজনক ফলাফল পাওয়া গেছে।
শূন্য পাসের বিবরণ
বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ময়মনসিংহ জেলার সাতটি, জামালপুরের দুটি, নেত্রকোনার চারটি এবং শেরপুরের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড চেয়ারম্যানের তথ্য
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ জানান, এই বছর বোর্ডের সামগ্রিক পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৫১.৫৪ শতাংশ। মোট ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ হাজার ৯৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে।
মেয়েদের এগিয়ে থাকা
উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬ হাজার ৬৭৬ জন ছেলে এবং ২২ হাজার ৪২০ জন মেয়ে। মেয়েরা এবারও ছেলেদের তুলনায় ভালো ফলাফল করেছে।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা
এই বছর মোট ২ হাজার ৬৮৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১১৭ জন ছেলে এবং ১ হাজার ৫৬৭ জন মেয়ে।
বিষয়ভিত্তিক পাসের হার
বিজ্ঞান বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৬.৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৪৫.৬৪ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৪১.১২ শতাংশ।
শতভাগ পাস পাওয়া প্রতিষ্ঠান
পুরো বোর্ডে মাত্র তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এগুলো হলো—ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জের চরজিথর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরির আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।
শিক্ষার মানোন্নয়নে আহ্বান
বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল্লাহ শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
অন্যান্য পরিসংখ্যান
এ বছর ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৩০৬টি প্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নেয়। অনিয়মের অভিযোগে ৫১ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
#ময়মনসিংহ_শিক্ষাবোর্ড #এইচএসসি_ফলাফল #শিক্ষা #বাংলাদেশ #শিক্ষার_মান