বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক জামিনের আবেদন করেছেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) তার এসব আবেদনের শুনানি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মামলার প্রেক্ষাপট
গত ২৪ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে পুলিশ খায়রুল হককে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাকে জুলাই আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
এছাড়া বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের একটি মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
অভিযোগের সূত্র ও দায়ের হওয়া মামলা
২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে খায়রুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আরও কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আদালতের কার্যক্রম
সোমবার বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাগুলোর শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খায়রুল হকের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিন আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।
পূর্ববর্তী আদালত বিতর্ক
এর আগে চলতি বছরের ১১ আগস্ট হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চে একই হত্যামামলায় খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিল আবেদনের শুনানির সময় আদালতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আওয়ামীপন্থি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তীব্র হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে, যার কারণে শুনানি স্থগিত করা হয়।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর আইনি প্রক্রিয়া এখনো চলমান। হাইকোর্টের আসন্ন শুনানি তার ভবিষ্যৎ আইনি অবস্থান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
#খায়রুল_হক, হাইকোর্ট, জামিন_আবেদন, যাত্রাবাড়ী_হত্যা, বৈষম্যবিরোধী_আন্দোলন, সারাক্ষণ_রিপোর্ট