০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের উপকূলীয় শহর ওওইতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল শতাধিক ঘর বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুতে এগোচ্ছে জাপান গ্রাহকদের ভোগান্তি কমছে না, এবার রবির বিরুদ্ধে অভিযোগ — জিপি ও বাংলালিংকের আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ইশতেহারে শিশু নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি ভারতের স্পষ্ট বার্তা: যেখানেই হোক, সন্ত্রাস দমনে অভিযান চালানোর পূর্ণ অধিকার আছে ইভি আর স্মার্ট গ্যাজেটের জোরে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা দেখাল শাওমি ভারতের রেড ফোর্ট হামলার উদ্ধার হওয়া ভিডিও: আত্মঘাতী হামলার সাফাই দিচ্ছিলেন উমর উন-নবী ইন্দোনেশিয়ার শিশুদের ভিডিও গেমে জঙ্গি প্রভাব: পুলিশ গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৫)

একাদশ পরিচ্ছেদ

তারপর খুলে রাখতি ভুলে বসেছিল আর কি। অবিশ্যি মালটা ছিল শস্তাগণ্ডার, শান্তির সময় বাজারে ওর দাম রুল পাঁচেকের বেশি হবে না। শেবালভের কাছে সাবুদ করা দায়। শেবালভ কিনা ওই পাদ্রিটার পক্ষ নিলে আর ওরে নাথিয়ে দিলে বের করে।’

ফেদিয়াকে আমার বলতে ইচ্ছে হল যে পাদ্রির পক্ষ নেয়ার মতো লোক শেবালভমোটেই নন, সম্ভবত গ্রিশা আঙটিটা নিজে মেরে দেবার ফন্দি করছিল বলেই শেবালভওই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও মনে হল, আমার ওকথা ফেদিয়া খুব সম্ভব পছন্দ করবে না, ফলে আমাকে ওর সন্ধানী ঘোড়সওয়ার দলে নেয়ার বিষয়ে ওর মতটাই হয়তো বদলে ফেলবে। এদিকে অনেকদিন থেকেই আমি আবার ওই ঘোড়সওয়ার স্কাউটের দলে যোগ দেয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলুম কিনা। তাই সাতপাঁচ ভেবে চেপে গেলুম কথাটা।

শেবালভের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে দেখা করতে গেলুম আমরা।

এক নম্বর কোম্পানি থেকে আমাকে বদলি করতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজী হলেন শেবালভ। গোমড়ামুখো মালিগিনের কাছ থেকে কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সমর্থন পাওয়া গেল।

তিনি বললেন, ‘ওরে যেতি দাও, শেবালভ। অল্প বয়েস ওর, চটপটে ছোকরা আচে, ভালোই হবে। তাছাড়া চুবুক না-থাকায় ও এমনিতেই এটু একা পড়ে গ্যাচে, একা-একাই থাকে আজকাল। আগে ও চুবুকের সঙ্গে জুটি ছিল, এখন সঙ্গী নেই ওর।’

শেবালভ যেতে দিলেন আমাকে। তবে ফেদিয়ার দিকে রহস্যভরা চোখে তাকিয়ে যেন খানিক ঠাট্টা আর খানিক আন্তরিক সুরে বললেন:

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

‘সুইম শেডি’ নাম নিয়ে আইনি লড়াইয়ে এমিনেম

রণক্ষেত্রে (পর্ব-১১৫)

০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

একাদশ পরিচ্ছেদ

তারপর খুলে রাখতি ভুলে বসেছিল আর কি। অবিশ্যি মালটা ছিল শস্তাগণ্ডার, শান্তির সময় বাজারে ওর দাম রুল পাঁচেকের বেশি হবে না। শেবালভের কাছে সাবুদ করা দায়। শেবালভ কিনা ওই পাদ্রিটার পক্ষ নিলে আর ওরে নাথিয়ে দিলে বের করে।’

ফেদিয়াকে আমার বলতে ইচ্ছে হল যে পাদ্রির পক্ষ নেয়ার মতো লোক শেবালভমোটেই নন, সম্ভবত গ্রিশা আঙটিটা নিজে মেরে দেবার ফন্দি করছিল বলেই শেবালভওই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও মনে হল, আমার ওকথা ফেদিয়া খুব সম্ভব পছন্দ করবে না, ফলে আমাকে ওর সন্ধানী ঘোড়সওয়ার দলে নেয়ার বিষয়ে ওর মতটাই হয়তো বদলে ফেলবে। এদিকে অনেকদিন থেকেই আমি আবার ওই ঘোড়সওয়ার স্কাউটের দলে যোগ দেয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলুম কিনা। তাই সাতপাঁচ ভেবে চেপে গেলুম কথাটা।

শেবালভের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে দেখা করতে গেলুম আমরা।

এক নম্বর কোম্পানি থেকে আমাকে বদলি করতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজী হলেন শেবালভ। গোমড়ামুখো মালিগিনের কাছ থেকে কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সমর্থন পাওয়া গেল।

তিনি বললেন, ‘ওরে যেতি দাও, শেবালভ। অল্প বয়েস ওর, চটপটে ছোকরা আচে, ভালোই হবে। তাছাড়া চুবুক না-থাকায় ও এমনিতেই এটু একা পড়ে গ্যাচে, একা-একাই থাকে আজকাল। আগে ও চুবুকের সঙ্গে জুটি ছিল, এখন সঙ্গী নেই ওর।’

শেবালভ যেতে দিলেন আমাকে। তবে ফেদিয়ার দিকে রহস্যভরা চোখে তাকিয়ে যেন খানিক ঠাট্টা আর খানিক আন্তরিক সুরে বললেন: