একাদশ পরিচ্ছেদ
তারপর খুলে রাখতি ভুলে বসেছিল আর কি। অবিশ্যি মালটা ছিল শস্তাগণ্ডার, শান্তির সময় বাজারে ওর দাম রুল পাঁচেকের বেশি হবে না। শেবালভের কাছে সাবুদ করা দায়। শেবালভ কিনা ওই পাদ্রিটার পক্ষ নিলে আর ওরে নাথিয়ে দিলে বের করে।’
ফেদিয়াকে আমার বলতে ইচ্ছে হল যে পাদ্রির পক্ষ নেয়ার মতো লোক শেবালভমোটেই নন, সম্ভবত গ্রিশা আঙটিটা নিজে মেরে দেবার ফন্দি করছিল বলেই শেবালভওই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও মনে হল, আমার ওকথা ফেদিয়া খুব সম্ভব পছন্দ করবে না, ফলে আমাকে ওর সন্ধানী ঘোড়সওয়ার দলে নেয়ার বিষয়ে ওর মতটাই হয়তো বদলে ফেলবে। এদিকে অনেকদিন থেকেই আমি আবার ওই ঘোড়সওয়ার স্কাউটের দলে যোগ দেয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলুম কিনা। তাই সাতপাঁচ ভেবে চেপে গেলুম কথাটা।
শেবালভের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলার জন্যে দেখা করতে গেলুম আমরা।
এক নম্বর কোম্পানি থেকে আমাকে বদলি করতে অনিচ্ছাসত্ত্বেও রাজী হলেন শেবালভ। গোমড়ামুখো মালিগিনের কাছ থেকে কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে সমর্থন পাওয়া গেল।
তিনি বললেন, ‘ওরে যেতি দাও, শেবালভ। অল্প বয়েস ওর, চটপটে ছোকরা আচে, ভালোই হবে। তাছাড়া চুবুক না-থাকায় ও এমনিতেই এটু একা পড়ে গ্যাচে, একা-একাই থাকে আজকাল। আগে ও চুবুকের সঙ্গে জুটি ছিল, এখন সঙ্গী নেই ওর।’
শেবালভ যেতে দিলেন আমাকে। তবে ফেদিয়ার দিকে রহস্যভরা চোখে তাকিয়ে যেন খানিক ঠাট্টা আর খানিক আন্তরিক সুরে বললেন:
আর্কাদি গাইদার 



















