০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৩) টিম কারির স্মৃতিকথা ‘ভ্যাগাবন্ড’-এ জীবনের রঙিন অধ্যায় সুপার হেডলাইন: ভারতের সংবিধান বেঞ্চেরও বিশেষ ক্ষমতা আছে— মন্তব্য পাকিস্তানের বিচারপতি মাজহার দিওয়ালির রঙে শিল্পা ও শমিতা শেঠির বোনেদের মজা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৪৪) ভারতের ঋণসীমার আওতায় ‘চুক্তি বাতিলের তালিকা ভুল’— পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন অ-পরিশোধিত ঋণে চাপে ২৪ ব্যাংক ঝুঁকিতে, অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বড় ধাক্কা ১.৫৬ কোটি টাকা বকেয়া ও গ্যাস চুরির অভিযোগে আনন্ত জলিলের কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন পর্নোগ্রাফি মামলায় দম্পতির পাঁচ দিনের রিমান্ড নারায়ণগঞ্জের প্রধান ফেরিঘাটে ভেসে উঠল এক তরুণের নগ্ন দেহ

লাদাখ-দিল্লি সংলাপ ফের শুরু ২২ অক্টোবর

প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর লাদাখের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ ২২ অক্টোবর থেকে আবার শুরু হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসনের আশা দেখা দিয়েছে।


আলোচনায় অংশ নেবে দুই প্রধান সংগঠন

আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকবেন লেহ অ্যাপেক্স বডি (LAB) ও কারগিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (KDA)-এর প্রতিনিধিরা, লাদাখের এমপি মোহাম্মদ হানিফা জান এবং আইনজীবী হাজি মুস্তাফা। LAB-এর সহ-সভাপতি চেরিং দর্জে লাকরুক জানিয়েছেন, এই দলটি দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (MHA) উপকমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে। আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সুরক্ষা বিধান নিশ্চিত করা।


কেন্দ্রের আমন্ত্রণে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

লাকরুক বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পেরেছি ২২ অক্টোবর বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে, যেখানে LAB ও KDA উভয়কেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা রাখছি।”

KDA প্রধান সাজ্জাদ কারগিলি জানান, “অচলাবস্থা দূর করতেই আমরা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সরকার সমাধান চায় — এটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। আমরা আশা করি সরকার লাদাখবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং ষষ্ঠ তফসিল কার্যকর করবে।”


ষষ্ঠ তফসিলের তাৎপর্য

সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল মূলত আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য প্রযোজ্য। এতে স্বশাসিত পরিষদ গঠনের বিধান রয়েছে, যাদের আইন প্রণয়ন, বিচার, প্রশাসন ও আর্থিক ক্ষমতা থাকে।


সহিংসতার পর স্থগিত হওয়া আলোচনার পুনরারম্ভ

শেষ দফার সংলাপ হয় গত মে মাসে। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৬ অক্টোবর, কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর লাদাখে বিক্ষোভে চারজন নিহত ও প্রায় শতাধিক আহত হওয়ায় LAB ও KDA বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ায়।
এই বিক্ষোভের মূল দাবি ছিল পূর্ণ রাজ্য মর্যাদা ও ভূমি ও চাকরির সাংবিধানিক সুরক্ষা। জলবায়ু আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুককে সেই সময় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (NSA) গ্রেপ্তার করে জোধপুর কারাগারে পাঠানো হয়।


বিচার বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসে ফের আলোচনায় ফেরা

LAB ও KDA ওই সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সে দাবি মেনে নেওয়ায় তারা পুনরায় আলোচনায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।
লাকরুক বলেন, “২৪ সেপ্টেম্বরের হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা আসার পরই আমরা আলোচনায় সম্মত হয়েছি। যদি আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়, পরবর্তী বৈঠক হবে নিত্যানন্দ রায়ের নেতৃত্বাধীন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির (HPC) সঙ্গে।”


ক্ষতিপূরণ ও মুক্তির দাবি

কারগিলি নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং আটক ব্যক্তিদের, বিশেষ করে সোনম ওয়াংচুকের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
এমপি হানিফা জান বলেন, “সহিংসতার পর লেহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তরুণদের মৃত্যু পরিবারগুলোর গভীর ক্ষত তৈরি করেছে, তাদের ন্যায্য বিচার চাই।”


ওয়াংচুকের স্ত্রীর বক্তব্য

সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো বলেন, “আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট ফলাফল। রাজ্য মর্যাদা, ষষ্ঠ তফসিল, ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছ তদন্ত—এই বিষয়গুলোতে অগ্রগতি না হলে সংলাপ অর্থহীন হবে।”


প্রেক্ষাপট: ২০১৯ সালের পুনর্গঠন থেকে আজ পর্যন্ত

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে—জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভাসহ) এবং লাদাখ (বিধানসভাহীন)।
তারপর থেকেই লাদাখে রাজ্য মর্যাদা ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চলছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি, লেহ ও লাদাখের বিভিন্ন স্থানে হাজারো মানুষ রাজপথে নামে।


উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির ভূমিকা

২০২৩ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিত্যানন্দ রায়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে। এই কমিটির উদ্দেশ্য ছিল লাদাখের সংস্কৃতি ও ভাষার সুরক্ষা, ভূমি ও চাকরির সুরক্ষা, এবং লেহ ও কারগিল হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করা।


ভবিষ্যৎ দাবি ও প্রত্যাশা

LAB ও KDA যৌথভাবে দুটি লোকসভা আসনের দাবি জানিয়েছে (বর্তমানে একটি), কারণ লাদাখের ভৌগোলিক পরিসর বিশাল। এছাড়া তারা লাদাখ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (Ladakh Administrative Service) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা দিল্লি-আন্দামান নিকোবর সার্ভিসের (DANICS)-এর মতো প্রশাসনিক জনবল ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


২২ অক্টোবরের এই সংলাপকে কেন্দ্র করে লাদাখে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, রাজ্য মর্যাদা পুনরুদ্ধার, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সুরক্ষা, এবং সহিংসতায় নিহতদের ন্যায়বিচার—সবই এবার বাস্তবে রূপ নেবে।


#tags: #লাদাখ #ভারত #রাজ্য_মর্যাদা #ষষ্ঠ_তফসিল #সোনম_ওয়াংচুক #LAB #KDA #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১৩)

লাদাখ-দিল্লি সংলাপ ফের শুরু ২২ অক্টোবর

০৬:০১:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

প্রায় তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর লাদাখের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ ২২ অক্টোবর থেকে আবার শুরু হচ্ছে। এতে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসনের আশা দেখা দিয়েছে।


আলোচনায় অংশ নেবে দুই প্রধান সংগঠন

আট সদস্যের প্রতিনিধি দলে থাকবেন লেহ অ্যাপেক্স বডি (LAB) ও কারগিল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (KDA)-এর প্রতিনিধিরা, লাদাখের এমপি মোহাম্মদ হানিফা জান এবং আইনজীবী হাজি মুস্তাফা। LAB-এর সহ-সভাপতি চেরিং দর্জে লাকরুক জানিয়েছেন, এই দলটি দিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (MHA) উপকমিটির সঙ্গে বৈঠক করবে। আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু হবে রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সুরক্ষা বিধান নিশ্চিত করা।


কেন্দ্রের আমন্ত্রণে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া

লাকরুক বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানতে পেরেছি ২২ অক্টোবর বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে, যেখানে LAB ও KDA উভয়কেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই এবং ইতিবাচক ফলাফলের প্রত্যাশা রাখছি।”

KDA প্রধান সাজ্জাদ কারগিলি জানান, “অচলাবস্থা দূর করতেই আমরা এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সরকার সমাধান চায় — এটি ইতিবাচক ইঙ্গিত। আমরা আশা করি সরকার লাদাখবাসীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং ষষ্ঠ তফসিল কার্যকর করবে।”


ষষ্ঠ তফসিলের তাৎপর্য

সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিল মূলত আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার প্রশাসনিক কাঠামোর জন্য প্রযোজ্য। এতে স্বশাসিত পরিষদ গঠনের বিধান রয়েছে, যাদের আইন প্রণয়ন, বিচার, প্রশাসন ও আর্থিক ক্ষমতা থাকে।


সহিংসতার পর স্থগিত হওয়া আলোচনার পুনরারম্ভ

শেষ দফার সংলাপ হয় গত মে মাসে। পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ৬ অক্টোবর, কিন্তু ২৪ সেপ্টেম্বর লাদাখে বিক্ষোভে চারজন নিহত ও প্রায় শতাধিক আহত হওয়ায় LAB ও KDA বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ায়।
এই বিক্ষোভের মূল দাবি ছিল পূর্ণ রাজ্য মর্যাদা ও ভূমি ও চাকরির সাংবিধানিক সুরক্ষা। জলবায়ু আন্দোলনকারী সোনম ওয়াংচুককে সেই সময় জাতীয় নিরাপত্তা আইনে (NSA) গ্রেপ্তার করে জোধপুর কারাগারে পাঠানো হয়।


বিচার বিভাগীয় তদন্তের আশ্বাসে ফের আলোচনায় ফেরা

LAB ও KDA ওই সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানায়। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার সে দাবি মেনে নেওয়ায় তারা পুনরায় আলোচনায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেয়।
লাকরুক বলেন, “২৪ সেপ্টেম্বরের হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা আসার পরই আমরা আলোচনায় সম্মত হয়েছি। যদি আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়, পরবর্তী বৈঠক হবে নিত্যানন্দ রায়ের নেতৃত্বাধীন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির (HPC) সঙ্গে।”


ক্ষতিপূরণ ও মুক্তির দাবি

কারগিলি নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ এবং আটক ব্যক্তিদের, বিশেষ করে সোনম ওয়াংচুকের তাৎক্ষণিক মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
এমপি হানিফা জান বলেন, “সহিংসতার পর লেহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তরুণদের মৃত্যু পরিবারগুলোর গভীর ক্ষত তৈরি করেছে, তাদের ন্যায্য বিচার চাই।”


ওয়াংচুকের স্ত্রীর বক্তব্য

সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংমো বলেন, “আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট ফলাফল। রাজ্য মর্যাদা, ষষ্ঠ তফসিল, ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছ তদন্ত—এই বিষয়গুলোতে অগ্রগতি না হলে সংলাপ অর্থহীন হবে।”


প্রেক্ষাপট: ২০১৯ সালের পুনর্গঠন থেকে আজ পর্যন্ত

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে—জম্মু ও কাশ্মীর (বিধানসভাসহ) এবং লাদাখ (বিধানসভাহীন)।
তারপর থেকেই লাদাখে রাজ্য মর্যাদা ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ চলছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লি, লেহ ও লাদাখের বিভিন্ন স্থানে হাজারো মানুষ রাজপথে নামে।


উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির ভূমিকা

২০২৩ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিত্যানন্দ রায়ের নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে। এই কমিটির উদ্দেশ্য ছিল লাদাখের সংস্কৃতি ও ভাষার সুরক্ষা, ভূমি ও চাকরির সুরক্ষা, এবং লেহ ও কারগিল হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা করা।


ভবিষ্যৎ দাবি ও প্রত্যাশা

LAB ও KDA যৌথভাবে দুটি লোকসভা আসনের দাবি জানিয়েছে (বর্তমানে একটি), কারণ লাদাখের ভৌগোলিক পরিসর বিশাল। এছাড়া তারা লাদাখ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (Ladakh Administrative Service) গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা দিল্লি-আন্দামান নিকোবর সার্ভিসের (DANICS)-এর মতো প্রশাসনিক জনবল ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


২২ অক্টোবরের এই সংলাপকে কেন্দ্র করে লাদাখে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন, রাজ্য মর্যাদা পুনরুদ্ধার, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় সুরক্ষা, এবং সহিংসতায় নিহতদের ন্যায়বিচার—সবই এবার বাস্তবে রূপ নেবে।


#tags: #লাদাখ #ভারত #রাজ্য_মর্যাদা #ষষ্ঠ_তফসিল #সোনম_ওয়াংচুক #LAB #KDA #সারাক্ষণ_রিপোর্ট