০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায় বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দল উদ্ভাবন করেছে নমনীয় ও টেকসই রাডার-শোষণকারী আবরণ; ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপেও টিকে থাকে উত্তর আটলান্টিক রাইট তিমির সংখ্যা বাড়ছে—বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত উপ-সাহারার ক্ষেতে উড়ে বেড়ানো ছোট বুননপাখি ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’—এক প্রজাতির কৃষিনাশক বিস্ময়, যার সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি অডিবলে ‘হ্যারি পটার’ নতুন কণ্ঠে—হ্যারি, হারমায়োনি, রনের ভূমিকায় তরুণ ত্রয়ী বিশ্বের স্মার্টতম নগরীগুলোতে বসবাস কেমন — প্রযুক্তিনির্ভর জীবনের নতুন সংজ্ঞা মঞ্চে বুকে টেপ—কেন করছেন লর্ড, জানালেন ‘আল্ট্রাসাউন্ড’ ট্যুরে ম্যাচা চায়ের বিশ্বজোড়া উন্মাদনা—জাপানি ঐতিহ্যের মাঝে নকল পণ্য, সংকট ও সংস্কৃতির বিকৃতি প্রথমবারের মতো ডাইনোসরের পায়ে খুর দেখা গেল পেনএআইয়ের ‘অ্যাটলাস’ ব্রাউজার: গুগল ক্রোমের আধিপত্যে নতুন চ্যালেঞ্জ

উপ-সাহারার ক্ষেতে উড়ে বেড়ানো ছোট বুননপাখি ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’—এক প্রজাতির কৃষিনাশক বিস্ময়, যার সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি

আফ্রিকার উপ-সাহারার তৃণভূমিতে বসবাসকারী ছোট্ট এক পাখি—‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ বা লাল ঠোঁটের কুয়েলিয়া। এটি দেখতে চড়ুইয়ের মতো হলেও এর খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন আচরণ একে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বন্য পাখি করে তুলেছে। বীজভোজী এই পাখিকে কৃষকেরা “আফ্রিকার পালকওয়ালা পঙ্গপাল” বলে ডাকে, কারণ কোটি কোটি কুয়েলিয়া একসঙ্গে নেমে এসে ফসলের ক্ষেত তছনছ করে দেয়।


প্রজাতি ও বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’-র বৈজ্ঞানিক নাম Quelea quelea, যা ১৭৫৮ সালে কার্ল লিনিয়াস নামকরণ করেন। পরে ১৮৫০ সালে লুডউইগ রাইখেনবাখ একে Quelea গণে স্থান দেন। এই পাখি Ploceidae পরিবারভুক্ত, অর্থাৎ বুননপাখি শ্রেণির অংশ। বর্তমানে তিনটি উপপ্রজাতি স্বীকৃত—
১. Q. q. quelea: পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় (সেনেগাল থেকে চাদ পর্যন্ত)
২. Q. q. aethiopica: পূর্ব আফ্রিকায় (সুদান থেকে সোমালিয়া ও তানজানিয়া পর্যন্ত)
৩. Q. q. lathamii: মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (গ্যাবন থেকে মোজাম্বিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত)


গঠন ও চেহারা

এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৫ থেকে ২৬ গ্রাম। প্রজননকালে পুরুষ কুয়েলিয়ার মুখে কালো বা সাদা মুখোশের মতো দাগ থাকে, যার চারপাশে বেগুনি, গোলাপি বা হলদে আভা ছড়িয়ে থাকে। স্ত্রী পাখির ঠোঁট সাধারণত হলুদ বা কমলা। অপ্রজনন মৌসুমে উভয়েরই দেহে বাদামি ও ধূসর ডোরা দাগ স্পষ্ট হয়।
এদের বাসা ছোট, ঘাসের ফালা দিয়ে বোনা, গোলাকার ছাদযুক্ত—প্রতি বাসায় প্রায় ৬০০–৭০০টি তাজা ঘাসের টুকরা ব্যবহার হয়। কোটি কোটি পাখি মিলে বিশাল উপনিবেশ গড়ে তোলে, যেখানে একটি গাছে হাজার হাজার বাসা ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

Red-billed Quelea - eBird

খাদ্যাভ্যাস ও চলন

এই প্রজাতি মূলত ঘাসজাত বীজ খায়, বিশেষ করে একবর্ষজীবী ঘাসের বীজ। খাদ্য ফুরিয়ে গেলে এরা দলে দলে নতুন এলাকায় চলে যায়, যেখানে সম্প্রতি বৃষ্টি হয়েছে এবং ঘাসের বীজ প্রচুর। ফলে তারা খাদ্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। এককভাবে নয়, লক্ষাধিক থেকে কোটি পাখি একত্রে উড়ে যায়—এমন দৃশ্য যেন আকাশে ভেসে থাকা এক চলমান মেঘের মতো।


প্রজনন

বৃষ্টির চার থেকে নয় সপ্তাহ পর কুয়েলিয়া বাসা তৈরি শুরু করে। উপযুক্ত এলাকায় গাছপালা যেমন একাশিয়া বা কাঁটাযুক্ত ঝোপে তারা বাসা বাঁধে। একেকটি ডিমের রং হালকা নীলচে বা সবুজাভ, সাধারণত তিনটি ডিম পাড়া হয়। উভয় পাখি মিলে দিনে ডিমে তা দেয়, রাতে মূলত স্ত্রী পাখি তা দেয়। মাত্র নয় থেকে দশ দিনের মধ্যেই ডিম ফুটে ছানা জন্ম নেয়। প্রথমে ছানারা কীটপতঙ্গ খায়, পরে বীজভিত্তিক খাবারে অভ্যস্ত হয়।


জনসংখ্যা ও পরিবেশগত প্রভাব

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ পৃথিবীর সবচেয়ে সংখ্যাধিক্যসম্পন্ন বন্য পাখি; প্রজনন মৌসুমের পর এদের সংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রতিদিন প্রতিটি পাখি গড়ে ১৫ গ্রাম বীজ খায়। ফলে বিশাল দলে উড়ে গিয়ে ফসলের ক্ষতি করে, বিশেষত জোয়ার, গম, চাল ও বাজরার ক্ষেতে।
এ কারণে কৃষক সমাজে এটি এক ভয়ঙ্কর কীটপতঙ্গসম পাখি হিসেবে বিবেচিত হয়।

কৃষিনাশক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ—বতসোয়ানা, কেনিয়া, তানজানিয়া, জিম্বাবুয়ে, সুদান প্রভৃতি সরকার কুয়েলিয়ার সংখ্যা কমাতে বহু উদ্যোগ নিয়েছে। বায়ু থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ‘ফেনথিয়ন’ ছিটানো, আগুনের গোলা ব্যবহারসহ নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু কোটি কোটি সংখ্যার এই পাখিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে শুধু ফসলরক্ষার মৌসুমে সীমিত নিয়ন্ত্রণ চালানো হয়।


মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক

কুয়েলিয়া আফ্রিকার বহু অঞ্চলে মানুষের খাদ্যও বটে। যেমন চাদের লেক এলাকায় জাল ও হাতনেট দিয়ে লক্ষ লক্ষ পাখি ধরা হয়, পরে তা শুকিয়ে বিক্রি করা হয়। এছাড়া তাদের বিষ্ঠা সার হিসেবে ব্যবহার হয়। আফ্রিকার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র যেমন ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে পাখির এই বিশাল ঝাঁক দেখতে পর্যটকরাও ভিড় করেন।


সংরক্ষণ অবস্থা

যদিও এটি কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি করে, তবুও ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’-র বিপুল বিস্তার ও সংখ্যার কারণে এটি বিপদমুক্ত প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (IUCN) অনুযায়ী এর সংরক্ষণ অবস্থান “Least Concern” বা ‘সর্বনিম্ন ঝুঁকি’।

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ প্রকৃতির এক অনন্য ভারসাম্যধারক—একদিকে এটি জীববৈচিত্র্যের শক্ত প্রতীক, অন্যদিকে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ। কোটি কোটি পাখির একসঙ্গে উড়াউড়ির দৃশ্য যেমন বিস্ময়কর, তেমনি তাদের খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন দক্ষতা আফ্রিকার পরিবেশ ও কৃষি উভয়ের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে যাচ্ছে।


#রেডবিল্ডকুয়েলিয়া #আফ্রিকারপাখি #প্রকৃতি #কৃষিনাশকপাখি #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ইলন মাস্কের প্রস্তাবিত বেতনপ্যাকেজ ‘জিনিয়াস’ মিথের বিস্তৃত প্রভাব দেখায়

উপ-সাহারার ক্ষেতে উড়ে বেড়ানো ছোট বুননপাখি ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’—এক প্রজাতির কৃষিনাশক বিস্ময়, যার সংখ্যা ১৫০ কোটিরও বেশি

০৪:০০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

আফ্রিকার উপ-সাহারার তৃণভূমিতে বসবাসকারী ছোট্ট এক পাখি—‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ বা লাল ঠোঁটের কুয়েলিয়া। এটি দেখতে চড়ুইয়ের মতো হলেও এর খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন আচরণ একে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বন্য পাখি করে তুলেছে। বীজভোজী এই পাখিকে কৃষকেরা “আফ্রিকার পালকওয়ালা পঙ্গপাল” বলে ডাকে, কারণ কোটি কোটি কুয়েলিয়া একসঙ্গে নেমে এসে ফসলের ক্ষেত তছনছ করে দেয়।


প্রজাতি ও বৈজ্ঞানিক শ্রেণিবিন্যাস

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’-র বৈজ্ঞানিক নাম Quelea quelea, যা ১৭৫৮ সালে কার্ল লিনিয়াস নামকরণ করেন। পরে ১৮৫০ সালে লুডউইগ রাইখেনবাখ একে Quelea গণে স্থান দেন। এই পাখি Ploceidae পরিবারভুক্ত, অর্থাৎ বুননপাখি শ্রেণির অংশ। বর্তমানে তিনটি উপপ্রজাতি স্বীকৃত—
১. Q. q. quelea: পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় (সেনেগাল থেকে চাদ পর্যন্ত)
২. Q. q. aethiopica: পূর্ব আফ্রিকায় (সুদান থেকে সোমালিয়া ও তানজানিয়া পর্যন্ত)
৩. Q. q. lathamii: মধ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকায় (গ্যাবন থেকে মোজাম্বিক ও দক্ষিণ আফ্রিকা পর্যন্ত)


গঠন ও চেহারা

এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ সেন্টিমিটার, ওজন ১৫ থেকে ২৬ গ্রাম। প্রজননকালে পুরুষ কুয়েলিয়ার মুখে কালো বা সাদা মুখোশের মতো দাগ থাকে, যার চারপাশে বেগুনি, গোলাপি বা হলদে আভা ছড়িয়ে থাকে। স্ত্রী পাখির ঠোঁট সাধারণত হলুদ বা কমলা। অপ্রজনন মৌসুমে উভয়েরই দেহে বাদামি ও ধূসর ডোরা দাগ স্পষ্ট হয়।
এদের বাসা ছোট, ঘাসের ফালা দিয়ে বোনা, গোলাকার ছাদযুক্ত—প্রতি বাসায় প্রায় ৬০০–৭০০টি তাজা ঘাসের টুকরা ব্যবহার হয়। কোটি কোটি পাখি মিলে বিশাল উপনিবেশ গড়ে তোলে, যেখানে একটি গাছে হাজার হাজার বাসা ঝুলে থাকতে দেখা যায়।

Red-billed Quelea - eBird

খাদ্যাভ্যাস ও চলন

এই প্রজাতি মূলত ঘাসজাত বীজ খায়, বিশেষ করে একবর্ষজীবী ঘাসের বীজ। খাদ্য ফুরিয়ে গেলে এরা দলে দলে নতুন এলাকায় চলে যায়, যেখানে সম্প্রতি বৃষ্টি হয়েছে এবং ঘাসের বীজ প্রচুর। ফলে তারা খাদ্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। এককভাবে নয়, লক্ষাধিক থেকে কোটি পাখি একত্রে উড়ে যায়—এমন দৃশ্য যেন আকাশে ভেসে থাকা এক চলমান মেঘের মতো।


প্রজনন

বৃষ্টির চার থেকে নয় সপ্তাহ পর কুয়েলিয়া বাসা তৈরি শুরু করে। উপযুক্ত এলাকায় গাছপালা যেমন একাশিয়া বা কাঁটাযুক্ত ঝোপে তারা বাসা বাঁধে। একেকটি ডিমের রং হালকা নীলচে বা সবুজাভ, সাধারণত তিনটি ডিম পাড়া হয়। উভয় পাখি মিলে দিনে ডিমে তা দেয়, রাতে মূলত স্ত্রী পাখি তা দেয়। মাত্র নয় থেকে দশ দিনের মধ্যেই ডিম ফুটে ছানা জন্ম নেয়। প্রথমে ছানারা কীটপতঙ্গ খায়, পরে বীজভিত্তিক খাবারে অভ্যস্ত হয়।


জনসংখ্যা ও পরিবেশগত প্রভাব

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ পৃথিবীর সবচেয়ে সংখ্যাধিক্যসম্পন্ন বন্য পাখি; প্রজনন মৌসুমের পর এদের সংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি পর্যন্ত পৌঁছায়। প্রতিদিন প্রতিটি পাখি গড়ে ১৫ গ্রাম বীজ খায়। ফলে বিশাল দলে উড়ে গিয়ে ফসলের ক্ষতি করে, বিশেষত জোয়ার, গম, চাল ও বাজরার ক্ষেতে।
এ কারণে কৃষক সমাজে এটি এক ভয়ঙ্কর কীটপতঙ্গসম পাখি হিসেবে বিবেচিত হয়।

কৃষিনাশক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টা

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ—বতসোয়ানা, কেনিয়া, তানজানিয়া, জিম্বাবুয়ে, সুদান প্রভৃতি সরকার কুয়েলিয়ার সংখ্যা কমাতে বহু উদ্যোগ নিয়েছে। বায়ু থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক ‘ফেনথিয়ন’ ছিটানো, আগুনের গোলা ব্যবহারসহ নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু কোটি কোটি সংখ্যার এই পাখিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে শুধু ফসলরক্ষার মৌসুমে সীমিত নিয়ন্ত্রণ চালানো হয়।


মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক

কুয়েলিয়া আফ্রিকার বহু অঞ্চলে মানুষের খাদ্যও বটে। যেমন চাদের লেক এলাকায় জাল ও হাতনেট দিয়ে লক্ষ লক্ষ পাখি ধরা হয়, পরে তা শুকিয়ে বিক্রি করা হয়। এছাড়া তাদের বিষ্ঠা সার হিসেবে ব্যবহার হয়। আফ্রিকার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র যেমন ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে পাখির এই বিশাল ঝাঁক দেখতে পর্যটকরাও ভিড় করেন।


সংরক্ষণ অবস্থা

যদিও এটি কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতি করে, তবুও ‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’-র বিপুল বিস্তার ও সংখ্যার কারণে এটি বিপদমুক্ত প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা (IUCN) অনুযায়ী এর সংরক্ষণ অবস্থান “Least Concern” বা ‘সর্বনিম্ন ঝুঁকি’।

‘রেড-বিল্ড কুয়েলিয়া’ প্রকৃতির এক অনন্য ভারসাম্যধারক—একদিকে এটি জীববৈচিত্র্যের শক্ত প্রতীক, অন্যদিকে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কারণ। কোটি কোটি পাখির একসঙ্গে উড়াউড়ির দৃশ্য যেমন বিস্ময়কর, তেমনি তাদের খাদ্যাভ্যাস ও প্রজনন দক্ষতা আফ্রিকার পরিবেশ ও কৃষি উভয়ের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে যাচ্ছে।


#রেডবিল্ডকুয়েলিয়া #আফ্রিকারপাখি #প্রকৃতি #কৃষিনাশকপাখি #সারাক্ষণরিপোর্ট