রাজশাহীর এক বেসরকারি ক্লিনিকে বিয়ের প্রলোভনে এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগে আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার আহসান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সারসংক্ষেপ
গ্রেপ্তারকৃত চিকিৎসকের নাম আহসান হাবিব (২৯)। তিনি আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার ছিলেন। সোমবার বিকেলে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে আহসান হাবিব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৫ বছর বয়সী এক নার্সকে ক্লিনিকের একটি চেম্বারে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী নার্স অন্য একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন। দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে তার সঙ্গে আহসান হাবিবের পরিচয় হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে ঢাকায় চাকরি ছেড়ে রাজশাহীতে আসতে রাজি করান, বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে।
সম্পর্ক ভেঙে প্রতারণা
মামলায় উল্লেখ করা হয়, রাজশাহীতে আসার পর আহসান হাবিব ওই নার্সের সঙ্গে ভাড়া বাসায় ও ক্লিনিকে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন, কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি। সম্পর্ক কিছুদিন চলতে থাকার পর হঠাৎ তিনি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারেন যে চিকিৎসক অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছেন। ঘটনা জানার পর ২৩ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী নারী রাজপাড়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশের বক্তব্য ও তদন্ত
রাজপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার’-এ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবস্থান
আল-আরাফাহ ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিকস সেন্টারের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ক্লিনিকের নাম মামলায় জড়িত হওয়ার পর চিকিৎসক আহসান হাবিবকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
#রাজশাহী #ধর্ষণ #চিকিৎসকগ্রেপ্তার #নার্সনির্যাতন #বাংলাদেশনিউজ #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















