নাটোরের লালপুর উপজেলার হাবির চর এলাকায় পদ্মা নদীর চরে জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে উত্তপ্ত পদ্মা পাড়
নাটোরের লালপুর উপজেলার হাবির চর এলাকায় সোমবার সকালে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির নাম আমান (৩৫), যিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চর চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
দুই গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘কাকন বাহিনী’ ও ‘রবি-মমতাজ গ্রুপ’-এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীর তীরবর্তী হাবির চর ও চানপুর এলাকার একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষই দাবি করে আসছিল, জমিটি তাদের দখলে রয়েছে। জমি দখল ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উত্তেজনা দিনদিন বাড়তে থাকায় সোমবার সকালে দুই পক্ষের সমর্থকেরা আগ্নেয়াস্ত্রসহ মুখোমুখি হয়।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ অন্তত ছয়জন
বাঘা থানার ওসি সুপ্রভাত মণ্ডল জানান, উভয়পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর গুলি চালায়, এতে অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে চারজনকে দ্রুত বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমান মারা যান।
আহতদের হাসপাতালে ভর্তি
বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও দুইজন আহতকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের অভিযান ও তদন্ত শুরু
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এলাকায় উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে টহল জোরদার করা হয়েছে। জমি দখলসংক্রান্ত বিরোধের পেছনের মূল কারণ এবং অস্ত্রের উৎস খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পদ্মার চরাঞ্চলে সংঘর্ষ নতুন নয়
স্থানীয়দের মতে, পদ্মা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে প্রতি মৌসুমেই জমি দখল নিয়ে এমন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নদীভাঙন ও নতুন চর জেগে ওঠায় জমির মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তা বিরাজ করে, যা প্রায়ই প্রাণঘাতী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
#নাটোর, বন্দুকযুদ্ধ, জমি বিরোধ, পদ্মা নদী, রাজশাহী, লালপুর, বাংলাদেশ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















