ইউএনবি থেকে অনূদিত
২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
ভোলা পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের সময় সহিংসতার ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পৌরসভার অন্তত ১২ কর্মচারী আহত হয়েছেন এবং তিনটি সরকারি ময়লার গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
পৌরসভার স্যানিটারি পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক রোববার রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ২৪ জনের এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে সোমবার বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাছানাইন পারভেজ নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— মো. দুলাল, মো. শুভ, মো. লিটন, মো. নুর ইসলাম, মো. রাকিব, মো. ইসমাইল, মো. ইয়ামিন, মো. লোকমান, মো. মোস্তফা, মো. কবির, মো. তারিকুল ইসলাম, মো. হাবিব, মো. শাহিদুল ইসলাম, মো. সোহেল, মো. খোকন, মো. শাহাবুদ্দিন, মো. আহমেদ উল্লাহ, মো. হৃদয়, মো. রুহুল আমিন, রফিজাল হক মনি, মো. শাহজাহান, জসিম হাওলাদার ও তপন কর্মকার। তারা সদর উপজেলার ধনিয়া ও বাপ্তা ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভোলা পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে ছিল, যা জনসাধারণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করছিল। একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও দখলদাররা অবৈধ স্থাপনা সরায়নি।
২৫ অক্টোবর পৌরসভার নূতন বাজার এলাকার মডেল মসজিদ স্কয়ার সংলগ্ন প্রায় ৩০.৭৫ শতাংশ জমিতে নির্মিত অন্তত ২০টি দোকান ও বসতবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান চালায় পৌর কর্তৃপক্ষ। অভিযানের সময় মামলার আসামিদের নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন দখলদার অস্ত্র নিয়ে পৌর কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় পৌরসভার ১২ কর্মচারী গুরুতর আহত হন। এছাড়া হামলাকারীরা তিনটি সরকারি ময়লার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এতে প্রায় ৮৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ওসি আবু শাহাদাৎ মো. হাছানাইন পারভেজ বলেন, “ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।”
সারাক্ষণ ডেস্ক 


















