ইসরায়েলের অবস্থান
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা গাজার যুদ্ধবিরতির তদারকির জন্য তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ অনুমোদন করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে, গাজায় একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী স্থাপন পরিকল্পনা রয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল তুরস্কের অংশগ্রহণে অমতিপূর্বক অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডিওন সার বলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের ইসরায়েল বিরোধী দীর্ঘদিনের মনোভাবের কারণে তারা তুর্কি সেনাদের অংশগ্রহণ মেনে নেবে না।
যুদ্ধবিরতি এবং আন্তর্জাতিক বাহিনী
এই আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজার যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য তৈরি হবে, তবে কোন দেশের সেনা বাহিনী এতে অংশগ্রহণ করবে, তা নির্ধারণ করা হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন এই বাহিনী গঠনের জন্য কাজ করছে এবং এর তদারকির দায়িত্বে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরব দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে। বিশেষভাবে, বাহিনীটি ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের দায়িত্ব
তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কাজের ক্ষেত্র এবং দায়িত্ব সম্পর্কে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। এমন কিছু আরব এবং মুসলিম দেশ আছে যারা চান যে বাহিনীর কাজ শুধুমাত্র শান্তি রক্ষা করা উচিত, কিন্তু যদি তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বলা হয়, তাহলে তারা এতে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী নন। জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহও এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এবং বলেছেন যে, “যদি এটি শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী হয়, তবে তাতে অংশগ্রহণ করা হবে। কিন্তু যদি এটি শান্তি প্রয়োগকারী বাহিনী হয়, তাহলে কেউই অংশগ্রহণ করতে চাবে না।”
তুরস্কের ভূমিকা এবং মানবিক সাহায্য
তুরস্ক এই বাহিনীতে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং তারা মানবিক সাহায্য দেয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। তবে, এরদোয়ান গাজার যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে কঠোর সমালোচনা করে আসছেন। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন যে, তারা কোনো ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত, তা হোক শান্তিরক্ষা বা মানবিক সহায়তা প্রদান।
সাহায্য সংস্থাগুলোর অবস্থা
এই পরিস্থিতিতে, সাহায্য সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে যে, গাজায় এখনও যথেষ্ট মানবিক সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে, খাদ্য সংকটে ভুগছে অনেক পরিবার। গাজা সিটির আল শাতি শরণার্থী শিবিরে এক পরিবার ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষের পাশে বসবাস করছে, যেখানে বৃদ্ধা হিয়াম মুকদাদ এবং তার নাতি-নাতনিরা বসে থাকেন এবং ঘর গরম করতে শুকনো কাঠ পোড়াচ্ছে।

পরিস্থিতির ভয়াবহতা
গাজার এই মানবিক বিপর্যয় প্রতিদিন বাড়ছে, এবং আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও বেশি সহায়তা চাচ্ছে। তবে, এখনও প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ত্রাণের প্রবাহ যথেষ্ট নয়, ফলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার নিচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















