০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণও হতে পারে জেএমবির তৎপরতার সময় বোয়ালমারীতে নির্মম হত্যাকাণ্ড—পলাতক চার আসামির অনুপস্থিতিতে আদালতের দণ্ডাদেশ সিলেটে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি—ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়ক অবরোধ বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা ঘিরে ট্রাম্প–লি বৈঠক; বৃহস্পতিবার চীনা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাৎ রেকর্ড বৃষ্টিপাতে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা—নয়জনের মৃত্যু, নিখোঁজ পাঁচজন নেপাল ও তিব্বতে প্রচণ্ড তুষারঝড়ের কবলে হাজারো ট্রেকার; হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা, পর্যটন বন্ধ ঘোষণা সুপার হেডলাইন: ফটিকছড়িতে রহস্যজনক মৃত্যু— মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার ছয় মাসেই সম্পন্ন হবে আইপিও প্রক্রিয়া—ডিএসইর ডিজিটাল রূপান্তরের ঘোষণা ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু; ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ৯৬৪ জন লৌহজং নদীর বুকে টাঙ্গাইলের জীবনপ্রবাহ—অবহেলায় মরে যাচ্ছে এক জীবন্ত ইতিহাস

 নারায়ণগঞ্জে স্বামীর নিক্ষেপ করা পেট্রল বোমায় দগ্ধ রিনা ও তার পুত্র ফারহাদের মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জে স্বামীর নিক্ষেপ করা পেট্রল বোমায় দগ্ধ রিনা বেগম ও তার কিশোর পুত্র ফারহাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। পারিবারিক বিরোধ থেকে সংঘটিত এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধ এক নারী ও তার কিশোর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. শাওন ইবনে রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে রিনা বেগম (৩৬) এবং তার ছেলে ফারহাদ (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডা. শাওন বলেন, রিনা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং তার ছেলে ফারহাদ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মারা যান। তারা দুজনই ২৩ অক্টোবর থেকে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরিবারের ওপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ

চলন্ত কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, দগ্ধ ২

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, রিনার স্বামী করিম নিজ বাড়িতে আগুন লাগানোর উদ্দেশ্যে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে রিনা ও তার দুই ছেলে গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

দগ্ধদের অবস্থা ও চিকিৎসা

চিকিৎসক ডা. শাওন জানান, রিনা বেগমের শরীরের প্রায় ৫৮ শতাংশ, ফারহাদের ৪০ শতাংশ এবং অপর ছেলে তৌহিদের (১৬) শরীরেরও একটি বড় অংশ পুড়ে যায়। তিনজনকেই গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

তৌহিদ এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার তদন্ত চলছে

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সংঘটিত একটি নৃশংস অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

# নারায়ণগঞ্জ, অগ্নিকাণ্ড, নারী হত্যা, পারিবারিক সহিংসতা, বার্ন ইনস্টিটিউট, সারাক্ষণ রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণও হতে পারে

 নারায়ণগঞ্জে স্বামীর নিক্ষেপ করা পেট্রল বোমায় দগ্ধ রিনা ও তার পুত্র ফারহাদের মৃত্যু

০৫:৪১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে স্বামীর নিক্ষেপ করা পেট্রল বোমায় দগ্ধ রিনা বেগম ও তার কিশোর পুত্র ফারহাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা গেছেন। পারিবারিক বিরোধ থেকে সংঘটিত এ মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

দগ্ধ অবস্থায় ঢাকায় মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর দগ্ধ এক নারী ও তার কিশোর পুত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ডা. শাওন ইবনে রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে রিনা বেগম (৩৬) এবং তার ছেলে ফারহাদ (১৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ডা. শাওন বলেন, রিনা সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে এবং তার ছেলে ফারহাদ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে মারা যান। তারা দুজনই ২৩ অক্টোবর থেকে ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরিবারের ওপর পেট্রল বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ

চলন্ত কাভার্ডভ্যানে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, দগ্ধ ২

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, রিনার স্বামী করিম নিজ বাড়িতে আগুন লাগানোর উদ্দেশ্যে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে রিনা ও তার দুই ছেলে গুরুতর দগ্ধ হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

দগ্ধদের অবস্থা ও চিকিৎসা

চিকিৎসক ডা. শাওন জানান, রিনা বেগমের শরীরের প্রায় ৫৮ শতাংশ, ফারহাদের ৪০ শতাংশ এবং অপর ছেলে তৌহিদের (১৬) শরীরেরও একটি বড় অংশ পুড়ে যায়। তিনজনকেই গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়।

তৌহিদ এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার তদন্ত চলছে

এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক বিরোধের জের ধরে সংঘটিত একটি নৃশংস অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

 

# নারায়ণগঞ্জ, অগ্নিকাণ্ড, নারী হত্যা, পারিবারিক সহিংসতা, বার্ন ইনস্টিটিউট, সারাক্ষণ রিপোর্ট