কী ভেঙেছিল, কারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
মাইক্রোসফট জানায়, আজুরের ডিএনএস-সংক্রান্ত ত্রুটি নাম রেজল্যুশন ব্যাহত করায় মাইক্রোসফট ৩৬৫, এক্সবক্স সার্ভিস ও ক্যাপিটাল ওয়ান, আলাস্কা এয়ারলাইন্স, স্টারবাকসসহ তৃতীয় পক্ষের গ্রাহকের সেবা একাধিক অঞ্চলে বিপর্যস্ত হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে লগইন ব্যর্থতা, টাইম-আউট ও রিজিওনাল ফেইলওভার দেখা যায়; ৫এক্সএক্স এরর ও থ্রটলিং বেড়ে যায় কারণ সার্ভিসগুলো বারবার রিট্রাই করছিল। যে প্রতিষ্ঠানগুলো এককভাবে আজুরে নির্ভর ছিল, তাদের পুনরুদ্ধার সময় তুলনামূলক বেশি হয়েছে; হাইব্রিড বা মাল্টি-ক্লাউড আর্কিটেকচার দ্রুত স্থিতিতে ফিরেছে। এক্সবক্সে ম্যাচমেকিং-সাইন-ইন, করপোরেট আইটিতে এক্সচেঞ্জ অনলাইন-টিমস, আর পাওয়ার প্ল্যাটফর্মের অটোমেশন কিউতে আটকে যায়। মাইক্রোসফট বলছে, সাইবার আক্রমণের প্রমাণ নেই; ট্রাফিক-স্টিয়ারিং কনফিগারেশন রোল-ব্যাক করে ক্ষতিগ্রস্ত ডোমেইন আলাদা করা হয়েছে।

সহনশীলতা ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির পাঠ
ঘটনাটি এডব্লিউএসের সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের ঠিক পরেই ঘটায় ‘হাইপারস্কেলার কনসেন্ট্রেশন রিস্ক’ নতুন করে আলোচনায়। বিশ্লেষকদের মতে, এখনকার বড় ভাঙনগুলো হার্ডওয়্যার নয়, কন্ট্রোল-প্লেনের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কনফিগারেশন পরিবর্তন থেকে আসছে। সমাধান তাই স্থাপত্যিক: আইডেন্টিটি-ডিএনএস-মেসেজিংয়ের জন্য বিকল্প পথ রাখা, সার্কিট-ব্রেকার ও এক্সপোনেনশিয়াল ব্যাকঅফ ব্যবহার, আর ‘ব্রাউনআউট’ মোডে কাজ চালিয়ে যেতে ফিচার-ফ্ল্যাগ বজায় রাখা। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোও হয়তো স্ট্যাটাস টেলেমেট্রি ও ব্লাস্ট-রেডিয়াস প্রকাশে আরো স্বচ্ছতা চাইবে। গ্রাহকদের জন্য ছোট ছোট প্রস্তুতি—সেকেন্ডারি ডিএনএস রেজলভার, মাল্টি-জোন স্থাপন, গ্রেসফুল-ডিগ্রাডেশন—একটি বহু-ঘণ্টার আউটেজকে স্বল্প সময়ের ধীরতায় নামিয়ে আনতে পারে। মাইক্রোসফট শিগগির টাইমলাইন, মূল কারণ ও প্রতিরোধ পরিকল্পনাসহ রিপোর্ট দেবে; তার আগে আইটি দলগুলো নিজেদের মনিটরিং-ফাঁক ও বিজনেস-কন্টিনিউটি মহড়া মিলিয়ে দেখছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















