সরবরাহ চাপ, অর্ডার বাতিল ও ভোক্তার ধাক্কা
ব্রাজিল থেকে কফি আমদানিতে ৫০ শতাংশ শুল্ক লাগায় যুক্তরাষ্ট্রের কফি রোস্টাররা মজুত খরচ করছে, আগাম অর্ডার বাতিল করছে—ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল নড়বড়ে। বিশ্বে ব্রাজিলই সবচেয়ে বড় উৎপাদক; ব্লেন্ডের মান ঠিক রাখতে বহু ‘স্পেশালটি’ রোস্টার সেখানকার সুনির্দিষ্ট গ্রেডের ওপর নির্ভর করে। খরচ বেড়ে যাওয়ায় কেউ কেউ কলম্বিয়া, হন্ডুরাস, পেরু থেকে বিকল্প খুঁজছে; কিন্তু পরিমাণ, স্থায়িত্ব বা স্বাদের প্রোফাইল সবসময় মেলে না। হঠাৎ করে বিকল্প জোগাড় করলে প্রিমিয়াম দিতে হয়; জাহাজভাড়া-বীমার খরচও যোগ হয়। কূটনৈতিক অচলাবস্থা চললে সামনের মাসগুলোতে সুপারমার্কেটে কফির দাম ৪০ শতাংশের বেশি বেড়ে যেতে পারে; ক্যাফেগুলোকে মেনু রিডিজাইন বা কাপের আকার ছোট করতে হতে পারে—যা প্রতিদিনের খরচে সরাসরি চাপ ফেলবে।

এখন নজর কোথায়—নীতি, ফলন ও ভোক্তার অভ্যাস
স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি দুই জায়গায়—বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি এবং আবহাওয়াজনিত ফলন। ট্রাম্প–লুলা বৈঠকের পর কোনো সমঝোতা হলে শুল্ক কমতে বা স্থগিত হতে পারে, তবে সময়সূচি স্পষ্ট নয়। বাজার নজর রাখছে ব্রাজিলের পরবর্তী ফলন ও মধ্য আমেরিকার আউটপুটে; দুর্বল ফসল হলে চাপ বাড়বে। রোস্টাররা ইতিমধ্যে ব্লেন্ড বদলাচ্ছে—রোবাস্টার অংশ বাড়ানো, স্বাদভেদের আড়াল করতে ডার্কার রোস্ট, অথবা উচ্চদামের সিঙ্গল অরিজিন লট। খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়া ঠেকাতে লয়্যালটি-অফার, আর গ্রাহক ধরে রাখতে হোম-ব্রিউ গাইডের প্রচার বাড়বে—যাতে ইনস্ট্যান্টে ‘ট্রেড ডাউন’ কম হয়। শুল্ক যদি শীত পর্যন্ত টিকে, বিশ্লেষকেরা বলছেন দ্বিতীয়-ধাপের প্রভাব আসবে: ক্যাফেতে ছোট সাইজের দিকে ঝোঁক, ঘরোয়া কফির চাহিদা বাড়া—যা ২০২৬-এর প্যাকেজিং ও প্রমোশনে নতুন কৌশল আনবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















