১২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কেপপ ডেমন হান্টার্স: আবেগ থেকে বৈশ্বিক উন্মাদনা, এক অ্যানিমেশনের অসম্ভব জয়যাত্রা ভেনিজুয়েলা প্রশ্নে ট্রাম্পে আস্থা, মাদুরো হটাতে পারলেই সব ক্ষমা ডোরালের নির্বাসিতদের কণ্ঠ যুদ্ধবিরতি ছাড়াই শেষ আসিয়ান বৈঠক, আবার আলোচনায় বসছে থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডেটা সেন্টারে বড় ঝাঁপ আদানির, পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়েও ভাবনা হাদি হত্যায় তিন শ’ আসনের প্রার্থীদের নিরাপত্তা শঙ্কা: জামায়াত চীনের নববর্ষে পর্যটনে উল্লম্ফন, ঘরোয়া ভোগ ব্যয়ে নতুন গতি শিশু যত্নসেবায় নতুন দিগন্ত: জাতীয় আইন আনছে চীন রাশিয়ার রাজধানীতে গাড়িবোমা হামলা, শীর্ষ সেনা জেনারেল নিহত চিংহাই-তিব্বত মালভূমিতে চার হাজার তিনশো মিটার উচ্চতায় প্রাগৈতিহাসিক মানুষের চিহ্ন, ইতিহাসে নতুন দিগন্ত চীনের অ্যানিমেশন সিনেমায় ইতিহাস গড়া সাফল্য, পঁচিশ বিলিয়ন ইউয়ান আয়ের পেছনের গল্প

চীনা যুদ্ধবিমান কেনা থেকে ইন্দোনেশিয়ার পিছিয়ে আসা — বাজেট সংকট, কৌশলগত ভারসাম্য ও পশ্চিমাদের সঙ্গে দরকষাকষির ইঙ্গিত

সিদ্ধান্তে দ্বিধা: ‘আমরা এখনো দেখছি’

কুয়ালালামপুরে আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসুদ্দিন জানান, দেশটি এখনো চীনের কাছ থেকে ৪২টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, “আমরা কেবল দেখছি, আমাদের দেশ স্বাধীন ও সক্রিয় নীতি অনুসরণ করে, আমরা সব দিক বিবেচনা করছি।”

আগে ছড়িয়ে পড়া সংবাদে বলা হয়েছিল, ইন্দোনেশিয়া চীনের কাছ থেকে নয় বিলিয়ন ডলারের জে-১০ বিমান কিনতে যাচ্ছে, যার প্রথম ধাপের জন্য ১.৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই পরিকল্পনার কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি দেখা যায়নি।


চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের হাতে

স্থানীয় গণমাধ্যম টেম্পোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি জানিয়েছেন যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্টো, যিনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। “প্রেসিডেন্ট যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি সেটাই অনুসরণ করব,” বলেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা জেনারেল।

চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের তৈরি জে-১০ বিমানগুলো চলতি বছর পাকিস্তান, ভারতের বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।


কৌশলগত বার্তা: পশ্চিমাদের সঙ্গে দরকষাকষির কৌশল

ইন্দোনেশিয়ার ব্রাউইজায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আসউইন আরিয়ানতো আজিস বলেন, “চীনের যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনা আসলে ইন্দোনেশিয়ার একপ্রকার কূটনৈতিক কৌশল, যাতে পশ্চিমাদের সঙ্গে নতুন করে দরকষাকষির সুযোগ তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এটি দেখানোর একটি উপায় যে ইন্দোনেশিয়ার বিকল্প আছে — শুধুমাত্র পশ্চিমা সরবরাহের ওপর নির্ভর নয়।”


বাজেট ও সামরিক বাস্তবতা

স্বাধীন থিংক ট্যাঙ্ক ‘ভার্ভ রিসার্চ’-এর নির্বাহী পরিচালক ন্যাটালি সামভি মনে করেন, বাজেট সংকট, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং বিমানবাহিনীর ভেতরের দ্বিধা, এসব কারণেই সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছে।

তার মতে, “চীনের সামরিক প্রযুক্তির ওপর বেশি নির্ভরশীল হলে ইন্দোনেশিয়া রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ ভবিষ্যতে নিজেদের প্রযুক্তি ভাগাভাগিতে অনীহা দেখাতে পারে।”

অন্যদিকে, অর্থনীতি ও আইন গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিমা ইউধিষ্টিরা বলেন, আগামী বছরের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়লেও দুর্বল কর রাজস্বের কারণে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।


অস্ত্র সরবরাহে বৈচিত্র্য আনার নীতি

১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব তিমুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকেই জাকার্তা সরবরাহের উৎসে বৈচিত্র্য আনার কৌশল নেয়।

এই নীতি কূটনৈতিকভাবে কার্যকর হলেও অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। সামভির মতে, “দীর্ঘ মেয়াদে এই কৌশল লজিস্টিক জটিলতা ও যুদ্ধ প্রস্তুতিতে অদক্ষতা বাড়ায়।”

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার হাতে ১১০টি যুদ্ধবিমান আছে — এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬, রাশিয়ার সু-২৭ ও সু-৩০, এবং ব্রিটেনের বিএই হক ১০০ ও ২০০ সিরিজ অন্তর্ভুক্ত।


নতুন কেনাকাটা ও সহযোগিতা

২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়া ফ্রান্সের কাছ থেকে ৮.১ বিলিয়ন ডলারে ৪২টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে, যার প্রথম ছয়টি আগামী বছর আসার কথা। এছাড়া তুরস্ক থেকে ৪৮টি কান বিমান কেনার চুক্তিও হয়েছে।

একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কেএফ-২১ ‘বোরামায়ে’ ফাইটার জেট তৈরি করছে দেশটি। নভেম্বরেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুটি নতুন টি-৫০আই জেট আসার কথা — আর এই প্রকল্পে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার কার্যকর যুদ্ধবিমান সংখ্যা ৬২। রুশ বিমানগুলোর যন্ত্রাংশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, আর আমেরিকান এফ-১৬ বিমানগুলোও পুরনো হয়ে যাচ্ছে।


নিজস্ব সাবমেরিন নির্মাণে অগ্রগতি

সম্প্রতি সুরাবায়ায় ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী ঘাঁটিতে দেশটির প্রথম নিজস্ব তৈরি স্বয়ংক্রিয় সাবমেরিন (AUV) সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়। এটি নির্মাণ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পিএএল ইন্দোনেশিয়া।

স্যামসুদ্দিন জানান, এই সাবমেরিনে নিজস্বভাবে তৈরি টর্পেডো সিস্টেম থাকবে, এবং আগামী বছর থেকে এর ব্যাপক উৎপাদন শুরু হবে। তিনি বলেন, “আমরা এটি রপ্তানি করব না — আমাদের নিজেদের সামুদ্রিক চোকপয়েন্ট সুরক্ষায় ৩০টি এমন সাবমেরিন প্রয়োজন।”


চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখে ইন্দোনেশিয়া স্পষ্টতই এক ধরনের কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। বাজেট সংকট, পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা — সবকিছু মিলিয়ে জাকার্তা এখন হিসাবি পথে হাঁটছে।


সারাক্ষণ রিপোর্ট

#ইন্দোনেশিয়া #চীন #জে১০ #যুদ্ধবিমান #প্রতিরক্ষা #এশিয়াপলিটিকস #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

কেপপ ডেমন হান্টার্স: আবেগ থেকে বৈশ্বিক উন্মাদনা, এক অ্যানিমেশনের অসম্ভব জয়যাত্রা

চীনা যুদ্ধবিমান কেনা থেকে ইন্দোনেশিয়ার পিছিয়ে আসা — বাজেট সংকট, কৌশলগত ভারসাম্য ও পশ্চিমাদের সঙ্গে দরকষাকষির ইঙ্গিত

০১:০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

সিদ্ধান্তে দ্বিধা: ‘আমরা এখনো দেখছি’

কুয়ালালামপুরে আসিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি স্যামসুদ্দিন জানান, দেশটি এখনো চীনের কাছ থেকে ৪২টি জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। তিনি বলেন, “আমরা কেবল দেখছি, আমাদের দেশ স্বাধীন ও সক্রিয় নীতি অনুসরণ করে, আমরা সব দিক বিবেচনা করছি।”

আগে ছড়িয়ে পড়া সংবাদে বলা হয়েছিল, ইন্দোনেশিয়া চীনের কাছ থেকে নয় বিলিয়ন ডলারের জে-১০ বিমান কিনতে যাচ্ছে, যার প্রথম ধাপের জন্য ১.৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই পরিকল্পনার কোনো আনুষ্ঠানিক অগ্রগতি দেখা যায়নি।


চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্টের হাতে

স্থানীয় গণমাধ্যম টেম্পোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফরি জানিয়েছেন যে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্টো, যিনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। “প্রেসিডেন্ট যে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি সেটাই অনুসরণ করব,” বলেন অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা জেনারেল।

চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের তৈরি জে-১০ বিমানগুলো চলতি বছর পাকিস্তান, ভারতের বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করে প্রশংসা কুড়িয়েছিল।


কৌশলগত বার্তা: পশ্চিমাদের সঙ্গে দরকষাকষির কৌশল

ইন্দোনেশিয়ার ব্রাউইজায়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক আসউইন আরিয়ানতো আজিস বলেন, “চীনের যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনা আসলে ইন্দোনেশিয়ার একপ্রকার কূটনৈতিক কৌশল, যাতে পশ্চিমাদের সঙ্গে নতুন করে দরকষাকষির সুযোগ তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “এটি দেখানোর একটি উপায় যে ইন্দোনেশিয়ার বিকল্প আছে — শুধুমাত্র পশ্চিমা সরবরাহের ওপর নির্ভর নয়।”


বাজেট ও সামরিক বাস্তবতা

স্বাধীন থিংক ট্যাঙ্ক ‘ভার্ভ রিসার্চ’-এর নির্বাহী পরিচালক ন্যাটালি সামভি মনে করেন, বাজেট সংকট, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা এবং বিমানবাহিনীর ভেতরের দ্বিধা, এসব কারণেই সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিচ্ছে।

তার মতে, “চীনের সামরিক প্রযুক্তির ওপর বেশি নির্ভরশীল হলে ইন্দোনেশিয়া রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ ভবিষ্যতে নিজেদের প্রযুক্তি ভাগাভাগিতে অনীহা দেখাতে পারে।”

অন্যদিকে, অর্থনীতি ও আইন গবেষণা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক বিমা ইউধিষ্টিরা বলেন, আগামী বছরের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়লেও দুর্বল কর রাজস্বের কারণে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।


অস্ত্র সরবরাহে বৈচিত্র্য আনার নীতি

১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত পূর্ব তিমুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর থেকেই জাকার্তা সরবরাহের উৎসে বৈচিত্র্য আনার কৌশল নেয়।

এই নীতি কূটনৈতিকভাবে কার্যকর হলেও অর্থনৈতিকভাবে ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়েছে। সামভির মতে, “দীর্ঘ মেয়াদে এই কৌশল লজিস্টিক জটিলতা ও যুদ্ধ প্রস্তুতিতে অদক্ষতা বাড়ায়।”

বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার হাতে ১১০টি যুদ্ধবিমান আছে — এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬, রাশিয়ার সু-২৭ ও সু-৩০, এবং ব্রিটেনের বিএই হক ১০০ ও ২০০ সিরিজ অন্তর্ভুক্ত।


নতুন কেনাকাটা ও সহযোগিতা

২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়া ফ্রান্সের কাছ থেকে ৮.১ বিলিয়ন ডলারে ৪২টি রাফাল যুদ্ধবিমান কিনেছে, যার প্রথম ছয়টি আগামী বছর আসার কথা। এছাড়া তুরস্ক থেকে ৪৮টি কান বিমান কেনার চুক্তিও হয়েছে।

একই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কেএফ-২১ ‘বোরামায়ে’ ফাইটার জেট তৈরি করছে দেশটি। নভেম্বরেই দক্ষিণ কোরিয়া থেকে দুটি নতুন টি-৫০আই জেট আসার কথা — আর এই প্রকল্পে চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ইন্দোনেশিয়ার কার্যকর যুদ্ধবিমান সংখ্যা ৬২। রুশ বিমানগুলোর যন্ত্রাংশের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, আর আমেরিকান এফ-১৬ বিমানগুলোও পুরনো হয়ে যাচ্ছে।


নিজস্ব সাবমেরিন নির্মাণে অগ্রগতি

সম্প্রতি সুরাবায়ায় ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী ঘাঁটিতে দেশটির প্রথম নিজস্ব তৈরি স্বয়ংক্রিয় সাবমেরিন (AUV) সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়। এটি নির্মাণ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান পিএএল ইন্দোনেশিয়া।

স্যামসুদ্দিন জানান, এই সাবমেরিনে নিজস্বভাবে তৈরি টর্পেডো সিস্টেম থাকবে, এবং আগামী বছর থেকে এর ব্যাপক উৎপাদন শুরু হবে। তিনি বলেন, “আমরা এটি রপ্তানি করব না — আমাদের নিজেদের সামুদ্রিক চোকপয়েন্ট সুরক্ষায় ৩০টি এমন সাবমেরিন প্রয়োজন।”


চীনের জে-১০ যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রেখে ইন্দোনেশিয়া স্পষ্টতই এক ধরনের কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে। বাজেট সংকট, পশ্চিমাদের সঙ্গে প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা — সবকিছু মিলিয়ে জাকার্তা এখন হিসাবি পথে হাঁটছে।


সারাক্ষণ রিপোর্ট

#ইন্দোনেশিয়া #চীন #জে১০ #যুদ্ধবিমান #প্রতিরক্ষা #এশিয়াপলিটিকস #সারাক্ষণরিপোর্ট