০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ওবামাকেয়ার স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন: খরচ বাড়ছে, সতর্কতার সঙ্গে বেছে নেওয়ার আহ্বান শেখ হাসিনা : ভারত কি অবশেষে তাকে ‘আনলক’ করছে? গাজায় সহিংসতা ও মানবিক সংকটের মাঝে ইসরায়েলে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সুদানে দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ বিস্তার আরও দুই অঞ্চলে – বিপর্যয়ের মুখে লাখো মানুষ আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ২০ জন নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ঐতিহাসিক নীল মসজিদ মানবতার পরীক্ষায় বিশ্বব্যাপী আহ্বান ৯০ বছরের পুরানো জ্যাজ রেকর্ডের রাজত্ব ভিডিও গেমস এবং যুব সমাজ: আধুনিক প্রযুক্তি ও খেলাধুলার প্রভাব জাপানে বিমানযাত্রার খাবার: আকাশে এয়ারলাইন্সগুলো খাবারের মান উন্নত করেছে WTA ফাইনাল: ইগা শোয়াটেক ও এলেনা রাইবাকিনা প্রাথমিক জয়ে আধিপত্য

সৌদি যুবরাজের ট্রাম্প বৈঠক: কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন অধ্যায়

আসন্ন বৈঠক: ওয়াশিংটনে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ১৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে হোয়াইট হাউসে পৌঁছাবেন। সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক কূটনীতি পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় আসতে পারে।


আব্রাহাম চুক্তিতে সৌদি অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা

ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে ‘আব্রাহাম চুক্তি’-তে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। ২০২০ সালে ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করেন।

তবে সৌদি আরব এখনো চুক্তিতে যোগ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, কারণ দেশটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চায়। ট্রাম্প সম্প্রতি সিবিএস চ্যানেলের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবও এই চুক্তিতে যোগ দেবে।


সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি

বৈঠকে ট্রাম্প ও যুবরাজ সালমানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাজ্যের ফাইনান্সিয়াল টাইমস দুই সপ্তাহ আগে জানিয়েছিল, দুই দেশ আশাবাদী যে যুবরাজের সফরের সময় একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

এক সিনিয়র ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা রয়টার্স-কে জানান, ‘যুবরাজের আগমনের সময় কিছু সই হতে পারে এমন আলোচনা চলছে, তবে বিস্তারিত এখনো পরিবর্তনশীল।’


যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও অস্ত্র সহযোগিতা

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা নিশ্চয়তা ও আরও উন্নত মার্কিন অস্ত্র প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার চাইছে।
দেশটি বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতাদের মধ্যে একটি। দুই দেশের সম্পর্কের মূলভিত্তি হলো — রিয়াদ তেল সরবরাহ করে, আর ওয়াশিংটন দেয় নিরাপত্তা সহায়তা।

গত মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।


মোহাম্মদ বিন সালমানের এই সফরকে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পারস্পরিক সম্পর্ককেই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিন্যাসকেও প্রভাবিত করতে পারে।



#সৌদি_আরব #ট্রাম্প #হোয়াইট_হাউস #মোহাম্মদ_বিন_সালমান #কূটনীতি #যুক্তরাষ্ট্র #আব্রাহাম_চুক্তি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবামাকেয়ার স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় বড় পরিবর্তন: খরচ বাড়ছে, সতর্কতার সঙ্গে বেছে নেওয়ার আহ্বান

সৌদি যুবরাজের ট্রাম্প বৈঠক: কূটনৈতিক ভারসাম্যে নতুন অধ্যায়

১২:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

আসন্ন বৈঠক: ওয়াশিংটনে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ১৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে হোয়াইট হাউসে পৌঁছাবেন। সোমবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই সফরকে দুই দেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করা হচ্ছে, যেখানে প্রতিরক্ষা চুক্তি থেকে শুরু করে আঞ্চলিক কূটনীতি পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যু আলোচনায় আসতে পারে।


আব্রাহাম চুক্তিতে সৌদি অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা

ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবকে ‘আব্রাহাম চুক্তি’-তে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী। ২০২০ সালে ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান ও মরক্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ঐতিহাসিক চুক্তি সম্পন্ন করেন।

তবে সৌদি আরব এখনো চুক্তিতে যোগ দিতে দ্বিধাগ্রস্ত, কারণ দেশটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চায়। ট্রাম্প সম্প্রতি সিবিএস চ্যানেলের ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবও এই চুক্তিতে যোগ দেবে।


সম্ভাব্য প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি

বৈঠকে ট্রাম্প ও যুবরাজ সালমানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। যুক্তরাজ্যের ফাইনান্সিয়াল টাইমস দুই সপ্তাহ আগে জানিয়েছিল, দুই দেশ আশাবাদী যে যুবরাজের সফরের সময় একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।

এক সিনিয়র ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা রয়টার্স-কে জানান, ‘যুবরাজের আগমনের সময় কিছু সই হতে পারে এমন আলোচনা চলছে, তবে বিস্তারিত এখনো পরিবর্তনশীল।’


যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও অস্ত্র সহযোগিতা

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা নিশ্চয়তা ও আরও উন্নত মার্কিন অস্ত্র প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার চাইছে।
দেশটি বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অস্ত্র ক্রেতাদের মধ্যে একটি। দুই দেশের সম্পর্কের মূলভিত্তি হলো — রিয়াদ তেল সরবরাহ করে, আর ওয়াশিংটন দেয় নিরাপত্তা সহায়তা।

গত মে মাসে ট্রাম্পের রিয়াদ সফরের সময় প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলারের এক বিশাল অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা দুই দেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তোলে।


মোহাম্মদ বিন সালমানের এই সফরকে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পারস্পরিক সম্পর্ককেই নয়, বরং পুরো অঞ্চলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিন্যাসকেও প্রভাবিত করতে পারে।



#সৌদি_আরব #ট্রাম্প #হোয়াইট_হাউস #মোহাম্মদ_বিন_সালমান #কূটনীতি #যুক্তরাষ্ট্র #আব্রাহাম_চুক্তি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট