আমি আসলেই যে কোন মুহূর্তে দিগন্ত রেখার সঙ্গে মিলিয়ে যেতে পারি-
কোন শেকল, কোন দুর্বাদল কোন মায়াবি ফুল-
না কোন অন্ধকার রাত-
কোন নদীর তীর-
হোক সে গঙ্গা, পদ্মা, মেকং, ডানিউব-
সকলেই মুহূর্ত মাত্র।
আমি অগ্নিজাত কি, অগ্নিজাত না-
তাও ভাবি না-
আসলে ভেবে দেখিনি কোন কিছুই-
চাইনি কোন কিছুই-
পায়ে পায়ে অনেক কিছুই জড়িয়ে যায়-
পায়ে পায়ে অনেক কিছুই ছাড়িয়ে যায়-
দূর থেকে গভীর নিস্তব্ধতায় হেঁকে ওঠে
অজানা সুর-
বলে “চলছো কি দিগন্তের পথে?”
অচেনা হাসি ভেঙে ভেঙে
রোদের রেখার মতো চলে যায় সামনে দিয়ে-
তাদের মুক্তো ছড়ানো পথে-
চাঁদনি রাতে হয়তো নেচে যায় কেউ –
হয়তো সে শরীরি, হয়তো অশরীরি-
মাঝে মাঝে তাই নিজের শরীরও
হয়ে যায় অশরীরি-
তখন অট্টহাসি ফেটে পড়ে চারপাশে –
মনে হয় শোনে সে হাসি কেউ বা শোনে না
ক্ষতি নেই, ক্ষতি হলেও ক্ষতি কি?
আনন্দ এসে আরও নিবিড় আলিঙ্গনে বাঁধলে
শরীরটি হারিয়ে যায়-
তখন নিজেই দিগন্ত রেখা-
শুধু দৃষ্টি সীমায়-
আর কিছু নই।
স্বদেশ রায় 


















