১০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

এআই যুগে নতুন প্রেমের খোঁজ: ডেটিং অ্যাপের রূপান্তর

ডেটিং অ্যাপ জগতে এআই এখন প্রেমের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠছে। টিন্ডার, হিঞ্জ, বাম্বল কিংবা গ্রাইন্ডারের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো নিজেদের বদলে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায়। অনেকে একঘেয়ে ‘সোয়াইপ সংস্কৃতি’ থেকে বিরক্ত হয়ে এবার খুঁজছেন এআই-ম্যাচমেকারের সাহায্য।

২৫ বছর বয়সী প্রজেক্ট ম্যানেজার এমা ইনগে, যিনি সান ফ্রান্সিসকোতে থাকেন, বহু বছর টিন্ডার ও হিঞ্জ ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে এক নতুন উদ্যোগ “নোন (Known)”-এর সহায়তা নেন। সেখানে এক এআই চ্যাটবট তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানে, তিনি কেমন সঙ্গী চান (যেমন—অ্যাথলেটিক) এবং কোন বৈশিষ্ট্যগুলো এড়াতে চান (যেমন—অতি নির্ভরশীলতা)। এক সপ্তাহ পর ২৫ ডলারের বিনিময়ে তিনি একটি সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।

“এখনকার ডেটিং এত জটিল হয়ে গেছে, ভাবলাম নতুনভাবে চেষ্টা করি,” বলেন এমা।


এআই-এর প্রভাব ও ডেটিং অ্যাপের নতুন দিক

এই অভিজ্ঞতা আজকের ডেটিং অ্যাপগুলোর পরিবর্তনের প্রতীক। বড় কোম্পানিগুলো যেমন হিঞ্জ, টিন্ডার, বাম্বল ও গ্রাইন্ডার, নতুনভাবে এআই ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভুল মিল খুঁজে দিতে চায়। এতে মানুষ অসীম প্রোফাইল স্ক্রল করার বদলে সপ্তাহে নির্দিষ্ট কিছু প্রিমিয়াম ম্যাচের জন্য অর্থ প্রদান করবে।

ম্যাচ গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেসাম হোসেইনি বলেন, “এআই আমাদের ব্যবসায় ইতিমধ্যেই বড় ভূমিকা রাখছে। এটি হতে পারে পরবর্তী প্রযুক্তিগত রূপান্তর।”


মুনাফার সংকটে ডেটিং অ্যাপ শিল্প

বেশিরভাগ অ্যাপেই ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে প্রোফাইল খুলতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত সুবিধার জন্য মাসে প্রায় ৩০ ডলার দিতে হয়। তবু সন্তুষ্টি কমছে, এবং অর্থ প্রদানকারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। গত এক বছরে বাম্বলের প্রিমিয়াম গ্রাহক ৯ শতাংশ কমেছে, আর ম্যাচ গ্রুপের ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

যদিও অর্থ প্রদানকারীরা মোট ব্যবহারকারীর মাত্র ২০ শতাংশ, তারাই পুরো আয়ের ৯৭ শতাংশ যোগান দেয়। অথচ ২০২১ সালের সর্বোচ্চ মূল্যের তুলনায় ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারের দাম ৮০ শতাংশ কমে গেছে, আর বাম্বলের ৯০ শতাংশ।


“ডেসপেয়ারের চক্র” ভাঙতে এআই

এই শিল্প এখন তথাকথিত “চক্রবৃত্তি হতাশা” (Cycle of Despair)-এর মধ্যে পড়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ডাউনলোড করে, কিছুদিন ব্যবহার করে হতাশ হয়ে মুছে ফেলে, আবার কিছুদিন পর ফিরে আসে।

হোসেইনির মতে, এআই-ভিত্তিক ম্যাচমেকিং অনলাইন ডেটিংয়ের প্রাথমিক দিনগুলোর মতোই, যখন eHarmony-র মতো সাইটে ব্যবহারকারীদের ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো।


বড় অ্যাপগুলোর এআই উদ্যোগ

  • টিন্ডার “Chemistry” নামে একটি এআই-ম্যাচিং সেবা পরীক্ষা করছে, যা ব্যবহারকারীর ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে পছন্দ বোঝার চেষ্টা করবে।
  • গ্রাইন্ডার চালু করেছে ছয়টি এআই-ভিত্তিক ফিচার, যার মধ্যে আছে “উইংম্যান” চ্যাট সহায়ক ও এআই-সারাংশ তৈরি করার টুল।
  • হিঞ্জ তার জেনারেটিভ এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী ম্যাচ ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।
  • বাম্বল বছরের শেষে নতুন এআই-ম্যাচমেকিং অ্যাপ আনতে চায়, যা প্রতি ম্যাচের ভিত্তিতে অর্থ নিতে পারে।

এছাড়া ফেসবুক ডেটিংও ব্যবহারকারীদের আদর্শ সঙ্গী বর্ণনা করার সুযোগ দিচ্ছে, যাতে এআই সেই বর্ণনার সঙ্গে মিল থাকা প্রোফাইল খুঁজে দিতে পারে।


নতুন নেতৃত্বে দ্রুত রূপান্তর

২০২৪ সালে বাম্বলের প্রতিষ্ঠাতা হুইটনি ওল্ফ হার্ড পদত্যাগের পর মার্চ ২০২৫-এ পুনরায় সিইও পদে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “এআই কোনো সাময়িক প্রবণতা নয়। আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।”

অন্যদিকে, ম্যাচ গ্রুপে নতুন সিইও হিসেবে যুক্ত হয়েছেন স্পেন্সার রাসকফ, যিনি পূর্বে Zillow-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।


বিনিয়োগকারীদের নতুন আগ্রহ

এই পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করেছে। প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সিসকো পার্টনার্স ও পারমিরা বাম্বল ও গ্রাইন্ডারসহ কয়েকটি অ্যাপ কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে, যাতে তারা ম্যাচ গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছয়টি অ্যাপের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারে।


তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ: Known

নোন (Known)-এর প্রতিষ্ঠাতা দুই তরুণ উদ্যোক্তা, সেলেস্ট আমাডন (২২) ও অ্যাশার অ্যালেন (২১), যারা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এই প্রকল্পে যুক্ত হন। মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তায় তারা এআই-চ্যাটবটের প্রশ্ন তৈরি করেন। তাদের মতে, “মাসিক সাবস্ক্রিপশনের পরিবর্তে প্রতি ডেটের জন্য অর্থ নেওয়া মানুষকে বাস্তব জীবনে দেখা করতে আরও উৎসাহিত করে।”

সান ফ্রান্সিসকোতে নোন ইতিমধ্যেই ২০০ জনের বেশি অংশগ্রহণে ১০টি সিঙ্গেলস নাইট আয়োজন করেছে।


এমা ইনগের অভিজ্ঞতার উপসংহার

এমা বলেন, “কলেজে টিন্ডার ও হিঞ্জে সাইন আপ করেছিলাম, কিন্তু কোনো অর্থপূর্ণ সম্পর্ক পাইনি। এখন আমি সাধারণত ডেটিং অ্যাপের বিরোধী।” সামাজিকভাবে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এমনকি সকাল ৬টার রানিং ক্লাবেও যোগ দিয়েছিলেন।

তবু তিনি নোন-এ একবার সুযোগ দেন। সেখানে এক অচেনা সঙ্গীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা কথা বলেন—তারা দুজনেই নতুন রেস্টুরেন্ট ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ হারিয়ে গেলেও এমা বলেন, “এআই আসলেই মিল খুঁজে দিয়েছিল, ব্যর্থ হলো মানুষের দিকটাই।”


#প্রযুক্তি #এআই #ডেটিংঅ্যাপ #নতুনপ্রজন্মেরপ্রেম #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

এআই যুগে নতুন প্রেমের খোঁজ: ডেটিং অ্যাপের রূপান্তর

০১:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

ডেটিং অ্যাপ জগতে এআই এখন প্রেমের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠছে। টিন্ডার, হিঞ্জ, বাম্বল কিংবা গ্রাইন্ডারের মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলো নিজেদের বদলে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তায়। অনেকে একঘেয়ে ‘সোয়াইপ সংস্কৃতি’ থেকে বিরক্ত হয়ে এবার খুঁজছেন এআই-ম্যাচমেকারের সাহায্য।

২৫ বছর বয়সী প্রজেক্ট ম্যানেজার এমা ইনগে, যিনি সান ফ্রান্সিসকোতে থাকেন, বহু বছর টিন্ডার ও হিঞ্জ ব্যবহার করে ক্লান্ত হয়ে এক নতুন উদ্যোগ “নোন (Known)”-এর সহায়তা নেন। সেখানে এক এআই চ্যাটবট তার সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানে, তিনি কেমন সঙ্গী চান (যেমন—অ্যাথলেটিক) এবং কোন বৈশিষ্ট্যগুলো এড়াতে চান (যেমন—অতি নির্ভরশীলতা)। এক সপ্তাহ পর ২৫ ডলারের বিনিময়ে তিনি একটি সম্ভাব্য সঙ্গীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।

“এখনকার ডেটিং এত জটিল হয়ে গেছে, ভাবলাম নতুনভাবে চেষ্টা করি,” বলেন এমা।


এআই-এর প্রভাব ও ডেটিং অ্যাপের নতুন দিক

এই অভিজ্ঞতা আজকের ডেটিং অ্যাপগুলোর পরিবর্তনের প্রতীক। বড় কোম্পানিগুলো যেমন হিঞ্জ, টিন্ডার, বাম্বল ও গ্রাইন্ডার, নতুনভাবে এআই ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ভুল মিল খুঁজে দিতে চায়। এতে মানুষ অসীম প্রোফাইল স্ক্রল করার বদলে সপ্তাহে নির্দিষ্ট কিছু প্রিমিয়াম ম্যাচের জন্য অর্থ প্রদান করবে।

ম্যাচ গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হেসাম হোসেইনি বলেন, “এআই আমাদের ব্যবসায় ইতিমধ্যেই বড় ভূমিকা রাখছে। এটি হতে পারে পরবর্তী প্রযুক্তিগত রূপান্তর।”


মুনাফার সংকটে ডেটিং অ্যাপ শিল্প

বেশিরভাগ অ্যাপেই ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে প্রোফাইল খুলতে পারেন, কিন্তু অতিরিক্ত সুবিধার জন্য মাসে প্রায় ৩০ ডলার দিতে হয়। তবু সন্তুষ্টি কমছে, এবং অর্থ প্রদানকারী ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমছে। গত এক বছরে বাম্বলের প্রিমিয়াম গ্রাহক ৯ শতাংশ কমেছে, আর ম্যাচ গ্রুপের ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

যদিও অর্থ প্রদানকারীরা মোট ব্যবহারকারীর মাত্র ২০ শতাংশ, তারাই পুরো আয়ের ৯৭ শতাংশ যোগান দেয়। অথচ ২০২১ সালের সর্বোচ্চ মূল্যের তুলনায় ম্যাচ গ্রুপের শেয়ারের দাম ৮০ শতাংশ কমে গেছে, আর বাম্বলের ৯০ শতাংশ।


“ডেসপেয়ারের চক্র” ভাঙতে এআই

এই শিল্প এখন তথাকথিত “চক্রবৃত্তি হতাশা” (Cycle of Despair)-এর মধ্যে পড়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ডাউনলোড করে, কিছুদিন ব্যবহার করে হতাশ হয়ে মুছে ফেলে, আবার কিছুদিন পর ফিরে আসে।

হোসেইনির মতে, এআই-ভিত্তিক ম্যাচমেকিং অনলাইন ডেটিংয়ের প্রাথমিক দিনগুলোর মতোই, যখন eHarmony-র মতো সাইটে ব্যবহারকারীদের ৮০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো।


বড় অ্যাপগুলোর এআই উদ্যোগ

  • টিন্ডার “Chemistry” নামে একটি এআই-ম্যাচিং সেবা পরীক্ষা করছে, যা ব্যবহারকারীর ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে পছন্দ বোঝার চেষ্টা করবে।
  • গ্রাইন্ডার চালু করেছে ছয়টি এআই-ভিত্তিক ফিচার, যার মধ্যে আছে “উইংম্যান” চ্যাট সহায়ক ও এআই-সারাংশ তৈরি করার টুল।
  • হিঞ্জ তার জেনারেটিভ এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর পছন্দ অনুযায়ী ম্যাচ ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে।
  • বাম্বল বছরের শেষে নতুন এআই-ম্যাচমেকিং অ্যাপ আনতে চায়, যা প্রতি ম্যাচের ভিত্তিতে অর্থ নিতে পারে।

এছাড়া ফেসবুক ডেটিংও ব্যবহারকারীদের আদর্শ সঙ্গী বর্ণনা করার সুযোগ দিচ্ছে, যাতে এআই সেই বর্ণনার সঙ্গে মিল থাকা প্রোফাইল খুঁজে দিতে পারে।


নতুন নেতৃত্বে দ্রুত রূপান্তর

২০২৪ সালে বাম্বলের প্রতিষ্ঠাতা হুইটনি ওল্ফ হার্ড পদত্যাগের পর মার্চ ২০২৫-এ পুনরায় সিইও পদে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, “এআই কোনো সাময়িক প্রবণতা নয়। আমরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি।”

অন্যদিকে, ম্যাচ গ্রুপে নতুন সিইও হিসেবে যুক্ত হয়েছেন স্পেন্সার রাসকফ, যিনি পূর্বে Zillow-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।


বিনিয়োগকারীদের নতুন আগ্রহ

এই পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদেরও আকৃষ্ট করেছে। প্রাইভেট ইকুইটি প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সিসকো পার্টনার্স ও পারমিরা বাম্বল ও গ্রাইন্ডারসহ কয়েকটি অ্যাপ কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে, যাতে তারা ম্যাচ গ্রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছয়টি অ্যাপের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারে।


তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ: Known

নোন (Known)-এর প্রতিষ্ঠাতা দুই তরুণ উদ্যোক্তা, সেলেস্ট আমাডন (২২) ও অ্যাশার অ্যালেন (২১), যারা স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে এই প্রকল্পে যুক্ত হন। মনোবিজ্ঞানীদের সহায়তায় তারা এআই-চ্যাটবটের প্রশ্ন তৈরি করেন। তাদের মতে, “মাসিক সাবস্ক্রিপশনের পরিবর্তে প্রতি ডেটের জন্য অর্থ নেওয়া মানুষকে বাস্তব জীবনে দেখা করতে আরও উৎসাহিত করে।”

সান ফ্রান্সিসকোতে নোন ইতিমধ্যেই ২০০ জনের বেশি অংশগ্রহণে ১০টি সিঙ্গেলস নাইট আয়োজন করেছে।


এমা ইনগের অভিজ্ঞতার উপসংহার

এমা বলেন, “কলেজে টিন্ডার ও হিঞ্জে সাইন আপ করেছিলাম, কিন্তু কোনো অর্থপূর্ণ সম্পর্ক পাইনি। এখন আমি সাধারণত ডেটিং অ্যাপের বিরোধী।” সামাজিকভাবে মানুষের সঙ্গে দেখা করতে তিনি এমনকি সকাল ৬টার রানিং ক্লাবেও যোগ দিয়েছিলেন।

তবু তিনি নোন-এ একবার সুযোগ দেন। সেখানে এক অচেনা সঙ্গীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা কথা বলেন—তারা দুজনেই নতুন রেস্টুরেন্ট ও পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। পরবর্তীতে যোগাযোগ হারিয়ে গেলেও এমা বলেন, “এআই আসলেই মিল খুঁজে দিয়েছিল, ব্যর্থ হলো মানুষের দিকটাই।”


#প্রযুক্তি #এআই #ডেটিংঅ্যাপ #নতুনপ্রজন্মেরপ্রেম #সারাক্ষণরিপোর্ট