এআই দিয়ে বিজ্ঞাপন বাজারে নতুন দৌড়
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বাজারে এআই এখন বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন সুবিধা তৈরি করছে। গুগল, মেটা বা অ্যামাজনের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো বছরের পর বছর ধরে জমা হওয়া ব্যবহারকারীর আচরণগত তথ্য দিয়ে মডেল প্রশিক্ষণ করেছে; এখন এসব মডেল কয়েক মিনিটে কনটেন্ট বানাতে, লক্ষ্য নির্ধারণ করতে ও কোথায় বিজ্ঞাপন বসালে ভালো সাড়া মিলবে তা ঠিক করে দিতে পারে। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা দ্রুত ফল পাচ্ছেন, কিন্তু একই সঙ্গে তাদের অর্থ ওই প্ল্যাটফর্মের ভেতরেই ঘুরপাক খাচ্ছে। ছোট বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও স্বাধীন প্রকাশকরা বলছেন, এভাবে বাজারের দরকষাকষির ক্ষমতা বড় কোম্পানির দিকে সরে যাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক ও ব্র্যান্ডগুলোর শঙ্কা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামগ্রিক অনলাইন বিজ্ঞাপন খাতের প্রবৃদ্ধি আগের মতো নেই, তাই যে প্ল্যাটফর্মের কাছে বেশি ডেটা ও ব্যবহারকারী রয়েছে, উন্নত এআই ব্যবহারের সব লাভ তারাই প্রথমে পাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতা কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই স্ব-অগ্রাধিকার ও ডেটা অ্যাকসেস নিয়ে তদন্ত করছে; এখন যদি দেখা যায় এআই মডেলগুলোও অতি সীমাবদ্ধ, তাহলে সেই তদন্তের ক্ষেত্র আরেক ধাপ বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বড় ব্র্যান্ডগুলোও দ্বিধায়: এআই দিয়ে চালানো প্রচারণা হয়তো আজ ভালো ফল দিচ্ছে, কিন্তু মডেলের অ্যালগরিদম বদলে গেলে আগের মতো যাচাই বা অডিট করা কঠিন হয়ে যাবে। তবু আপাতত বিজ্ঞাপনদাতারা এই সরঞ্জাম ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন, কারণ এতে প্রচারণা সাজাতে কম সময় লাগে, ব্যক্তিকরণের মাত্রা বাড়ে এবং ফলাফল পরিমাপ করা সহজ হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতা চলতে থাকলে কয়েকটি কোম্পানি মিলেই ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের নিয়ম ও মানদণ্ড ঠিক করে দেবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















