১০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

চীনে বিয়ের নতুন ঢেউ: ক্লাব, মেট্রো স্টেশন আর বরফঢাকা পাহাড়েই হচ্ছে বিয়ে

নিয়ম শিথিল, তাই ভেন্যুতে সৃজনশীলতা
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে সরকার বিয়ের নিবন্ধনের জায়গা নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর চীনে তরুণদের মধ্যে এক ধরনের উৎসবমুখরতা তৈরি হয়েছে। আগে নাগরিকদের নিজ নিজ হুকৌ বা নিবন্ধিত এলাকার অফিসেই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হতো; এখন তারা দেশের যেকোনো শহরে গিয়ে এটা করতে পারছে। ফলে দল বেঁধে তরুণ-তরুণীরা নাইটক্লাব, রেলস্টেশন, পাহাড়ি স্কি রিসোর্ট বা পুরোনো ঐতিহাসিক স্থানে গিয়ে ছোট আকারে অনুষ্ঠান করছে, যেগুলো ছবি ও ভিডিওতে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। বিয়ের আয়োজকরা বলছেন, আজকের ক্রেতারা বড় ভোজসভার বদলে “ব্যক্তিগত ও শেয়ারযোগ্য মুহূর্ত” চাইছে এবং তারা চায় অনুষ্ঠানটি নিজেদের পছন্দের শহর বা অনলাইন পরিচয়ের সঙ্গে মেলে। স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টিকে পর্যটন ও ইতিবাচক প্রচারণার সুযোগ হিসেবে দেখছে, তাই অনেক জায়গায় পূর্বে নিষিদ্ধ ছিল এমন ভেন্যুও এখন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
জনসংখ্যা সংকটের পটভূমি
চীন এখন জন্মহার ও বিয়ের হার কমে যাওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে; কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে গেলে অর্থনীতিও ধীর হতে পারে—এই ভয় থেকেই বিয়ে প্রক্রিয়াকে সহজ করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা অন্য শহরে পেশাগতভাবে থাকেন, তাদের জন্য পূর্বের নিয়ম বড় বাধা ছিল; নতুন নিয়মে তারা একই শহরে থাকা সঙ্গীর সঙ্গে সহজেই পরিণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে পুরো জন্মহার হঠাৎ বাড়বে না, কিন্তু “ছোট ছোট ঝামেলা” কমে গেলে অনেকে বিয়েতে আগ্রহী হবে। নতুন ধরনের বিয়ে স্থানীয় ডিজে, ফটোগ্রাফার, সজ্জাশিল্পী ও খাবার সরবরাহকারীদেরও নতুন বাজার দিয়েছে। তবে সব অনুষ্ঠান যেন শৃঙ্খলা ভেঙে না ফেলে, সে জন্য কিছু শহর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও শব্দের মাত্রা সীমিত করেছে। তবু ক্লাব বা মেট্রো স্টেশনে বিয়ের ছবি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, আর সরকার যে আনন্দঘন বার্তা ছড়াতে চেয়েছিল, সেটাই বেশি লোক দেখছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

চীনে বিয়ের নতুন ঢেউ: ক্লাব, মেট্রো স্টেশন আর বরফঢাকা পাহাড়েই হচ্ছে বিয়ে

১০:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নিয়ম শিথিল, তাই ভেন্যুতে সৃজনশীলতা
জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মে মাসে সরকার বিয়ের নিবন্ধনের জায়গা নিয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করার পর চীনে তরুণদের মধ্যে এক ধরনের উৎসবমুখরতা তৈরি হয়েছে। আগে নাগরিকদের নিজ নিজ হুকৌ বা নিবন্ধিত এলাকার অফিসেই বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে হতো; এখন তারা দেশের যেকোনো শহরে গিয়ে এটা করতে পারছে। ফলে দল বেঁধে তরুণ-তরুণীরা নাইটক্লাব, রেলস্টেশন, পাহাড়ি স্কি রিসোর্ট বা পুরোনো ঐতিহাসিক স্থানে গিয়ে ছোট আকারে অনুষ্ঠান করছে, যেগুলো ছবি ও ভিডিওতে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। বিয়ের আয়োজকরা বলছেন, আজকের ক্রেতারা বড় ভোজসভার বদলে “ব্যক্তিগত ও শেয়ারযোগ্য মুহূর্ত” চাইছে এবং তারা চায় অনুষ্ঠানটি নিজেদের পছন্দের শহর বা অনলাইন পরিচয়ের সঙ্গে মেলে। স্থানীয় প্রশাসনও বিষয়টিকে পর্যটন ও ইতিবাচক প্রচারণার সুযোগ হিসেবে দেখছে, তাই অনেক জায়গায় পূর্বে নিষিদ্ধ ছিল এমন ভেন্যুও এখন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
জনসংখ্যা সংকটের পটভূমি
চীন এখন জন্মহার ও বিয়ের হার কমে যাওয়ার চ্যালেঞ্জের মুখে; কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমে গেলে অর্থনীতিও ধীর হতে পারে—এই ভয় থেকেই বিয়ে প্রক্রিয়াকে সহজ করা হয়েছে। বিশেষ করে যারা অন্য শহরে পেশাগতভাবে থাকেন, তাদের জন্য পূর্বের নিয়ম বড় বাধা ছিল; নতুন নিয়মে তারা একই শহরে থাকা সঙ্গীর সঙ্গে সহজেই পরিণয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারছেন। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, এতে পুরো জন্মহার হঠাৎ বাড়বে না, কিন্তু “ছোট ছোট ঝামেলা” কমে গেলে অনেকে বিয়েতে আগ্রহী হবে। নতুন ধরনের বিয়ে স্থানীয় ডিজে, ফটোগ্রাফার, সজ্জাশিল্পী ও খাবার সরবরাহকারীদেরও নতুন বাজার দিয়েছে। তবে সব অনুষ্ঠান যেন শৃঙ্খলা ভেঙে না ফেলে, সে জন্য কিছু শহর অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ও শব্দের মাত্রা সীমিত করেছে। তবু ক্লাব বা মেট্রো স্টেশনে বিয়ের ছবি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে, আর সরকার যে আনন্দঘন বার্তা ছড়াতে চেয়েছিল, সেটাই বেশি লোক দেখছে।