১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী গ্লোবাল কনটেন্টে ঝুঁকছে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম তীব্র তাপে বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ গ্রিডে চাপ বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার

সংসার নয়, সমান অংশীদারিত্ব: শর্মিলা ফারুকির প্রশংসা সাবা কামারের ‘পামাল’ নাটকের

মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠ

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য শর্মিলা ফারুকি জনপ্রিয় নাটক ‘পামাল’-এর প্রশংসা করেছেন, যেখানে দেখানো হয়েছে সংসারের ভেতরে নারীরা কীভাবে নীরবে মানসিক ও আবেগিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি বলেন, “বিয়ের সম্পর্ক কখনো কারাগার নয়।” এটি হওয়া উচিত এক প্রকৃত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক।


নাটকের গল্প: ভালোবাসা, স্বাধীনতা ও বন্ধনের লড়াই

‘পামাল’-এ মালিকা নামের এক তরুণীর গল্প বলা হয়েছে, যিনি প্রথাগত ধারণা ভেঙে ভালোবাসার পথে হাঁটেন। সাবা কামার অভিনীত মালিকা নিজের পিতার বাড়ির নিরাপদ পরিবেশ ছেড়ে স্বামীর ঘরে পা রাখেন, কিন্তু সেখানে সুখী জীবনের স্বপ্ন ভেঙে যায়।

তার স্বামী রাজা (অভিনয়ে উসমান মুখতার) শুরুতে নিখুঁত, যত্নশীল ও দায়িত্ববান মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভেতরে অদৃশ্য বাঁধন তৈরি হয়। মালিকার স্বাধীনচেতা মানসিকতা ধীরে ধীরে চাপে পড়ে, আর তাকে মানসিকভাবে বন্দি করে ফেলা হয়।


সমাজে অবহেলিত এক নির্যাতনের রূপ

শর্মিলা ফারুকির মতে, শারীরিক সহিংসতা এখন সমাজে স্বীকৃত অপরাধ হলেও “মনস্তাত্ত্বিক নিপীড়ন” বা “coercive control” এখনো বিপজ্জনকভাবে অবহেলিত।


তিনি বলেন, “যখন স্বামী বা পরিবার অপমান, ভয় দেখানো, নজরদারি বা গ্যাসলাইটিংয়ের মাধ্যমে কোনো নারীর আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়, সেটিও এক ধরনের নির্যাতন। এটি অনেক সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন না রেখে মন ও আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করে।”


‘পামাল’-এর বার্তা: ভালোবাসা নয়, নিয়ন্ত্রণের মুখোশ

গ্রিন এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এই নাটকটি লিখেছেন জানজাবিল আসিম শাহ এবং পরিচালনা করেছেন খিজর ইদরিস। গল্পে দেখানো হয়েছে, কীভাবে অনেক নারীর মানসিক ও আবেগিক কষ্টকে ভালোবাসা, যত্ন বা সুরক্ষার নামে ঢেকে ফেলা হয়।
নাটকটি এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে দর্শকদের, যেখানে ভালোবাসা ধীরে ধীরে পরিণত হয় নিয়ন্ত্রণে, আর সহানুভূতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে দমন ও মানসিক নির্যাতন।


নারীর মর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে শর্মিলার বার্তা

শর্মিলা ফারুকি আরও বলেন, “কোনো নারীকে কখনোই তার স্বর, পরিচয় বা মর্যাদা বিসর্জন দিতে হবে না—কোনো সঙ্গীর নিরাপত্তাহীনতা বা শ্রেষ্ঠত্ববোধ পূরণ করার জন্য।”
তার ভাষায়, “বিবাহ একটি অংশীদারিত্বের সম্পর্ক, বন্দিদশা নয়।”


দর্শকদের প্রতিক্রিয়া: নীরব ব্যথার প্রতিধ্বনি

‘পামাল’-এর সংলগ্ন, বাস্তবধর্মী উপস্থাপনা অনেক নারীর সঙ্গে গভীরভাবে সাড়া ফেলেছে। অনেকে এটিকে “অবশ্যই দেখা উচিত এমন একটি নাটক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
নাটকের নীরব অথচ তীব্র উপস্থাপনা সমাজে এমন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা এতদিন অদৃশ্য থেকেছে—গৃহের দেয়ালের আড়ালে থাকা মানসিক নির্যাতনের গল্প।


#সাবা_কামার #পামাল #শর্মিলা_ফারুকি #নারী_অধিকার #মানসিক_নির্যাতন

জনপ্রিয় সংবাদ

নগরজীবনে মানিয়ে নিচ্ছে বন্যপ্রাণী

সংসার নয়, সমান অংশীদারিত্ব: শর্মিলা ফারুকির প্রশংসা সাবা কামারের ‘পামাল’ নাটকের

১১:৩৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

মানসিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠ

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য শর্মিলা ফারুকি জনপ্রিয় নাটক ‘পামাল’-এর প্রশংসা করেছেন, যেখানে দেখানো হয়েছে সংসারের ভেতরে নারীরা কীভাবে নীরবে মানসিক ও আবেগিক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি বলেন, “বিয়ের সম্পর্ক কখনো কারাগার নয়।” এটি হওয়া উচিত এক প্রকৃত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক।


নাটকের গল্প: ভালোবাসা, স্বাধীনতা ও বন্ধনের লড়াই

‘পামাল’-এ মালিকা নামের এক তরুণীর গল্প বলা হয়েছে, যিনি প্রথাগত ধারণা ভেঙে ভালোবাসার পথে হাঁটেন। সাবা কামার অভিনীত মালিকা নিজের পিতার বাড়ির নিরাপদ পরিবেশ ছেড়ে স্বামীর ঘরে পা রাখেন, কিন্তু সেখানে সুখী জীবনের স্বপ্ন ভেঙে যায়।

তার স্বামী রাজা (অভিনয়ে উসমান মুখতার) শুরুতে নিখুঁত, যত্নশীল ও দায়িত্ববান মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের ভেতরে অদৃশ্য বাঁধন তৈরি হয়। মালিকার স্বাধীনচেতা মানসিকতা ধীরে ধীরে চাপে পড়ে, আর তাকে মানসিকভাবে বন্দি করে ফেলা হয়।


সমাজে অবহেলিত এক নির্যাতনের রূপ

শর্মিলা ফারুকির মতে, শারীরিক সহিংসতা এখন সমাজে স্বীকৃত অপরাধ হলেও “মনস্তাত্ত্বিক নিপীড়ন” বা “coercive control” এখনো বিপজ্জনকভাবে অবহেলিত।


তিনি বলেন, “যখন স্বামী বা পরিবার অপমান, ভয় দেখানো, নজরদারি বা গ্যাসলাইটিংয়ের মাধ্যমে কোনো নারীর আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয়, সেটিও এক ধরনের নির্যাতন। এটি অনেক সময় শরীরে আঘাতের চিহ্ন না রেখে মন ও আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করে।”


‘পামাল’-এর বার্তা: ভালোবাসা নয়, নিয়ন্ত্রণের মুখোশ

গ্রিন এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত এই নাটকটি লিখেছেন জানজাবিল আসিম শাহ এবং পরিচালনা করেছেন খিজর ইদরিস। গল্পে দেখানো হয়েছে, কীভাবে অনেক নারীর মানসিক ও আবেগিক কষ্টকে ভালোবাসা, যত্ন বা সুরক্ষার নামে ঢেকে ফেলা হয়।
নাটকটি এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে দর্শকদের, যেখানে ভালোবাসা ধীরে ধীরে পরিণত হয় নিয়ন্ত্রণে, আর সহানুভূতির আড়ালে লুকিয়ে থাকে দমন ও মানসিক নির্যাতন।


নারীর মর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে শর্মিলার বার্তা

শর্মিলা ফারুকি আরও বলেন, “কোনো নারীকে কখনোই তার স্বর, পরিচয় বা মর্যাদা বিসর্জন দিতে হবে না—কোনো সঙ্গীর নিরাপত্তাহীনতা বা শ্রেষ্ঠত্ববোধ পূরণ করার জন্য।”
তার ভাষায়, “বিবাহ একটি অংশীদারিত্বের সম্পর্ক, বন্দিদশা নয়।”


দর্শকদের প্রতিক্রিয়া: নীরব ব্যথার প্রতিধ্বনি

‘পামাল’-এর সংলগ্ন, বাস্তবধর্মী উপস্থাপনা অনেক নারীর সঙ্গে গভীরভাবে সাড়া ফেলেছে। অনেকে এটিকে “অবশ্যই দেখা উচিত এমন একটি নাটক” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
নাটকের নীরব অথচ তীব্র উপস্থাপনা সমাজে এমন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা এতদিন অদৃশ্য থেকেছে—গৃহের দেয়ালের আড়ালে থাকা মানসিক নির্যাতনের গল্প।


#সাবা_কামার #পামাল #শর্মিলা_ফারুকি #নারী_অধিকার #মানসিক_নির্যাতন