রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্বিতীয় দিনের মতো বেতন কাঠামো উন্নয়ন ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
তিন দফা দাবি ও উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি
রবিবারও ‘প্রাইমারি টিচার্স ডিমান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন কাউন্সিল’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, শনিবারের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এ দাবি জানানো হচ্ছে।
দেশব্যাপী কর্মবিরতি
আবুল কাশেম বলেন, “শনিবার আমরা শাহবাগে ‘কলম সমর্পণ’ নামের এক শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালায়, পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে এবং শতাধিক শিক্ষক আহত হন।”
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
পুলিশের হামলা ও ক্ষোভ
কাশেম অভিযোগ করেন, পুলিশের এ হামলার পাশাপাশি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শিক্ষকদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন। “আমরা এই ধরনের মন্তব্যের নিন্দা জানাই এবং দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি,” তিনি বলেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
প্রাথমিক শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি ও সারাদেশে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন।
তিন দফা দাবি
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা।
২. চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করা।
৩. ১০০ শতাংশ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ন্যায্য দাবির স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।
#ট্যাগ: #প্রাথমিকশিক্ষক #বেতনবৃদ্ধিদাবি #শিক্ষকআন্দোলন #বাংলাদেশ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















