শিক্ষকদের কর্মবিরতি ও দাবি
পটুয়াখালী জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রোববার থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন। এই কর্মসূচি তারা শুরু করেছেন শনিবার ঢাকার শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে।
জেলাজুড়ে ১,২৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকলেও পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ছিল, কারণ প্রায় ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত হননি। ফলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়ে শিক্ষক না পেয়ে ফিরে গেছে বাড়িতে।
শিক্ষকদের অবস্থান
বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। তারা সরকারের কাছে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, দীর্ঘদিন ধরে চলমান বেতন বৈষম্য ও পদোন্নতি জটিলতা সমাধান না হলে তারা শিক্ষাকার্যক্রমে ফিরবেন না।
প্রধান শিক্ষকরাও যুক্ত
পটুয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (নং ১০০)-এর প্রধান শিক্ষক রুমানা ফেরদৌস জানান, শুধু সহকারী শিক্ষক নয়, প্রধান শিক্ষকরা-ও এই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, “শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন নীরব রয়েছে। আমরা সবাই একসঙ্গে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।”
শিক্ষকদের তিন দফা দাবি
শিক্ষকরা যে তিনটি মূল দাবি জানিয়েছেন, সেগুলো হলো—
১. সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা,
২. ১০ ও ১৬ বছরের চাকরির পর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা জটিলতা দূর করা,
৩. বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা প্রদান।
শনিবার রাজধানীর শাহবাগে প্রাথমিক শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন। সেখানে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও লাঠিচার্জের ঘটনায় বহু শিক্ষক আহত হন। এর পরদিনই দেশব্যাপী শিক্ষক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্মবিরতির ডাক দেন, যার অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতেও এই আন্দোলন শুরু হয়েছে।
শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তারা এই আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ রাখবেন এবং সরকারের কাছে দ্রুত সমাধানের প্রত্যাশা করেন। অন্যদিকে অভিভাবকরা শিক্ষাব্যবস্থার স্থবিরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
#শিক্ষকআন্দোলন #পটুয়াখালী #কর্মবিরতি #বেতনবৈষম্য #শিক্ষাখাত #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















