০৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি ঢাকায় দিনের আলোয় গুলিতে নিহত একজন স্ট্রিমিং যুগে হলিউড: নাম নয়, কারিগরি ও ধারাবাহিকতা শিক্ষায় সরলীকৃত চীনা: অনমনীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজন বাস্তব সংস্কার মাইক্রো-ড্রামা: ছোট পর্বে পূর্ণ কাহিনি সমাধিক্ষেত্রের পদচিহ্নে ইতিহাস ও কল্পনার ছায়া যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উঠছে ট্রাম্পের ‘গোল্ডেন ডোম’ — ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ঢাল নাকি এক মহাকল্পনার সাম্রাজ্য? তানজিন তিশা: আলো, প্রতিভা আর আত্মনির্ভরতার দীপ্ত গল্প জাপানের ট্রেডিং হাউসগুলো ট্রাম্পের শুল্ক চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কথা বলছে অ্যানথ্রপিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবসা: ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও উদ্বেগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.এফ. রহমান হলে ভিপি-জিএসের ‘সিঙ্গেল রুম’ বরাদ্দের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ.এফ. রহমান হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হলটির সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস)-এর জন্য ‘সিঙ্গেল রুম’ বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে হলের প্রভোস্ট ও ভিপি উভয়েই বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেছেন।

অভিযোগের সূত্রপাত

রুম ৩১৮-এর এক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সূপন সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, ওই কক্ষটি হলের ভিপি ও জিএস-এর জন্য নির্ধারিত।

আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রেদোয়ান বলেন, “প্রভোস্ট স্যার আমাদের ডেকে জানতে চেয়েছিলেন ৩১৮ নম্বর কক্ষে কয়জন থাকি। আমরা বলি, ছয়জন। তখন তিনি বলেন, একটি কক্ষে ছয়জন থাকা সম্ভব নয় এবং আমাদের মধ্যে কেউ ‘অবৈধভাবে’ থাকতে পারে। আমরা জানাই, সবার নামই ডাটাবেসে রয়েছে। তখন তিনি বলেন, ৩১৮ নাকি ঐতিহ্যগতভাবে ভিপি-জিএসের কক্ষ।”

পুরনো রীতির প্রশ্ন

রেদোয়ান প্রশ্ন তোলেন, “গত ৩০ বছরে এমন কোনো নজির নেই। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পরও ওই রুমে থাকতেন তৎকালীন ডাকসু এজিএস বিএসএলের সাদ্দাম, কোনো ভিপি বা জিএস নয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হল সংসদের কিছু সদস্য প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন যাতে ভিপি ও জিএসের জন্য একক কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ভিপির ব্যাখ্যা: ‘ভুল বোঝাবুঝি মাত্র’

অন্যদিকে এ.এফ. রহমান হলের ভিপি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। বর্তমানে আমরা আটজন মিলে একটি রুমে থাকি। সবাই ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ থেকে আসায় পড়াশোনার সময়সূচি মেলাতে সমস্যা হয়। আমি শুনেছি, হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন—৩১৮ ও ৪০৯ নম্বর ছোট দুটি কক্ষ মূলত ভিপি ও জিএসের জন্যই নকশা করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রভোস্টকে জানিয়েছিলাম, যদি বর্তমান আবাসিকরা সম্মত হন, তবে আমরা ওই কক্ষে দুইজন করে থাকতে পারি। আমরা কখনোই একক কক্ষ দাবি করিনি। তা হলে নির্বাচনের পরই দাবি করতাম। সবকিছুই ভুল বোঝাবুঝি।”

প্রভোস্টের প্রতিক্রিয়া

প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সূপন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “৩১৮ নম্বর কক্ষে চারজন থাকার কথা, কিন্তু সেখানে ছয়জন থাকে। আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম অতিরিক্ত কেউ কি অনুমতি ছাড়া থাকছে কিনা। হয়তো আমার কথাটি ভুলভাবে বোঝা হয়েছে।”

কোনো চাপ ছিল না: প্রভোস্ট

তিনি আরও বলেন, “ভিপি বা জিএসের পক্ষ থেকে কোনো চাপ আসেনি। তারা শুধু জানিয়েছিলেন যে, তাদের শেয়ার করা রুমে আসা-যাওয়ার কারণে ভিড় হয় এবং পড়াশোনায় সমস্যা হয়। তাই তারা একটি নিরিবিলি কক্ষ চেয়েছিল। আমি ৩১৮ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা চাইলে রুম পরিবর্তনের আবেদন করতে পারে।”

প্রভোস্ট আরও যোগ করেন, “হল প্রশাসনের কোনো ক্ষমতা নেই কাউকে জোর করে রুম ছাড়াতে। আমি শুধু বলেছি, চাইলে আবেদন করা যেতে পারে, কিন্তু কাউকে স্থানচ্যুত করার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।”

#DU #DhakaUniversity #AFRahmanHall #StudentPolitics #CampusNews #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

স্লো-লিভিং: শহরের ছোট বদলে বড় স্থিতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ.এফ. রহমান হলে ভিপি-জিএসের ‘সিঙ্গেল রুম’ বরাদ্দের অভিযোগ

০১:১৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ.এফ. রহমান হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হলটির সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস)-এর জন্য ‘সিঙ্গেল রুম’ বরাদ্দের উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে হলের প্রভোস্ট ও ভিপি উভয়েই বিষয়টি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে দাবি করেছেন।

অভিযোগের সূত্রপাত

রুম ৩১৮-এর এক আবাসিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সূপন সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, ওই কক্ষটি হলের ভিপি ও জিএস-এর জন্য নির্ধারিত।

আবাসিক শিক্ষার্থী মো. রেদোয়ান বলেন, “প্রভোস্ট স্যার আমাদের ডেকে জানতে চেয়েছিলেন ৩১৮ নম্বর কক্ষে কয়জন থাকি। আমরা বলি, ছয়জন। তখন তিনি বলেন, একটি কক্ষে ছয়জন থাকা সম্ভব নয় এবং আমাদের মধ্যে কেউ ‘অবৈধভাবে’ থাকতে পারে। আমরা জানাই, সবার নামই ডাটাবেসে রয়েছে। তখন তিনি বলেন, ৩১৮ নাকি ঐতিহ্যগতভাবে ভিপি-জিএসের কক্ষ।”

পুরনো রীতির প্রশ্ন

রেদোয়ান প্রশ্ন তোলেন, “গত ৩০ বছরে এমন কোনো নজির নেই। ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনের পরও ওই রুমে থাকতেন তৎকালীন ডাকসু এজিএস বিএসএলের সাদ্দাম, কোনো ভিপি বা জিএস নয়।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, হল সংসদের কিছু সদস্য প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন যাতে ভিপি ও জিএসের জন্য একক কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ভিপির ব্যাখ্যা: ‘ভুল বোঝাবুঝি মাত্র’

অন্যদিকে এ.এফ. রহমান হলের ভিপি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, “বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি। বর্তমানে আমরা আটজন মিলে একটি রুমে থাকি। সবাই ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ থেকে আসায় পড়াশোনার সময়সূচি মেলাতে সমস্যা হয়। আমি শুনেছি, হলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেছিলেন—৩১৮ ও ৪০৯ নম্বর ছোট দুটি কক্ষ মূলত ভিপি ও জিএসের জন্যই নকশা করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রভোস্টকে জানিয়েছিলাম, যদি বর্তমান আবাসিকরা সম্মত হন, তবে আমরা ওই কক্ষে দুইজন করে থাকতে পারি। আমরা কখনোই একক কক্ষ দাবি করিনি। তা হলে নির্বাচনের পরই দাবি করতাম। সবকিছুই ভুল বোঝাবুঝি।”

প্রভোস্টের প্রতিক্রিয়া

প্রভোস্ট অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল হক সূপন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “৩১৮ নম্বর কক্ষে চারজন থাকার কথা, কিন্তু সেখানে ছয়জন থাকে। আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম অতিরিক্ত কেউ কি অনুমতি ছাড়া থাকছে কিনা। হয়তো আমার কথাটি ভুলভাবে বোঝা হয়েছে।”

কোনো চাপ ছিল না: প্রভোস্ট

তিনি আরও বলেন, “ভিপি বা জিএসের পক্ষ থেকে কোনো চাপ আসেনি। তারা শুধু জানিয়েছিলেন যে, তাদের শেয়ার করা রুমে আসা-যাওয়ার কারণে ভিড় হয় এবং পড়াশোনায় সমস্যা হয়। তাই তারা একটি নিরিবিলি কক্ষ চেয়েছিল। আমি ৩১৮ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, তারা চাইলে রুম পরিবর্তনের আবেদন করতে পারে।”

প্রভোস্ট আরও যোগ করেন, “হল প্রশাসনের কোনো ক্ষমতা নেই কাউকে জোর করে রুম ছাড়াতে। আমি শুধু বলেছি, চাইলে আবেদন করা যেতে পারে, কিন্তু কাউকে স্থানচ্যুত করার কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।”

#DU #DhakaUniversity #AFRahmanHall #StudentPolitics #CampusNews #সারাক্ষণরিপোর্ট