০৬:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে: নতুন করে আরও ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১২০০ রোগী ঘোড়া-থিমের ফুকুবুকুরো: জাপানে ২০২৬ নববর্ষে পণ্য নয়, অভিজ্ঞতাই মূল টান ডকুমেন্টারি আবার আলোয় আনতে নিউইয়র্কে ভ্যারাইটির ‘ডক ড্রিমস লাইভ’ আমাজনের বেলেং-এ শুরু হলো কপ৩০, যুক্তরাষ্ট্র নেই আলোচনার টেবিলে সপ্তাহের শুরুতেই শেয়ারবাজারে ধস: ডিএসই সূচক ৬৮ পয়েন্ট ও সিএসই ৩৫ পয়েন্ট কমেছে ২০২৫ সালের গিফট গাইডে এআই ও ওয়্যারেবলকে শীর্ষে তুলল এনগ্যাজেট তাইওয়ান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যে চীনা কূটনীতিককে ডেকে পাঠাল টোকিও ব্রিটেনকে বিনিয়োগকারীদের বার্তা: একটু আশাবাদী হোন ভারতের অদ্ভুত স্থিতিশীলতা: অস্থির প্রতিবেশে শান্ত শক্তি 

মুন্সিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, আহত ২

সহিংসতায় ফের রক্তাক্ত মোল্লাকান্দি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এর মাত্র আট দিন আগে একই এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরেক কর্মী নিহত হয়েছিলেন।

নিহত ও আহতদের পরিচয়

নিহত আরিফ মির (৩৫) মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরদুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আহতদের মধ্যে আরিফের চাচাতো ভাই ইমরান গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত ব্যক্তি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দীর্ঘদিনের বিরোধের জের

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি আওলাদ হোসেনের অনুসারী আরিফ মির ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতীক মালিক ও বর্তমান ইউনিয়ন সভাপতি ওহিদ মোল্লার অনুসারী শাহ কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।

এর আগে ২ নভেম্বর একই দুই পক্ষের সংঘর্ষে কামালপন্থী কর্মী তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনার পর কামালপন্থীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে তারা এলাকায় ফিরে আসার চেষ্টা করলে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষ ও উদ্ধার অভিযান

সকাল ৬টার দিকে গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ মিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল ও পুলিশের বক্তব্য

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, আরিফকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং এক আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ

২ নভেম্বরের তুহিন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবারের এ সংঘর্ষে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

#মুন্সিগঞ্জ #বিএনপি #সংঘর্ষ #রাজনীতি #গুলিবর্ষণ #বাংলাদেশ #মোল্লাকান্দি

জনপ্রিয় সংবাদ

গোপালগঞ্জ সংঘর্ষে এনসিপি ও আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই দায়ী- তদন্ত কমিটি

মুন্সিগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত ১, আহত ২

০১:২০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

সহিংসতায় ফের রক্তাক্ত মোল্লাকান্দি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপির দুই প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর ২০২৫) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এর মাত্র আট দিন আগে একই এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরেক কর্মী নিহত হয়েছিলেন।

নিহত ও আহতদের পরিচয়

নিহত আরিফ মির (৩৫) মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরদুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আহতদের মধ্যে আরিফের চাচাতো ভাই ইমরান গুলিবিদ্ধ হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত ব্যক্তি মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

দীর্ঘদিনের বিরোধের জের

স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সাবেক ইউনিয়ন বিএনপি সহসভাপতি আওলাদ হোসেনের অনুসারী আরিফ মির ও জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতীক মালিক ও বর্তমান ইউনিয়ন সভাপতি ওহিদ মোল্লার অনুসারী শাহ কামালের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।

এর আগে ২ নভেম্বর একই দুই পক্ষের সংঘর্ষে কামালপন্থী কর্মী তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই ঘটনার পর কামালপন্থীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে তারা এলাকায় ফিরে আসার চেষ্টা করলে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে।

সংঘর্ষ ও উদ্ধার অভিযান

সকাল ৬টার দিকে গুলির শব্দে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফ মিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল ও পুলিশের বক্তব্য

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল আমিন জানান, আরিফকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং এক আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ

২ নভেম্বরের তুহিন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সোমবারের এ সংঘর্ষে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

#মুন্সিগঞ্জ #বিএনপি #সংঘর্ষ #রাজনীতি #গুলিবর্ষণ #বাংলাদেশ #মোল্লাকান্দি