নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। তাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) একপ্রকার ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছে।
কুমিল্লায় কর্মশালায় কমিশনারের ঘোষণা
সোমবার কুমিল্লার বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্টে (বার্ড) “নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান নির্ধারণ” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ভয়ের কিছু নেই—সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দেশের ১৮ কোটি মানুষ একটি ভালো নির্বাচনের প্রত্যাশা করে। অতীতে আমরা বহু লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। এবার আমাদের সেই কলঙ্ক মোচন করতে হবে এবং একটি গ্রহণযোগ্য ও সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে হবে।”
‘নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি অমূলক’
নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে বিভিন্ন জল্পনার জবাবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “এখন নির্বাচনের মাত্র ৮০ থেকে ৯০ দিন বাকি। কেউ যদি মনে করে নির্বাচন হবে না, তাহলে তা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সময়মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ।”

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নিরপেক্ষতার আহ্বান
নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “জনগণের আস্থা অর্জন করাই আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। তাই নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন—জাতি আপনাদের পাশে আছে।”
উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্য
কর্মশালায় ইসি সচিবালয়ের সিবিটিইপি প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হাসান, যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়েসার এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, ভোটকেন্দ্রই গণতন্ত্রের প্রতিচ্ছবি। তাই প্রতিটি কর্মকর্তা যেন দায়িত্বশীলভাবে কাজ করেন, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
মাঠপর্যায়ের আলোচনা ও করণীয়
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মনে করেন, প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু ভোট আয়োজন সম্ভব।
#নির্বাচন #ইসিঅনোয়ারুলইসলাম #বাংলাদেশ #কুমিল্লা
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















