১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৯)

  • Sarakhon Report
  • ১১:০০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • 21

শ্রী নিখিলনাথ রায়

 

এই অভ্যর্থনায় প্রার ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হওয়ার কথা শুনা যায় এবং কেবল জগৎশেঠের সমাদরের জন্ত ১৭,৩৭৪, আর্কট মুদ্রা ব্যয় করা হইয়াছিল’ জগৎশেঠের সবিশেষ সাহায্যে মীরজাফর বাঙ্গলার মসনদে উপবিষ্ট হইয়াছিলেন। তিনি ইংরেজদের অর্থপিপাসা মিটাইবার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হন; তজ্জন্য শেঠদিগের নিকট হইতে তাঁহাকে প্রতিনিয়ত ঋণ করিতে হইত।

অর্থের জন্য অবিরত শেঠদিগকে পীড়াপীড়ি করায়, ক্রমে নবাবের সহিত তাঁহাদের মনোমালিন্য উপস্থিত হয়। এই সময়ে শাহজাদা সাহ আলম বাঙ্গলা রাজ্য অধিকারের জন্য বিহারে উপ- স্থিত হন। শাহজাদার বিহারে অবস্থিতিকালে জগৎশেঠ মহাতপচাঁদ ও মহারাজ স্বরূপচার ভ্রাতৃদ্বয় আপনাদিগের তীর্থস্থান পরেশনাথে যাইতে- ছিলেন। তাঁহাদের সহিত তাঁহাদেরই বৃত্তিভোগী দুই সহস্র সৈন্য গমন করিতেছিল।

কিয়দ্দূর অগ্রসর হইতে না হইতে নবাব তাঁহাদের গমনে বাধা প্রদান করেন। তৎকালে এক প্রবাদ রাষ্ট্র হয় যে, জগৎশেঠেরা নবাবের বিরুদ্ধে শাহজাদার সহিত যোগদান করিতেছেন। নবাব এই প্রবাদে বিশ্বাস করিয়া, তাঁহাদিগকে ফিরাইয়া আনিতে চেষ্ট। পান।।

শেঠেরা নবাবের কথায় কর্ণপাত না করিয়া, সেই দুই সহস্র সৈন্যকে বশী- ভূত করিয়া ফেলেন এবং তাহাদিগকে যথেষ্ট অর্থ প্রদান করিয়া তাহা– দিগকে সঙ্গে লইয়া তীর্থাভিমুখে অগ্রসর হন। নবাব আপনার ভবিষ্যৎ অমঙ্গল ভাবিয়া তাঁহাদিগকে পুনঃপ্রতিনিবৃত্ত বা তাঁহাদিগের গদী লুণ্ঠন করিতে সাহসী হন নাই।। ইহার পরে আবার শেঠদিগের সহিত নবাক? জাফর আলি খাঁর সৌহাদ্দ স্থাপিত হয়।

মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৯)

১১:০০:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

শ্রী নিখিলনাথ রায়

 

এই অভ্যর্থনায় প্রার ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হওয়ার কথা শুনা যায় এবং কেবল জগৎশেঠের সমাদরের জন্ত ১৭,৩৭৪, আর্কট মুদ্রা ব্যয় করা হইয়াছিল’ জগৎশেঠের সবিশেষ সাহায্যে মীরজাফর বাঙ্গলার মসনদে উপবিষ্ট হইয়াছিলেন। তিনি ইংরেজদের অর্থপিপাসা মিটাইবার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হন; তজ্জন্য শেঠদিগের নিকট হইতে তাঁহাকে প্রতিনিয়ত ঋণ করিতে হইত।

অর্থের জন্য অবিরত শেঠদিগকে পীড়াপীড়ি করায়, ক্রমে নবাবের সহিত তাঁহাদের মনোমালিন্য উপস্থিত হয়। এই সময়ে শাহজাদা সাহ আলম বাঙ্গলা রাজ্য অধিকারের জন্য বিহারে উপ- স্থিত হন। শাহজাদার বিহারে অবস্থিতিকালে জগৎশেঠ মহাতপচাঁদ ও মহারাজ স্বরূপচার ভ্রাতৃদ্বয় আপনাদিগের তীর্থস্থান পরেশনাথে যাইতে- ছিলেন। তাঁহাদের সহিত তাঁহাদেরই বৃত্তিভোগী দুই সহস্র সৈন্য গমন করিতেছিল।

কিয়দ্দূর অগ্রসর হইতে না হইতে নবাব তাঁহাদের গমনে বাধা প্রদান করেন। তৎকালে এক প্রবাদ রাষ্ট্র হয় যে, জগৎশেঠেরা নবাবের বিরুদ্ধে শাহজাদার সহিত যোগদান করিতেছেন। নবাব এই প্রবাদে বিশ্বাস করিয়া, তাঁহাদিগকে ফিরাইয়া আনিতে চেষ্ট। পান।।

শেঠেরা নবাবের কথায় কর্ণপাত না করিয়া, সেই দুই সহস্র সৈন্যকে বশী- ভূত করিয়া ফেলেন এবং তাহাদিগকে যথেষ্ট অর্থ প্রদান করিয়া তাহা– দিগকে সঙ্গে লইয়া তীর্থাভিমুখে অগ্রসর হন। নবাব আপনার ভবিষ্যৎ অমঙ্গল ভাবিয়া তাঁহাদিগকে পুনঃপ্রতিনিবৃত্ত বা তাঁহাদিগের গদী লুণ্ঠন করিতে সাহসী হন নাই।। ইহার পরে আবার শেঠদিগের সহিত নবাক? জাফর আলি খাঁর সৌহাদ্দ স্থাপিত হয়।