১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৩) মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ ১,০০০ বছর পুরনো পবিত্র কুরআনের দুর্লভ অনুলিপি পিনাট বাটারের তুলনায় আরও পুষ্টিকর ও বহুমুখী বাদাম বাটার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২২) গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত

মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে

  • টিম ডেইস
  • ০৮:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • 8

টেকসইতা ও উন্নয়নের মোড়ে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া এখন এক কঠিন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেশটি হয় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অবিচল থাকবে, নয়তো ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতের বৃদ্ধির জন্য সেই লক্ষ্যের সঙ্গে আপস করবে।

এনার্জি ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে মালয়েশিয়ার ডেটা সেন্টার বাজার ২.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে—যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি।

এমবার নামের আরেকটি গবেষণা জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে ৮.৫ টেরাওয়াট আওয়ার (টিডব্লিউএইচ) থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের বিদ্যুৎ চাহিদা সাত গুণ বেড়ে ৬৮ টিডব্লিউএইচ হতে পারে। এটি মালয়েশিয়ার বর্তমান মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ—যার পরিমাণ সিঙ্গাপুরের ২০২৩ সালের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমান।

এআই নয়, সমস্যার মূল জ্বালানি সরবরাহ

এআই উন্নয়ন নিজেই সমস্যা নয়। আসলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় মালয়েশিয়া এআই খাতে এগিয়ে। তবে এই বিশাল শক্তি চাহিদা কীভাবে পূরণ করা হবে—সেটিই বড় প্রশ্ন।

পরিবেশগত কারণে কয়লা ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত বুদ্ধিদীপ্ত হলেও, বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরতা নতুন সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।

এশিয়া ন্যাচারাল গ্যাস অ্যান্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালেও মালয়েশিয়ার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন আসে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আসে ৩৬ শতাংশ, আর জলবিদ্যুৎ মাত্র ১৭ শতাংশ।

দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধের পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু তাতে এখনও প্রায় ২৫ বছর বাকি। এই দীর্ঘ সময় জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা টেকসইতার লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Malaysia's AI boom risks locking country into a fossil-fuel future - Nikkei  Asia

সমাধান হিসেবে গ্যাস, কিন্তু জটিলতা আরও বাড়ছে

রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কোম্পানি তেনাগা ন্যাশনাল বেরহাদ্‌ (টিএনবি) ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ গিগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এটি বিদ্যমান গ্যাস সক্ষমতার তুলনায় ৪০ থেকে ৫৪ শতাংশ বেশি।

টিএনবির প্রধান নির্বাহী মেগাত জালালুদ্দিন বলেছেন, গ্যাসই কয়লার “পরবর্তী সেরা বিকল্প”। কিন্তু দেশীয় চাহিদা বাড়লে মালয়েশিয়াকে হয়তো ৪–৫ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হতে পারে, যা বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ও বাণিজ্য ঘাটতিতে চাপ ফেলবে।

গ্যাসের পরিবেশগত ফাঁদ

গ্যাসকে তুলনামূলকভাবে ‘পরিষ্কার জ্বালানি’ বলা হলেও, এটি আসলে জলবায়ু সংকটের আরেক রূপ। কয়লার তুলনায় গ্যাস থেকে নির্গমন কম হলেও, গ্যাস আহরণের সময় মিথেন গ্যাসের লিকেজ বড় ক্ষতির কারণ।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুযায়ী, মিথেন কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় ৮৪ গুণ বেশি তাপ ধরে রাখতে সক্ষম এবং এটি ২০ বছরের মধ্যে অনেক বেশি ক্ষতিকর। ফলে গ্যাসের উপর নির্ভরতা পরিবেশগত দিক থেকে টেকসই নয়।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পিছিয়ে পড়া

জাতীয় জ্বালানি রূপান্তর রোডম্যাপ অনুযায়ী, মালয়েশিয়া ২০২৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৩১ শতাংশ এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছিল। তবে বাস্তবে অগ্রগতি অনেক ধীর।

সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যে বহু উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি ও প্রশাসনিক জটিলতা উন্নয়নের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।

Malaysia's AI boom risks locking country into a fossil-fuel future - Nikkei  Asia

সতর্কতা: ডিজিটাল উন্নয়ন যেন জীবাশ্ম ফাঁদ না হয়

এমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করা হয় সৌর ও বায়ু খাতে, তাহলে এআই ও ডেটা সেন্টার খাত মালয়েশিয়াকে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল করে ফেলবে।

এনার্জি ওয়াচও সতর্ক করেছে—যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারণ না হয়, তাহলে ডিজিটাল খাতের এই তীব্র বিদ্যুৎ চাহিদা মালয়েশিয়াকে এক জীবাশ্ম ফাঁদে আটকে ফেলবে।

কার্বন ক্যাপচার: ভ্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রযুক্তি

দেশটি এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ (সিসিএস) প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার মতে, এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, জটিল, এবং কার্যকারিতায় সীমিত—এ পর্যন্ত এটি বিশ্বব্যাপী মোট নির্গমনের মাত্র ০.১ শতাংশ আটকাতে পেরেছে।

সামনে পথ: টেকসই জ্বালানির দ্রুত রূপান্তর

মালয়েশিয়ার ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের জ্বালানি সিদ্ধান্তের উপর। গ্যাস ও সিসিএসের মতো অকার্যকর সমাধানে নির্ভর না করে, সরকারকে দ্রুত বিদ্যুৎ গ্রিড সংস্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ এবং বেসরকারি সৌর উদ্যোগে প্রণোদনা বাড়াতে হবে।

এআই হয়তো আগামী শিল্প বিপ্লবের চালিকাশক্তি, কিন্তু পুরোনো জ্বালানিতে সেই বিপ্লব চালাতে গেলে মালয়েশিয়াকে তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ও প্রতিযোগিতা উভয়ই হারাতে হবে।

লেখক টিম ডেইস একজন সাংবাদিক ও বিশ্লেষক, যিনি গত ১৫ বছর ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্বালানি বাজার, টেকসই উন্নয়ন ও ভূরাজনীতি নিয়ে কাজ করছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা

মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে

০৮:০০:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

টেকসইতা ও উন্নয়নের মোড়ে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়া এখন এক কঠিন মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। দেশটি হয় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অবিচল থাকবে, নয়তো ডেটা সেন্টার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) খাতের বৃদ্ধির জন্য সেই লক্ষ্যের সঙ্গে আপস করবে।

এনার্জি ওয়াচের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে মালয়েশিয়ার ডেটা সেন্টার বাজার ২.২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে—যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭২ শতাংশ বৃদ্ধি।

এমবার নামের আরেকটি গবেষণা জানাচ্ছে, ২০২৪ সালে ৮.৫ টেরাওয়াট আওয়ার (টিডব্লিউএইচ) থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতের বিদ্যুৎ চাহিদা সাত গুণ বেড়ে ৬৮ টিডব্লিউএইচ হতে পারে। এটি মালয়েশিয়ার বর্তমান মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় ৩০ শতাংশ—যার পরিমাণ সিঙ্গাপুরের ২০২৩ সালের মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারের সমান।

এআই নয়, সমস্যার মূল জ্বালানি সরবরাহ

এআই উন্নয়ন নিজেই সমস্যা নয়। আসলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় মালয়েশিয়া এআই খাতে এগিয়ে। তবে এই বিশাল শক্তি চাহিদা কীভাবে পূরণ করা হবে—সেটিই বড় প্রশ্ন।

পরিবেশগত কারণে কয়লা ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত বুদ্ধিদীপ্ত হলেও, বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর নির্ভরতা নতুন সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।

এশিয়া ন্যাচারাল গ্যাস অ্যান্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালেও মালয়েশিয়ার প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন আসে কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আসে ৩৬ শতাংশ, আর জলবিদ্যুৎ মাত্র ১৭ শতাংশ।

দেশটি ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধের পরিকল্পনা করেছে, কিন্তু তাতে এখনও প্রায় ২৫ বছর বাকি। এই দীর্ঘ সময় জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা টেকসইতার লক্ষ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

Malaysia's AI boom risks locking country into a fossil-fuel future - Nikkei  Asia

সমাধান হিসেবে গ্যাস, কিন্তু জটিলতা আরও বাড়ছে

রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ কোম্পানি তেনাগা ন্যাশনাল বেরহাদ্‌ (টিএনবি) ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ গিগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এটি বিদ্যমান গ্যাস সক্ষমতার তুলনায় ৪০ থেকে ৫৪ শতাংশ বেশি।

টিএনবির প্রধান নির্বাহী মেগাত জালালুদ্দিন বলেছেন, গ্যাসই কয়লার “পরবর্তী সেরা বিকল্প”। কিন্তু দেশীয় চাহিদা বাড়লে মালয়েশিয়াকে হয়তো ৪–৫ বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করতে হতে পারে, যা বৈদেশিক মুদ্রার ভারসাম্য ও বাণিজ্য ঘাটতিতে চাপ ফেলবে।

গ্যাসের পরিবেশগত ফাঁদ

গ্যাসকে তুলনামূলকভাবে ‘পরিষ্কার জ্বালানি’ বলা হলেও, এটি আসলে জলবায়ু সংকটের আরেক রূপ। কয়লার তুলনায় গ্যাস থেকে নির্গমন কম হলেও, গ্যাস আহরণের সময় মিথেন গ্যাসের লিকেজ বড় ক্ষতির কারণ।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি অনুযায়ী, মিথেন কার্বন ডাই-অক্সাইডের তুলনায় ৮৪ গুণ বেশি তাপ ধরে রাখতে সক্ষম এবং এটি ২০ বছরের মধ্যে অনেক বেশি ক্ষতিকর। ফলে গ্যাসের উপর নির্ভরতা পরিবেশগত দিক থেকে টেকসই নয়।

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে পিছিয়ে পড়া

জাতীয় জ্বালানি রূপান্তর রোডম্যাপ অনুযায়ী, মালয়েশিয়া ২০২৫ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৩১ শতাংশ এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছিল। তবে বাস্তবে অগ্রগতি অনেক ধীর।

সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো নির্গমন অর্জনের লক্ষ্যে বহু উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতি ও প্রশাসনিক জটিলতা উন্নয়নের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।

Malaysia's AI boom risks locking country into a fossil-fuel future - Nikkei  Asia

সতর্কতা: ডিজিটাল উন্নয়ন যেন জীবাশ্ম ফাঁদ না হয়

এমবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ থেকে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করা হয় সৌর ও বায়ু খাতে, তাহলে এআই ও ডেটা সেন্টার খাত মালয়েশিয়াকে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীল করে ফেলবে।

এনার্জি ওয়াচও সতর্ক করেছে—যদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি অবকাঠামো দ্রুত সম্প্রসারণ না হয়, তাহলে ডিজিটাল খাতের এই তীব্র বিদ্যুৎ চাহিদা মালয়েশিয়াকে এক জীবাশ্ম ফাঁদে আটকে ফেলবে।

কার্বন ক্যাপচার: ভ্রান্ত প্রতিশ্রুতির প্রযুক্তি

দেশটি এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ (সিসিএস) প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা করছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার মতে, এই প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যয়বহুল, জটিল, এবং কার্যকারিতায় সীমিত—এ পর্যন্ত এটি বিশ্বব্যাপী মোট নির্গমনের মাত্র ০.১ শতাংশ আটকাতে পেরেছে।

সামনে পথ: টেকসই জ্বালানির দ্রুত রূপান্তর

মালয়েশিয়ার ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আজকের জ্বালানি সিদ্ধান্তের উপর। গ্যাস ও সিসিএসের মতো অকার্যকর সমাধানে নির্ভর না করে, সরকারকে দ্রুত বিদ্যুৎ গ্রিড সংস্কার, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ এবং বেসরকারি সৌর উদ্যোগে প্রণোদনা বাড়াতে হবে।

এআই হয়তো আগামী শিল্প বিপ্লবের চালিকাশক্তি, কিন্তু পুরোনো জ্বালানিতে সেই বিপ্লব চালাতে গেলে মালয়েশিয়াকে তার জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ও প্রতিযোগিতা উভয়ই হারাতে হবে।

লেখক টিম ডেইস একজন সাংবাদিক ও বিশ্লেষক, যিনি গত ১৫ বছর ধরে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জ্বালানি বাজার, টেকসই উন্নয়ন ও ভূরাজনীতি নিয়ে কাজ করছেন।