০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সিলেটে ট্রেন লাইনচ্যুতের পরিকল্পনা: ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাসহ ৫ জন আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ স্থাপনায় তালা: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচির আগাম প্রস্তুতি রাশিয়ানদের আগমন? এটা নির্ভর করছে ক্রীড়ার উপর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের পর এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শাখায় পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ গেম ডিজাইনার লেন্টে কুয়েনেন: নৌকায় বসে সৃজনশীল স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়ার গল্প ডিমেনশিয়া যত্নের সামাজিক পুনর্বিন্যাস বিশ্বযুদ্ধের বীরগাথা: কৃতজ্ঞতা ও সময়ের প্রতিফলন কেনি চেসনি: সংগ্রাম, সাফল্য এবং সাধারণ জীবনের প্রতি প্রেম সৃষ্টির পথে শান্তির সন্ধান দিল্লি বিস্ফোরণ: প্রধানমন্ত্রী মোদির কঠোর বার্তা

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: অর্ডার কমছে, কারখানা বন্ধ, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টানা তিন মাস ধরে রপ্তানি পতনের মুখে পড়েছে। অর্ডার কমে যাওয়া, শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বড় ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ দিতে দ্বিধায় আছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতি ও বিদ্যুৎসংকট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।


দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে টানা তিন মাস ধরে সংকট চলছে। অর্ডার কমেছে, বহু কারখানা বন্ধ হয়েছে, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শুল্ক ইস্যু মিলিয়ে বড় ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ দিতে অনাগ্রহী। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাবই এখন খাতটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।


অর্ডার কমার কারণ

ব্যবসায়ীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানিতে বড় ধাক্কা লেগেছে।

  • ক্রেতারা নতুন অর্ডার দিচ্ছেন না।
  • চীন ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইইউতে কম দামে রপ্তানি করছে।
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রেতাদের আস্থার সংকটের কারণে বাংলাদেশকে “ঝুঁকিপূর্ণ বাজার” হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এক শীর্ষ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের অর্ডার বাতিল করেছে, যা ব্যবসায়ীদের কাছে “আতঙ্কজনক সংকেত” হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ইউডি (Utilization Declaration) তথ্য: অর্ডার হ্রাসের প্রমাণ

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র ইউডি তথ্য অনুযায়ী—

  • অক্টোবরে রপ্তানি আদেশ: ২২০ কোটি ডলার
  • সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আদেশ: ২৪৫ কোটি ডলার
    ➡ অর্থাৎ এক মাসে অর্ডার কমেছে ৩৯ কোটি ডলার।

আঞ্চলিক চিত্র:

  • ঢাকা অঞ্চল: রপ্তানি আদেশ ১৫% কমে ২১০ কোটি ডলারে নেমেছে।
  • চট্টগ্রাম অঞ্চল: আদেশ কমেছে ২৬%, অর্থমূল্য ১০.৩৮ কোটি ডলার।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক নীতির প্রভাব এখনো কাটেনি। অক্টোবরে রপ্তানির এতটা পতন অবশ্যই উদ্বেগজনক। এখনই নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”


৩৫৩টি কারখানা বন্ধ, কর্মহীন ১ লক্ষাধিক শ্রমিক

বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, গত ১৪ মাসে সারাদেশে ৩৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

  • সাভার: ২১৪টি (৩১,০০০ শ্রমিক বেকার)
  • গাজীপুর: ৭২টি (৭৩,০০০ শ্রমিক বেকার, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৩টি স্থায়ীভাবে বন্ধ)
  • চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী: বাকি কারখানাগুলো বন্ধ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডারিটির প্রতিষ্ঠাতা কল্পনা আখতার বলেন,
“শ্রমিকরা বৈষম্য কমাতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তারাই কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছেন।”


রপ্তানি তথ্য: তিন মাস ধরে ধারাবাহিক পতন

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যে দেখা যাচ্ছে—

  • অক্টোবর: ৩০২ কোটি ডলার (কমেছে ৮.৩৯%)
  • সেপ্টেম্বর: ২৮৪ কোটি ডলার (কমেছে ৫.৬৪%)
  • আগস্ট: ৩১৬ কোটি ডলার (কমেছে ৪.৭৫%)

পোশাক খাত এককভাবে দেশের মোট রপ্তানির ৮০% জুড়ে রয়েছে।

পণ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ:

  • ওভেন পোশাক: অক্টোবরে রপ্তানি কমেছে ৫.৩৩%
  • নিট পোশাক: কমেছে ১০.৭৬%

অর্থাৎ, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর উভয় মাসেই ওভেন ও নিট উভয় ধরনের পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য হারে পতন ঘটেছে।


বিজিএমইএ’র উদ্বেগ

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“গত এক বছরে ২৫৮টি কারখানা উৎপাদন বন্ধ করেছে, যার ফলে এক লাখের বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। বিদ্যুৎসংকট, মজুরি সমন্বয়, আন্তর্জাতিক বাজারের অনিশ্চয়তা এবং ব্যয়বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।”

তবে একই সময়ে নতুন ১৬৬টি কারখানা চালু হয়েছে, যা আংশিক ভারসাম্য আনলেও রপ্তানি সক্ষমতায় স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,
“যদি কারখানা বন্ধের প্রবণতা এভাবে চলতে থাকে, ক্রেতারা বিকল্প দেশ যেমন—ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে চলে যেতে পারেন।”


বৈশ্বিক রপ্তানি প্রেক্ষাপট

অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী—

  • ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইইউর ২৭ দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৮%।
  • একই সময়ে চীনের রপ্তানি কমেছে ৪%।

তবে ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য বলছে—

  • ২০২৪ সালের জানুয়ারি–আগস্ট: ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৩%, পরিমাণ ১৩.৪৮ বিলিয়ন ইউরো।
  • একই সময়ে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ১৭%, পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ইউরো।


বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। ভারতসহ অনেক দেশের সঙ্গে এখনো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্থিতিশীলতা এখনো আসেনি। বাড়তি শুল্কের কারণে পোশাকের দামও সেখানে বেড়ে গেছে।”


তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হলেও টানা তিন মাসের রপ্তানি পতন শিল্পটির টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শুল্ক নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্যুৎসংকট মোকাবিলা না করলে রপ্তানি হ্রাসের এই ধারা আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


#তৈরিপোশাক #রপ্তানি #বিজিএমইএ #বাংলাদেশঅর্থনীতি #শ্রমিকসংকট #সারাক্ষণরিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটে ট্রেন লাইনচ্যুতের পরিকল্পনা: ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতাসহ ৫ জন আটক

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: অর্ডার কমছে, কারখানা বন্ধ, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

১১:৩৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প টানা তিন মাস ধরে রপ্তানি পতনের মুখে পড়েছে। অর্ডার কমে যাওয়া, শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বড় ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ দিতে দ্বিধায় আছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক নীতি ও বিদ্যুৎসংকট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।


দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে টানা তিন মাস ধরে সংকট চলছে। অর্ডার কমেছে, বহু কারখানা বন্ধ হয়েছে, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শুল্ক ইস্যু মিলিয়ে বড় ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ দিতে অনাগ্রহী। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের প্রভাবই এখন খাতটির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে।


অর্ডার কমার কারণ

ব্যবসায়ীদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানিতে বড় ধাক্কা লেগেছে।

  • ক্রেতারা নতুন অর্ডার দিচ্ছেন না।
  • চীন ও অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইইউতে কম দামে রপ্তানি করছে।
  • রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ক্রেতাদের আস্থার সংকটের কারণে বাংলাদেশকে “ঝুঁকিপূর্ণ বাজার” হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এক শীর্ষ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের অর্ডার বাতিল করেছে, যা ব্যবসায়ীদের কাছে “আতঙ্কজনক সংকেত” হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ইউডি (Utilization Declaration) তথ্য: অর্ডার হ্রাসের প্রমাণ

বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র ইউডি তথ্য অনুযায়ী—

  • অক্টোবরে রপ্তানি আদেশ: ২২০ কোটি ডলার
  • সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আদেশ: ২৪৫ কোটি ডলার
    ➡ অর্থাৎ এক মাসে অর্ডার কমেছে ৩৯ কোটি ডলার।

আঞ্চলিক চিত্র:

  • ঢাকা অঞ্চল: রপ্তানি আদেশ ১৫% কমে ২১০ কোটি ডলারে নেমেছে।
  • চট্টগ্রাম অঞ্চল: আদেশ কমেছে ২৬%, অর্থমূল্য ১০.৩৮ কোটি ডলার।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“ট্রাম্প প্রশাসনের অতিরিক্ত শুল্ক নীতির প্রভাব এখনো কাটেনি। অক্টোবরে রপ্তানির এতটা পতন অবশ্যই উদ্বেগজনক। এখনই নীতিনির্ধারকদের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”


৩৫৩টি কারখানা বন্ধ, কর্মহীন ১ লক্ষাধিক শ্রমিক

বিজিএমইএ’র তথ্য বলছে, গত ১৪ মাসে সারাদেশে ৩৫৩টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

  • সাভার: ২১৪টি (৩১,০০০ শ্রমিক বেকার)
  • গাজীপুর: ৭২টি (৭৩,০০০ শ্রমিক বেকার, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৩টি স্থায়ীভাবে বন্ধ)
  • চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী: বাকি কারখানাগুলো বন্ধ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডারিটির প্রতিষ্ঠাতা কল্পনা আখতার বলেন,
“শ্রমিকরা বৈষম্য কমাতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু এখন তারাই কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছেন।”


রপ্তানি তথ্য: তিন মাস ধরে ধারাবাহিক পতন

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্যে দেখা যাচ্ছে—

  • অক্টোবর: ৩০২ কোটি ডলার (কমেছে ৮.৩৯%)
  • সেপ্টেম্বর: ২৮৪ কোটি ডলার (কমেছে ৫.৬৪%)
  • আগস্ট: ৩১৬ কোটি ডলার (কমেছে ৪.৭৫%)

পোশাক খাত এককভাবে দেশের মোট রপ্তানির ৮০% জুড়ে রয়েছে।

পণ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ:

  • ওভেন পোশাক: অক্টোবরে রপ্তানি কমেছে ৫.৩৩%
  • নিট পোশাক: কমেছে ১০.৭৬%

অর্থাৎ, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর উভয় মাসেই ওভেন ও নিট উভয় ধরনের পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য হারে পতন ঘটেছে।


বিজিএমইএ’র উদ্বেগ

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন,
“গত এক বছরে ২৫৮টি কারখানা উৎপাদন বন্ধ করেছে, যার ফলে এক লাখের বেশি শ্রমিক কর্মহীন হয়েছেন। বিদ্যুৎসংকট, মজুরি সমন্বয়, আন্তর্জাতিক বাজারের অনিশ্চয়তা এবং ব্যয়বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।”

তবে একই সময়ে নতুন ১৬৬টি কারখানা চালু হয়েছে, যা আংশিক ভারসাম্য আনলেও রপ্তানি সক্ষমতায় স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,
“যদি কারখানা বন্ধের প্রবণতা এভাবে চলতে থাকে, ক্রেতারা বিকল্প দেশ যেমন—ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে চলে যেতে পারেন।”


বৈশ্বিক রপ্তানি প্রেক্ষাপট

অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী—

  • ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইইউর ২৭ দেশে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫৮%।
  • একই সময়ে চীনের রপ্তানি কমেছে ৪%।

তবে ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্য বলছে—

  • ২০২৪ সালের জানুয়ারি–আগস্ট: ইইউতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৩%, পরিমাণ ১৩.৪৮ বিলিয়ন ইউরো।
  • একই সময়ে চীনের রপ্তানি বেড়েছে ১৭%, পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ইউরো।


বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় পরিবর্তন এসেছে। ভারতসহ অনেক দেশের সঙ্গে এখনো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে স্থিতিশীলতা এখনো আসেনি। বাড়তি শুল্কের কারণে পোশাকের দামও সেখানে বেড়ে গেছে।”


তৈরি পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হলেও টানা তিন মাসের রপ্তানি পতন শিল্পটির টেকসই ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শুল্ক নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিদ্যুৎসংকট মোকাবিলা না করলে রপ্তানি হ্রাসের এই ধারা আরও গভীর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


#তৈরিপোশাক #রপ্তানি #বিজিএমইএ #বাংলাদেশঅর্থনীতি #শ্রমিকসংকট #সারাক্ষণরিপোর্ট