রেললাইনে নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিল পুলিশ
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে রেললাইনের স্লিপার খুলে ট্রেন লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত এক নেতাসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানা পুলিশ।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা সময়মতো অভিযান চালিয়ে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ব্যর্থ করেছি।”
আটক পাঁচজনের পরিচয়
আটকরা হলেন—
১. কাবিলুর রহমান সোহেল (২৪) — ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাটুভাঙ্গা এলাকার জিল্লুর রহমানের ছেলে।
২. মুহিবুল ইসলাম কাওসার (২৭) — কায়স্থগ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
৩. সায়মন আহমদ (২০) — পূর্ব ফরিদপুর (নয়বাজার) গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
৪. সিজল চৌধুরী (২৮) — হাটুভাঙ্গা মাদরাসা এলাকার ফরিদ চৌধুরীর ছেলে।
৫. মিনহাজ উদ্দিন মাহিন (২০) — পশ্চিম ফরিদপুর গ্রামের মাহতাব উদ্দিনের ছেলে।
নিউইয়র্ক থেকে নির্দেশের কথা স্বীকার
ওসি জানান, মঙ্গলবার সকালে সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়াবহর এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশির সময় প্রথমে কাবিলুর রহমান সোহেলকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নিউইয়র্ক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নির্দেশে ১৩ নভেম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ রেললাইনের স্লিপার খুলে ট্রেন লাইনচ্যুত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে বাকিদেরও আটক করে।
উদ্ধারকৃত সামগ্রী
পুলিশের হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে—
- কয়েকটি স্কচ টেপ,
- পলিথিনে মোড়ানো ৩৫০টি মারবেল,
- ৪টি প্লাস্টিকের বালতি,
- এবং ধানের ভূষি।
এসব সামগ্রী রেললাইন নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।
মামলা ও পরবর্তী পদক্ষেপ
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান খান বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনা ও চেষ্টার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
পরে পাঁচজনকেই আদালতে পাঠানো হয়।
#সিলেট #ফেঞ্চুগঞ্জ #ছাত্রলীগ #নাশকতা #রেললাইন_চ্যুতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















