বিদেশফেরত যাত্রীরা এখন একটির বেশি নতুন মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না এবং সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন শুল্কমুক্তভাবে আনতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ ব্যাখ্যা অনুযায়ী, অতিরিক্ত কোনো নতুন ফোন আনলে তার মূল্যের ভিত্তিতে ৫,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে।
যাত্রীদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা
হালনাগাদ নন-ট্যুরিস্ট ব্যাগেজ বিধি অনুযায়ী যাত্রীরা আনতে পারবেন—
একটি নতুন মোবাইল ফোন* শুল্ক ছাড়াই।
দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন* শুল্কমুক্তভাবে।
প্রবাসীরা, যাঁরা ছয় মাস বা তার বেশি সময় বিদেশে অবস্থান করেছেন এবং বৈধ ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) কার্ডধারী, তাঁরা বছরে **দুটি নতুন ফোন* পর্যন্ত শুল্ক ছাড়াই আনতে পারবেন।

অতিরিক্ত ফোনের জন্য শুল্ক
যে কোনো অতিরিক্ত ফোনের ক্ষেত্রে শুল্ক নির্ধারিত হবে তার মূল্যের ওপর ভিত্তি করে—
ফোনের মূল্য *৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত* হলে শুল্ক *৫,০০০ টাকা*।
ফোনের মূল্য *৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকার মধ্যে* হলে শুল্ক *১০,০০০ টাকা*।
ফোনের মূল্য *৬০,০০০ টাকার বেশি* হলে শুল্ক *২৫,০০০ টাকা*।
কেন এই নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ
এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো বিমানবন্দরে শুল্ক প্রক্রিয়া সহজ করা, যাত্রীদের জন্য বিভ্রান্তি দূর করা এবং শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধ করা। নিয়মটি স্পষ্ট করার মাধ্যমে এনবিআর আমদানি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করতে চায়।
যাত্রীদের জানা উচিত
বিদেশ থেকে ফেরার সময় যদি কেউ শুল্কমুক্ত সীমার চেয়ে বেশি ফোন আনেন, তবে তা কাস্টমস কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। এই সুবিধাটি প্রতি ক্যালেন্ডার বছরে একবার প্রযোজ্য। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে ফোনটি “নতুন” না “ব্যবহৃত” হিসেবে গণ্য হবে। বিএমইটি কার্ডধারী প্রবাসীরা শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে চাইলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখবেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















