বাংলাদেশ ব্যাংক রমজান মাসের আগে ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য আমদানির জন্য ব্যাংকগুলোকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসব পণ্য আমদানির জন্য এলসি (Letter of Credit) খোলার সময় নগদ মার্জিন বা জামানতের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে।
যেসব পণ্য অন্তর্ভুক্ত
বিশেষ এই সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে—
চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটরশুঁটি, মসলা এবং খেজুর।
নির্দেশনার সময়সীমা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধান ও নীতি বিভাগ থেকে বুধবার এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হয়। এটি দেশের সব নির্ধারিত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনাটি সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে এবং আগামী ৩১ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কেন এই উদ্যোগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রমজান মাসে এসব পণ্যের চাহিদা সাধারণত ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। তাই বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং মূল্যস্থিতি বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
নগদ মার্জিন কমানোর নির্দেশনা
নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আমদানিকারক ও ব্যাংকের পারস্পরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় নগদ মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখতে হবে।
আগের নিয়ম ও পরিবর্তন
এর আগে রমজান মৌসুমে ভোক্তা পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলায় ১০০ শতাংশ পর্যন্ত নগদ মার্জিন রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল। পরবর্তীতে সেই নিয়ম শিথিল করা হয়, যাতে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিন নির্ধারণ করা যায়। তবে সেই সুবিধার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, দেশীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে এই ১০টি পণ্যের জন্য এলসি খোলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে।
#রমজান #বাংলাদেশব্যাংক #নিত্যপণ্য #আমদানিনীতি #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















