০৪:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
এবারও থেমে গেল আসন্ন সোপ — অস্ট্রেলিয়ার COP বার্তা অনিশ্চিতে জুলাই সনদ থেকে নিজেই সরে এসেছেন প্রধান উপদেষ্টা—বললেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে মহাকাশে উড়ে গেল মারিও: ‘সুপার মারিও গ্যালাক্সি’ ছবিতে রোজালিনার ভূমিকায় ব্রি লারসন হ্যারিকেন মেলিসায় বিধ্বস্ত দ্বীপে ‘জামাইকা স্ট্রং’ কনসার্টে এগিয়ে শ্যাগি–শন পল ফসিল জ্বালানির নির্গমন আবারও বেড়েছে, COP৩০ আলোচনায় চাপ বাড়ল ব্ল্যাক ফ্রাইডে–সাইবার মানডে ধরে সুইচ বিক্রির আরেক দফা জোর দিচ্ছে নিন্টেন্ডো ৪৩ দিনের রেকর্ড শাটডাউন শেষ করতে এগোলো যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস হাজার হাজার ‘ডেথ থ্রেট’ সইতে হচ্ছে গ্লোবাল গার্লগ্রুপ ক্যাটসআইকে ভালুকের হামলা বাড়ায় ‘গভর্নমেন্ট হান্টার’সহ নতুন পরিকল্পনা জাপানে

জাপান–চীন সংলাপ জোরদার জরুরি: সুজুকি

তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে বাড়তি উত্তেজনার মধ্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত কাজুহিরো সুজুকি বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টোকিও ও বেইজিংয়ের সব পর্যায়ে কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।


জাপানের অস্ট্রেলিয়া সফররত রাষ্ট্রদূত কাজুহিরো সুজুকি বলেন, তাইওয়ানকে ঘিরে সম্ভাব্য সংকট ঠেকাতে জাপান ও চীনকে অবশ্যই ধারাবাহিক ও সঠিক যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। ক্যানবেরার ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে বক্তৃতাকালে তিনি জানান, জাপান চীনের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হলেও বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট নয়।

সুজুকি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের মতো জাপানের জন্যও তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য পরিস্থিতিতে সবাইকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টোকিও–বেইজিং সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনে পড়েছে। জাপানের অভ্যন্তরীণ মন্তব্য ও তাইপের সাবেক দূতকে সম্মাননা দেওয়ার ঘটনাকে চীন “ভুল পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে শি জিনপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির বৈঠকেও তাইওয়ান ইস্যু প্রধান আলোচ্য ছিল।

তাকাইচি জানান, তিনি শিকে বলেছেন যে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি–স্থিতিশীলতা অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয় পক্ষই সামরিক যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। তবে জাপান চীনের আগ্রাসী আচরণ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও জাপানি নাগরিকদের আটকের মতো বিষয়গুলোতে উদ্বেগ জানিয়েছে।

সুজুকি বলেন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে—তাইওয়ান, দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগর, উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বিশ্বকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রভাব বিস্তার ও অস্ত্র প্রতিযোগিতাও।

তিনি জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে “নাম ছাড়া মিত্র” বলে উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে দুই দেশের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সংকট পরিকল্পনা এবং কোয়াডের কার্যকারিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার মোহামি–শ্রেণির স্টেলথ ফ্রিগেট কেনাকে তিনি “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নতুন রেয়ার আর্থ সরবরাহ চেইন তৈরিতে জাপান–অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।


#tags: আন্তর্জাতিক_সম্পর্ক চীন_জাপান তাইওয়ান কূটনীতি নিরাপত্তা অস্ট্রেলিয়া এশিয়া_প্রশান্তমহাসাগরীয়

জনপ্রিয় সংবাদ

এবারও থেমে গেল আসন্ন সোপ — অস্ট্রেলিয়ার COP বার্তা অনিশ্চিতে

জাপান–চীন সংলাপ জোরদার জরুরি: সুজুকি

০২:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে বাড়তি উত্তেজনার মধ্যে জাপানের রাষ্ট্রদূত কাজুহিরো সুজুকি বলেছেন, ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে টোকিও ও বেইজিংয়ের সব পর্যায়ে কার্যকর যোগাযোগ বজায় রাখা এখন অত্যন্ত জরুরি।


জাপানের অস্ট্রেলিয়া সফররত রাষ্ট্রদূত কাজুহিরো সুজুকি বলেন, তাইওয়ানকে ঘিরে সম্ভাব্য সংকট ঠেকাতে জাপান ও চীনকে অবশ্যই ধারাবাহিক ও সঠিক যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে। ক্যানবেরার ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবে বক্তৃতাকালে তিনি জানান, জাপান চীনের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হলেও বেইজিংয়ের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট নয়।

সুজুকি বলেন, আন্তর্জাতিক সমাজের মতো জাপানের জন্যও তাইওয়ান প্রণালীর স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য পরিস্থিতিতে সবাইকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তার ভাষ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে টোকিও–বেইজিং সম্পর্ক আবারও টানাপোড়েনে পড়েছে। জাপানের অভ্যন্তরীণ মন্তব্য ও তাইপের সাবেক দূতকে সম্মাননা দেওয়ার ঘটনাকে চীন “ভুল পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে শি জিনপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির বৈঠকেও তাইওয়ান ইস্যু প্রধান আলোচ্য ছিল।

তাকাইচি জানান, তিনি শিকে বলেছেন যে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি–স্থিতিশীলতা অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উভয় পক্ষই সামরিক যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে। তবে জাপান চীনের আগ্রাসী আচরণ, রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ও জাপানি নাগরিকদের আটকের মতো বিষয়গুলোতে উদ্বেগ জানিয়েছে।

সুজুকি বলেন, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে—তাইওয়ান, দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগর, উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধ ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা বিশ্বকে আরও অনিশ্চিত করে তুলছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রভাব বিস্তার ও অস্ত্র প্রতিযোগিতাও।

তিনি জাপান ও অস্ট্রেলিয়াকে “নাম ছাড়া মিত্র” বলে উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে দুই দেশের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সংকট পরিকল্পনা এবং কোয়াডের কার্যকারিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার মোহামি–শ্রেণির স্টেলথ ফ্রিগেট কেনাকে তিনি “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নতুন রেয়ার আর্থ সরবরাহ চেইন তৈরিতে জাপান–অস্ট্রেলিয়ার ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন।


#tags: আন্তর্জাতিক_সম্পর্ক চীন_জাপান তাইওয়ান কূটনীতি নিরাপত্তা অস্ট্রেলিয়া এশিয়া_প্রশান্তমহাসাগরীয়