ভারতের মন্ত্রিসভা ৫.১ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে, যার মূল উদ্দেশ্য হলো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারা আরোপিত শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব গম্ভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসাগুলির সহায়তা করা।
প্রণোদনা প্যাকেজের বিবরণ
এই পরিকল্পনায় ২০০ বিলিয়ন রুপি ব্যাংক ঋণের উপর ক্রেডিট গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এছাড়াও, ছোট রপ্তানিকারকদের জন্য সস্তা বাণিজ্য অর্থায়ন, পরিবহন ব্যবস্থা এবং বাজার সহায়তার জন্য ২৫০.৬ বিলিয়ন রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সহায়তা প্রকল্পটি রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য একটি প্যাকেজের অংশ, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব প্রশমিত করতে সাহায্য করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধি
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে রপ্তানির ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে, যার মধ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, বিশেষত রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে। এর ফলে পোশাক, গহনা, চামড়ার পণ্য এবং রাসায়নিকের মতো পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলো
ভারতীয় রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, শ্রম-নিবিড় খাতগুলো যেমন বস্ত্র, গহনা এবং সামুদ্রিক খাবার, বিশেষত চিংড়ি, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব খাতগুলোর লাভের মার্জিন সাধারণত ৩-৫ শতাংশ থাকে, এবং এই শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতের তামিলনাড়ু এবং গুজরাট রাজ্যে কর্মসংস্থানের ক্ষতি হচ্ছে।

নতুন প্রণোদনার সুবিধা
এছাড়াও, নতুন পরিকল্পনায় ৫০০ মিলিয়ন রুপি পর্যন্ত ঋণের জন্য ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রদান করা হবে, যা রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগিতামূলক হতে সাহায্য করবে এবং নতুন বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এদিকে, ভারতের যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারে হ্রাস পেয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ কম।
অর্থনৈতিক সমঝোতার সম্ভাবনা
সোমবার, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সাথে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক সম্প্রসারণের একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে, যা ভারতের জন্য শুল্ক কাটছাঁটের সুযোগ এনে দিতে পারে।
#ভারত #শুল্ক বৃদ্ধি #প্রণোদনা #রপ্তানি #বাণিজ্য #ভারত-যুক্তরাষ্ট্র #গুজরাট #তামিলনাড়ু
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















