০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

গ্রে’স অ্যানাটমি’ তারকা জেমস পিকেন্স জুনিয়রের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা, স্ক্রিনিংয়ের আহ্বান

টিভি চরিত্র থেকে বাস্তব জীবনের লড়াই
জনপ্রিয় মেডিক্যাল ড্রামা ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’র দীর্ঘদিনের চরিত্র ড. রিচার্ড ওয়েবার হিসেবে পরিচিত অভিনেতা জেমস পিকেন্স জুনিয়র জানিয়েছেন, তিনি নিজেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিয়মিত পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক ধাপেই তার রোগ ধরা পড়েছে এবং চিকিৎসা চলছে। কয়েক দিন আগেই সিরিয়ালের গল্পে দেখা যায়, ড. ওয়েবার চরিত্রটিরও প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে—ফলে পর্দার গল্প ও বাস্তব জীবনের মধ্যে এক অদ্ভুত মিল তৈরি হয়। এই খবর প্রকাশের পর ভক্তদের মধ্যে আবেগী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; অনেকেই বলছেন, সিরিয়ালের অসুস্থতা–সংক্রান্ত গল্পগুলো এখন আরও বাস্তব ও কাছের মনে হচ্ছে।

৭০ বছর বয়সী পিকেন্স জানান, তার পরিবারের আরও কয়েকজন পুরুষ আত্মীয় এর আগে প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগেছেন। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই তিনি নিয়মিত টেস্ট করাচ্ছিলেন; এক পর্যায়ে রিপোর্টে সামান্য পরিবর্তন দেখে ডাক্তার সতর্ক হন এবং বিস্তারিত পরীক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন, সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই এখন তাকে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় রেখেছে। একই সঙ্গে তিনি মনে করছেন, নিজের রোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা অন্য পুরুষদের, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের, স্ক্রিনিং নিয়ে সচেতন হতে উৎসাহ দিতে পারে।

হলিউড গ্ল্যামারের আড়ালে স্বাস্থ্য বার্তা
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার খুবই সাধারণ; কিন্তু আগেভাগে ধরা পড়লে এর চিকিৎসা–সাফল্যের হার অনেক বেশি। কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার এবং মৃত্যু–ঝুঁকি উভয়ই তুলনামূলক বেশি—যেখানে জেনেটিক কারণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য ও সচেতনতার অভাবও ভূমিকা রাখে। তাই প্রাইম টাইমের জনপ্রিয় সিরিয়ালে বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট উঠে আসায় অনেকে আশা করছেন, আরও বেশি মানুষ পিএসএ ব্লাড টেস্ট বা প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলবেন। পিকেন্স নিজেও জোর দিয়ে বলেছেন, টেলিভিশন ড্রামা কেবল গল্প; বাস্তব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

দীর্ঘদিন ধরে ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’ নানা সামাজিক ও স্বাস্থ্য–ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করে আসছে—মানসিক স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে মাতৃত্ব, জনস্বাস্থ্য সংকট, বিভিন্ন অসুখের জটিলতা পর্যন্ত। অনেক ভক্ত এর আগে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, সিরিয়ালের গল্প দেখে কেউ কেউ নিজের লক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে গিয়ে রোগ ধরা পড়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। পিকেন্স বলেন, যদি তার এই ব্যক্তিগত লড়াই কয়েকজনের হলেও সময়মতো রোগ ধরা পড়তে সাহায্য করে, তবে এই অভিজ্ঞতা প্রকাশ করাও অর্থবহ হয়ে উঠবে। আপাতত তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রে’স অ্যানাটমি’ তারকা জেমস পিকেন্স জুনিয়রের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা, স্ক্রিনিংয়ের আহ্বান

০৩:২৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

টিভি চরিত্র থেকে বাস্তব জীবনের লড়াই
জনপ্রিয় মেডিক্যাল ড্রামা ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’র দীর্ঘদিনের চরিত্র ড. রিচার্ড ওয়েবার হিসেবে পরিচিত অভিনেতা জেমস পিকেন্স জুনিয়র জানিয়েছেন, তিনি নিজেই প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিয়মিত পরীক্ষা–নিরীক্ষার মাধ্যমে তুলনামূলকভাবে প্রাথমিক ধাপেই তার রোগ ধরা পড়েছে এবং চিকিৎসা চলছে। কয়েক দিন আগেই সিরিয়ালের গল্পে দেখা যায়, ড. ওয়েবার চরিত্রটিরও প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে—ফলে পর্দার গল্প ও বাস্তব জীবনের মধ্যে এক অদ্ভুত মিল তৈরি হয়। এই খবর প্রকাশের পর ভক্তদের মধ্যে আবেগী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে; অনেকেই বলছেন, সিরিয়ালের অসুস্থতা–সংক্রান্ত গল্পগুলো এখন আরও বাস্তব ও কাছের মনে হচ্ছে।

৭০ বছর বয়সী পিকেন্স জানান, তার পরিবারের আরও কয়েকজন পুরুষ আত্মীয় এর আগে প্রোস্টেট ক্যানসারে ভুগেছেন। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই তিনি নিয়মিত টেস্ট করাচ্ছিলেন; এক পর্যায়ে রিপোর্টে সামান্য পরিবর্তন দেখে ডাক্তার সতর্ক হন এবং বিস্তারিত পরীক্ষা করতে বলেন। তিনি বলেন, সময়মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই এখন তাকে তুলনামূলক ভালো অবস্থায় রেখেছে। একই সঙ্গে তিনি মনে করছেন, নিজের রোগ নিয়ে খোলামেলা কথা বলা অন্য পুরুষদের, বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের, স্ক্রিনিং নিয়ে সচেতন হতে উৎসাহ দিতে পারে।

হলিউড গ্ল্যামারের আড়ালে স্বাস্থ্য বার্তা
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষদের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসার খুবই সাধারণ; কিন্তু আগেভাগে ধরা পড়লে এর চিকিৎসা–সাফল্যের হার অনেক বেশি। কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের ক্ষেত্রে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার এবং মৃত্যু–ঝুঁকি উভয়ই তুলনামূলক বেশি—যেখানে জেনেটিক কারণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় বৈষম্য ও সচেতনতার অভাবও ভূমিকা রাখে। তাই প্রাইম টাইমের জনপ্রিয় সিরিয়ালে বাস্তব জীবনের প্রেক্ষাপট উঠে আসায় অনেকে আশা করছেন, আরও বেশি মানুষ পিএসএ ব্লাড টেস্ট বা প্রয়োজনীয় স্ক্রিনিং নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলবেন। পিকেন্স নিজেও জোর দিয়ে বলেছেন, টেলিভিশন ড্রামা কেবল গল্প; বাস্তব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

দীর্ঘদিন ধরে ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’ নানা সামাজিক ও স্বাস্থ্য–ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করে আসছে—মানসিক স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে মাতৃত্ব, জনস্বাস্থ্য সংকট, বিভিন্ন অসুখের জটিলতা পর্যন্ত। অনেক ভক্ত এর আগে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, সিরিয়ালের গল্প দেখে কেউ কেউ নিজের লক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালে গিয়ে রোগ ধরা পড়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। পিকেন্স বলেন, যদি তার এই ব্যক্তিগত লড়াই কয়েকজনের হলেও সময়মতো রোগ ধরা পড়তে সাহায্য করে, তবে এই অভিজ্ঞতা প্রকাশ করাও অর্থবহ হয়ে উঠবে। আপাতত তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং দীর্ঘদিনের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।