পারিবারিক ঝুঁকি থেকে দ্রুত শনাক্ত হওয়া টিউমার
জনপ্রিয় মেডিক্যাল ড্রামা ‘গ্রে’স অ্যানাটমি’র প্রবীণ চরিত্র ড. রিচার্ড ওয়েবার হিসেবে পরিচিত অভিনেতা জেমস পিকেন্স জুনিয়র জানিয়েছেন, তাঁর প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং ইতিমধ্যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে হঠাৎই তাঁর রক্তে প্রোস্টেট-স্পেসিফিক অ্যান্টিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এবং এমআরআইসহ অতিরিক্ত পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ছোট আকারের একটি টিউমার শনাক্ত করেন, যা তখনও শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়েনি। এই অবস্থায় দ্রুত অপারেশন হওয়ায় রোগটি আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
পিকেন্স জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারে বহু বছর ধরে প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বিদ্যমান; বাবাসহ একাধিক পুরুষ আত্মীয় এ রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তাই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সময় তিনি পুরোপুরি বিস্মিত না হলেও, “ক্যান্সার” শব্দটি শুনে মানসিক চাপ এড়ানো যায়নি। তাঁর ভাষায়, রোগ যত আগে ধরা পড়ে, চিকিৎসার পথ তত বেশি খোলা থাকে। বায়োপসিতে বিরল ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন, নিয়মিত ফলো-আপ ও টেস্ট চলছে।
স্ক্রিনিং সচেতনতা ও দর্শকদের প্রতি বার্তা
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে স্ক্রিনে একজন সিনিয়র ডাক্তারের চরিত্রে অভিনয় করে আসা পিকেন্স মনে করেন, বাস্তব জীবনে তিনি এখন দর্শকদের কাছে আরেক ধরনের দায়িত্ব পালন করতে চান। তাঁর মতে, প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রায়ই নীরবে বাড়ে; অনেক সময় গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তাই নির্দিষ্ট বয়সের পর পুরুষদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা ও প্রয়োজন হলে আরও বিস্তারিত স্ক্রিনিং করানো জরুরি। তিনি নিজেকে উদাহরণ হিসেবে সামনে এনে দেখাতে চেয়েছেন, ছোট একটি রিপোর্ট পরিবর্তনকে গুরুত্ব দেওয়াই শেষে তাঁর জন্য জীবনরক্ষাকারী হয়ে উঠেছে।
অভিনেতা আরও বলেছেন, ক্যান্সারের গল্প কেবল টেলিভিশন সিরিয়ালের প্লট হয়ে উঠলে চলবে না; মানুষকে নিজের বাস্তবতার সঙ্গেও মিলিয়ে দেখতে হবে। তিনি বর্তমানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে ধীরে ধীরে শুটিং শিডিউল ঠিক করছেন। তাঁর বার্তা, শরীর “ভালোই তো” মনে হলেই নিশ্চিন্ত থাকার সময় শেষ—সময়মতো ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় টেস্ট করানোই ভবিষ্যতের বড় ঝুঁকি কমায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















