ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরে নওগাম থানায় নমুনা সংগ্রহের সময় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের দু’দিন পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ফরেনসিক ও নিরাপত্তা সংস্থা। দুর্ঘটনাজনিত এ বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে চলছে বিস্তারিত অনুসন্ধান।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে তৎপর
ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের নওগাম থানা প্রাঙ্গণে শুক্রবারের দুর্ঘটনাজনিত বিস্ফোরণের পর রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (CFSL) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডসের (NSG) বোমা-নিষ্ক্রিয়কারী দল। বিস্ফোরণস্থল ঘিরে পুরো এলাকা সিল করে রেখে নমুনা সংগ্রহ ও প্রমাণ বিশ্লেষণের কাজ চলছে।
কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ
ভারতের নওগামে থানা চত্বরে রাখা একটি শেডে বিস্ফোরক নমুনা পরীক্ষার সময় হঠাৎ বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান এবং অনেকে আহত হন। উদ্ধার করা প্রায় ৩৬০ কেজি বিস্ফোরকের নমুনা পরীক্ষা চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর আগে প্রায় ৩,০০০ কেজি বিস্ফোরক—যার মধ্যে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটও ছিল—জইশ-ই-মোহাম্মদ সংশ্লিষ্ট কথিত ‘হোয়াইট কলার টেরর মডিউল’ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল।
ভারতের শ্রীনগরে ক্ষয়ক্ষতি
বিস্ফোরণে থানার ভেতরের গাড়ি, পুলিশের বিভিন্ন যানবাহন ও আশপাশের বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভারতের শ্রীনগর শহরের বড় অংশ থেকেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

কারা নিহত হয়েছেন
ভারতে সংঘটিত এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন—
• বিশেষ তদন্ত দলের (SIA) একজন সদস্য
• ফরেনসিক ল্যাবরেটরির তিন কর্মকর্তা
• ক্রাইম সিন ইউনিটের দুই আলোকচিত্রী
• ম্যাজিস্ট্রেট টিমের দুই রাজস্ব কর্মকর্তা
• দলের সঙ্গে যুক্ত একজন দর্জি
ভারতের কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর জম্মু ও কাশ্মিরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্না জানান, নিয়ম অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী সংযোগ নেই—এটি সম্পূর্ণ দুর্ঘটনা।
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে পুলিশের সাফল্যের কথা উল্লেখ
এলজি সিন্না আরও জানান, বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহের কাজ দুই দিন ধরে চলছিল। এ সময় জে–কে পুলিশ দেশজুড়ে বিস্তৃত একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে এবং বড় নাশকতা ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। তাঁর ভাষায়, নওগামের বিস্ফোরণ “কোনো ষড়যন্ত্র নয়, শুধুই দুর্ঘটনা।”
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















