ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল নভেম্বরে পরপর দুটি শক্তিশালী টাইফুনের আঘাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে। প্রথমে টাইফুন কালমায়েগি এবং কয়েক দিনের ব্যবধানে টাইফুন ফাং-ওয়ং আঘাত হেনে মানুষের জীবন, ঘরবাড়ি ও অবকাঠামোকে বিপর্যস্ত করে দেয়।
টাইফুন কালমায়েগির আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি
৫ নভেম্বর সেবু প্রদেশসহ মধ্য ফিলিপাইনের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডব চালায় টাইফুন কালমায়েগি। কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্তত ২২৪ জন মারা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা এই ঝড়ের ফলে সৃষ্টি হয়, যেখানে বহু বাড়িঘর ধসে পড়ে। শত শত মানুষ নিখোঁজ হয়, আর হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে মানুষকে জীবনধারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়।
নিখোঁজদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান
প্রথম টাইফুনের পর উদ্ধারকর্মীরা নিরলসভাবে নিখোঁজদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিল। ধ্বংসস্তূপ সরানো, পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার কাজ চলছিল দিন-রাতভর।
দ্বিতীয় টাইফুন ফাং-ওয়ংয়ের আঘাতে নতুন বিপর্যয়
৯ নভেম্বর যখন উদ্ধার অভিযান চলছিল, তখনই দ্বিতীয় টাইফুন ফাং-ওয়ং আঘাত হানে। নতুন এই ঝড়ে আরও অন্তত ৪ জনের মৃত্যু ঘটে। প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র বাতাসে উদ্ধার তৎপরতা বাধাগ্রস্ত হয় এবং ইতোমধ্যে বিপর্যস্ত মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
সমাপনী বিশ্লেষণ
মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দুটি ঘূর্ণিঝড় ফিলিপাইনে যে ধ্বংস ডেকে এনেছে, তা দীর্ঘমেয়াদে পুনর্গঠনকে কঠিন করে তুলবে। ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ, খাবার-নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নিখোঁজদের খোঁজার পাশাপাশি নতুন ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন চরম আবহাওয়ার ঘটনা আরও ঘন ঘন দেখা দেবে।
#ফিলিপাইন #ঝড় #দুর্যোগ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















