০২:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনায় এখন শুধু ‘ট্যাকটিক্যাল বিরতি’,সতর্ক করল সিঙ্গাপুর গানপাউডার–পেট্রোল দিয়ে ময়মনসিংহে ট্রেন বগিতে আগুন ধামরাইয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শীতেও কমছে না দাম: খুলনার কাঁচা বাজারে নতুন করে দাম বেড়েছে মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট—বাংলাদেশের বিশেষ সম্মাননা চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি দখল বাড়ছে: নিয়ন্ত্রণ হারানোর শঙ্কা তীব্র যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের জন্য যে ধ্বংসাত্মক কৌশল বানিয়েছিল, এখন তার শিকার নিজেই যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে: ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর কঠোরতা বাড়ছে

রাশিয়ার ড্রোন-কেন্দ্রিক সামরিক নীতি: আধুনিক যুদ্ধের নতুন মানদণ্ড

ড্রোন এখন আধুনিক যুদ্ধের চিত্র বদলে দিচ্ছে। তাই রাশিয়া ড্রোনকে একটি স্বতন্ত্র সামরিক শাখা হিসেবে গড়ে তুলছে, যা বর্তমান যুদ্ধের বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড্রোন বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা
ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতে ড্রোনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ড্রোন এখন স্বাধীন আক্রমণক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে।
যেভাবে প্রকৌশল, রাসায়নিক প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ইউনিটের প্রয়োজন ছিল, ঠিক তেমনভাবেই ড্রোন যুদ্ধের জন্য একটি বিশেষায়িত কাঠামোও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

আধুনিক যুদ্ধবিধিতে ড্রোনের প্রভাব
ড্রোনের ব্যবহার যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে। ড্রোনে ভরা যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ট্যাংক বা সাঁজোয়া যান দ্রুত শনাক্ত হয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তাই ঐতিহ্যবাহী যানের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাঁজোয়া সরঞ্জামকে ড্রোন-সক্রিয় পরিবেশে টিকে থাকার মতো করে নতুন ডিজাইন করতে হচ্ছে।

বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা থেকে একীভূত কাঠামো
এতদিন ড্রোন পরিচালনা ছিল ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা ইউনিট ও অস্থায়ী দলের হাতে। কেন্দ্রীয় কাঠামোর অভাবে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সমন্বয় ঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি।
কখনো ড্রোন বিশেষজ্ঞদের যথাযথ বিবেচনা ছাড়াই বিভিন্ন বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যা সামগ্রিক সক্ষমতা কমিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত শাখা এসব সমস্যা দূর করবে এবং ড্রোন পরিচালনা, প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনায় শৃঙ্খলা আনবে।

নতুন শাখার করণীয়
নতুন ড্রোন বাহিনীকে নিজস্ব কাঠামো তৈরি, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং যুদ্ধ পরিচালনায় নিজস্ব ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে।
নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাতসহ পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে এই রূপান্তর আরও দ্রুত হতো, তবে সে সময়ে ড্রোন যুদ্ধ এত গভীরে প্রবেশ করবে—এটা কেউই অনুমান করেনি।
এখন এই শাখা স্থল, সমুদ্র ও আকাশ—সবক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের ধরণ বিশ্লেষণ করে কার্যকর অপারেশনাল মডেল তৈরি করতে পারবে। ভবিষ্যতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য আলাদা ইউনিটও গড়ে উঠতে পারে।

ড্রোনকে সর্বময় সমাধান হিসেবে দেখা ঠিক নয়
ড্রোনকে সব সমস্যার একমাত্র সমাধান ভাবা ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো অস্ত্রই চিরকাল অপ্রতিরোধ্য নয়। কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হলে শুধুই ড্রোননির্ভর বাহিনী বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

নতুন ড্রোন শাখার সফলতা কামনা করা যায়। উল্লেখযোগ্য হলো, ন্যাটো এখনো বিদ্যমান বাহিনীর ভেতরেই ড্রোন ব্যবহারের উন্নয়ন করছে, যা খুব কার্যকর ফল দিচ্ছে না।
বর্তমানে দুনিয়ার মাত্র দুটি সেনাবাহিনী ড্রোনের প্রকৃত শক্তি অনুধাবন করেছে: রাশিয়ার সেনাবাহিনী—এবং যাদের বিরুদ্ধে তারা লড়ছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে কয়েল কারখানায় ভয়াবহ আগুনঃ আশে পাশের মানুষ সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন

রাশিয়ার ড্রোন-কেন্দ্রিক সামরিক নীতি: আধুনিক যুদ্ধের নতুন মানদণ্ড

১২:৪৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ড্রোন এখন আধুনিক যুদ্ধের চিত্র বদলে দিচ্ছে। তাই রাশিয়া ড্রোনকে একটি স্বতন্ত্র সামরিক শাখা হিসেবে গড়ে তুলছে, যা বর্তমান যুদ্ধের বাস্তবতার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড্রোন বাহিনী গঠনের প্রয়োজনীয়তা
ইউক্রেনসহ বিভিন্ন সংঘাতে ড্রোনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ড্রোন এখন স্বাধীন আক্রমণক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, পাশাপাশি অন্যান্য বাহিনীর সক্ষমতাও বাড়াচ্ছে।
যেভাবে প্রকৌশল, রাসায়নিক প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ইউনিটের প্রয়োজন ছিল, ঠিক তেমনভাবেই ড্রোন যুদ্ধের জন্য একটি বিশেষায়িত কাঠামোও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।

আধুনিক যুদ্ধবিধিতে ড্রোনের প্রভাব
ড্রোনের ব্যবহার যুদ্ধের কৌশল বদলে দিয়েছে। ড্রোনে ভরা যুদ্ধক্ষেত্রে বড় ট্যাংক বা সাঁজোয়া যান দ্রুত শনাক্ত হয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়, তাই ঐতিহ্যবাহী যানের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। সাঁজোয়া সরঞ্জামকে ড্রোন-সক্রিয় পরিবেশে টিকে থাকার মতো করে নতুন ডিজাইন করতে হচ্ছে।

বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা থেকে একীভূত কাঠামো
এতদিন ড্রোন পরিচালনা ছিল ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা ইউনিট ও অস্থায়ী দলের হাতে। কেন্দ্রীয় কাঠামোর অভাবে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা ও সমন্বয় ঠিকভাবে গড়ে ওঠেনি।
কখনো ড্রোন বিশেষজ্ঞদের যথাযথ বিবেচনা ছাড়াই বিভিন্ন বিভাগে পাঠানো হয়েছে, যা সামগ্রিক সক্ষমতা কমিয়েছে।
একটি সুসংগঠিত শাখা এসব সমস্যা দূর করবে এবং ড্রোন পরিচালনা, প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনায় শৃঙ্খলা আনবে।

নতুন শাখার করণীয়
নতুন ড্রোন বাহিনীকে নিজস্ব কাঠামো তৈরি, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং যুদ্ধ পরিচালনায় নিজস্ব ভূমিকা নির্ধারণ করতে হবে।
নাগোর্নো-কারাবাখ সংঘাতসহ পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগালে এই রূপান্তর আরও দ্রুত হতো, তবে সে সময়ে ড্রোন যুদ্ধ এত গভীরে প্রবেশ করবে—এটা কেউই অনুমান করেনি।
এখন এই শাখা স্থল, সমুদ্র ও আকাশ—সবক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের ধরণ বিশ্লেষণ করে কার্যকর অপারেশনাল মডেল তৈরি করতে পারবে। ভবিষ্যতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার জন্য আলাদা ইউনিটও গড়ে উঠতে পারে।

ড্রোনকে সর্বময় সমাধান হিসেবে দেখা ঠিক নয়
ড্রোনকে সব সমস্যার একমাত্র সমাধান ভাবা ঝুঁকিপূর্ণ। কোনো অস্ত্রই চিরকাল অপ্রতিরোধ্য নয়। কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হলে শুধুই ড্রোননির্ভর বাহিনী বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

নতুন ড্রোন শাখার সফলতা কামনা করা যায়। উল্লেখযোগ্য হলো, ন্যাটো এখনো বিদ্যমান বাহিনীর ভেতরেই ড্রোন ব্যবহারের উন্নয়ন করছে, যা খুব কার্যকর ফল দিচ্ছে না।
বর্তমানে দুনিয়ার মাত্র দুটি সেনাবাহিনী ড্রোনের প্রকৃত শক্তি অনুধাবন করেছে: রাশিয়ার সেনাবাহিনী—এবং যাদের বিরুদ্ধে তারা লড়ছে।