ঋণলব্ধি 6 স্থানে ধনলব্ধি করিবার জন্য ‘ইষ্টাহত স্বস্বহরেণ যুক্তে’ এই নিয়মে 5× 2 = 10 যোগ করিতে হইবে, কিন্তু ‘ধনর্ণয়োন্তরমেব যোগঃ’ এই নিয়মে 10-6=4 লব্ধি। 3 × 2 = 6 পূর্বসিদ্ধ গুণ 1 সহিত যোগ করিলে গুণ 7; ঋণলব্ধি সাধনে সর্বত্রই এই নিয়ম জানিবে।
অথবা ‘হরতষ্টে ধনক্ষেপে’ এই নিয়মে ক্ষেপ 23কে হর 3 দ্বারা তক্ষণ করিয়া শেষ 2′ কে ক্ষেপ করিলে বল্লী 1 4 ধনক্ষেপে লব্ধি 4 গুণ 2; ইহাদিগকে
1
2
নিজ নিজ হর 513 হইতে বিয়োগ
2
করিলে লব্ধি 3 গুণ 1, 1;
0
ক্ষেপেতক্ষণলাভাঢ্যা লব্ধিঃ শুদ্ধো তু বর্জিতা’ এই নিয়মে 7+4=11 ধনক্ষেপে লব্ধি। গুণ সেই 2; 1-7=-6 ঋনক্ষেপে লব্ধি। গুণ সেই 1; ইহাদিগকে ধনলব্ধি করিবার জন্য দ্বিগুণিত নিজ নিজ হর 5 * 2 = 10, 3 * 2 = 6 যোগ করিলে ‘ধনর্ণয়োরন্তরমেব যোগঃ’ এই নিয়মে লব্ধি 4 গুণ 7।
এরপর দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য বলেছেন: ক্ষেপাভাবোহথবা যত্র ক্ষেপঃ শুদ্ধোহরোদ্ধৃতঃ। 7 জেয়া শূন্যং গুণস্তত্র ক্ষেপো হারহৃত ফলম্।
মর্মার্থ: ক্ষেপ না থাকিলে বা ক্ষেপকে হর দ্বারা ভাগ করিয়া নিঃশেষ হইলে গুণ 0 হইবে। ক্ষেপাভাব হইলে লব্ধি ০। ক্ষেপকে হর দ্বারা ভাগ করিলে যে স্থানে নিঃশেষ হয়, সে স্থানে এই ভাগফলই লব্ধি হইবে।
মর্মার্থ: ক্ষেপ না থাকিলে বা ক্ষেপকে হর দ্বারা ভাগ করিয়া নিঃশেষ হইলে গুণ ০ হইবে। ক্ষেপাভাব হইলে লব্ধি ০। ক্ষেপকে হর দ্বারা ভাগ করিলে যে স্থানে নিঃশেষ হয়, সে স্থানে এই ভাগফলই লব্ধি হইবে।
এ সম্পর্কে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য একটি উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:
যেন পঞ্চ গুণিতাঃ খসংধুতাঃ পঞ্চযষ্টিসহিতাশ্চ তেহথবা।
ব্যস্ত্রয়েদশহৃতানিরগ্রকান্তং গুণং গণক কীর্ত্তয়াস্তমে।
ন্যাসঃ। ভাজ্য। ৫। হরে ১৩। ক্ষেপঃ।। জ্ঞেয়ং শূন্যং গুণস্তত্র ক্ষেপোহারহৃতঃ ফলমিতি ক্ষেপাভাবে গুণাপতী।।। ইষ্টাহতেতাথবা। ১৩। ৫। বা ২৬। ১০।
ন্যাসঃ ভাজ্য।৫। হরেঃ। ১৩। ক্ষেপ ৬৫
ক্ষেপঃ শুদ্ধোহরোদ্ধতঃ জেয়া শূণ্যং গুণস্তত্র ক্ষেপোহারহৃতঃ ফলমিতি জাতে গুণাপ্তী। ৩।৫। বা ১৩। ১০। অথবা ২৬। ২৫। ইত্যাদি।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৭)
প্রদীপ কুমার মজুমদার 


















